জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মুখে ইসলামের কথা ‘চতুরতার অংশ’ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী।
Published : 23 Nov 2013, 07:47 PM
চট্টগ্রামের হাটহাজারী গিয়ে হেফাজত আমিরের শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে জাপা চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের ছয় দিনের মাথায় শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শফীর সঙ্গে দেখা করে এরশাদ বলেছিলেন, “আমি শুধু দোয়া নিতে এসেছিলাম, হুজুর দোয়া করেছেন।”
ওই মাদ্রসার শিক্ষক বাবুনগরী বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীর দোয়া নয়, বরং ‘বদ দোয়াই’ নিয়ে গেছেন।
হেফাজতের আমিরের সঙ্গে দেখা করার আগে এরশাদ বলে আসছিলেন,বিএনপি না গেলে তার দলও নির্বাচনে যাবে না। তবে এর কয়েকদিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বাবুনগরী বলেন, “হেফাজতের আমির মাঠে ময়দানে যারা ইসলামের পক্ষে কাজ করছেন, তাদের সাফল্য কামনা করে দোয়া করেছিলেন।
“জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বর্তমান রাজনৈতিক যে অবস্থান, তাতে এটা কখনোই তার জন্য দোয়া বলা যায় না, বরং বদ দোয়াই বলতে হয়।”
তবে শনিবারের বিবৃতিতে বাবুনগরী সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের অতীতের ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “শুরু থেকেই তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবেই ইসলামকে ব্যবহার করে আসছেন বলে অনেক ওলামায়ে কেরাম মত দিচ্ছেন।
“ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন ভূমিকার কথা বললেও বাস্তব জীবনে ধর্মীয় অনুশাসনের ছিটেফোঁটাও তার মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না।”
বাবুনগরী বলেন, “ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে বড় বড় কথা বলে এরশাদ সাহেব আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতাকে ধোঁকা দিচ্ছেন। তার বর্তমান ভূমিকায় ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। সারাদেশে তার প্রতি গণধিক্কার চলছে।”
এক সপ্তাহ আগে হেফাজতের আমিরের সঙ্গে দেখা করে আসা এরশাদের সম্পর্কে বাবুনগরী দুই যুগ আগে তার শাসনামলের আচরণের কথাও বলেন সংগঠনটির মহাসচিব।
“এরশাদ তার স্বৈরাচারী শাসনামল থেকেই ক্ষমতা ও ভোগবাদিতার জন্য নানা ডিগবাজী দেখিয়ে এসেছেন। জনগণের বিশ্বাস ভঙ্গের করুণ পরিণতি থেকে তিনি রেহাই পাবেন না।”