somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষণ এবং ধর্ষণ-হত্যার মহামারী:প্রতিকার কি কিছু আছে?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১)ভারতে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ-হত্যা মহামারী রূপ নিয়েছে(বাংলাদেশেও এর প্রকোপের কমতি নেই)।এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও উত্তাপ ছড়াচ্ছে।কেউ মেয়েদের পোষাক ও চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দিচ্ছেন;আবার অন্যেরা নারীর অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে এর বিরুদ্ধে বলছেন।এই যখন অবস্থা,তখন এর সুরাহা কি উপায়ে হতে পারে।অনেকে অনেক রকম পথ বাতলাতে চাইবেন;যেমন কেউ কেউ ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বা তাকে খোজা করে দেয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন;কিন্তু তাতে কি সুরাহা নিশ্চিত হতে পারবে?আপনাদের মতে এ বিপদের উত্তরণ কিভাবে হতে পারে?
২)ভারতে ব্যাপকহারে কন্যাশিশু ভ্রুণ বিনাশকে আরেকটি নিষ্ঠুরতা হিসাবে দেখা হয়।আমি অনাগত কন্যাটির দিক থেকে এটাকে ইতিবাচকই মনে করি।কারণ সেই মেয়েটিকে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র বোঝা মনে তো করেই;এমনকি সে নিজেকেই নিজের বোঝা মনে করতে পারে।কোন গ্যারান্টি নেই যে কন্যাশিশুটিকে দামিনীর ভাগ্য বরণ করতে হবে না।তাহলে এই ভ্রুণ বিনাশে সে কিন্তু যাবতীয় সম্ভাব্য প্রতিকূলতা ও বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পেয়ে গেল।ভ্রুণ বিনাশকে আমি সমর্থন করি না মায়ের শারীরিক নেতিবাচকতা বিবেচনায়।কারণ গর্ভধারণের যে পর্যায়ে লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব হয়,সে ‍অবস্থায় গর্ভপাত ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।শুধু এ কারণেই আমি লিঙ্গ-পরিচয়সম্পন্ন ভ্রুণ বা যে কোন ভ্রুণ বিনাশের ঘোর বিরোধী।তাছাড়া ভ্রুণকে আমি কোন জীব মনে করি না-আমার কোন অনুভূতিও নেই।তাহলে পুরষ এবং নারীর শরীরের যাবতীয় শুক্রাণূ-ডিম্বাণূর জন্যও আমাকে আহাজারি করতে হয়।
৩)নারীর গর্ভধারণরোধই এই বিপর্যয়রোধের পরম উপায়।তাহলে দেখুন কোন মেয়েকে আর ধর্ষিতার ভাগ্য বরণের ঝুঁকিতে পড়তে হবে না।আপনি প্রশ্ন করবেন তাহলে তো পুরুষসন্তান জন্মও তো বন্ধ হয়ে যাবে।আরে সেটা তো আরও ভাল হলো।কোন সম্ভাব্য ধর্ষক-হন্তারকও আর জন্ম নেয়ার চান্সই পেল না।
৪)এমন আইনের কথা বলা হয় যে,ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড অথবা খোজা করে দেয়া যায়।ধর্ষণ বা ধর্ষণ-হত্যা ঘটে যাওয়ার পরে এই ব্যবস্থা ভিকটিমটির কোন কাজে আসবে?সে কি পুর্বাবস্থা ফিরে পাবে?
৫)নারীর পোষাক এবং চাল-চলন বিষয়ক স্বাধীনতা এক্ষেত্রে বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।স্পোর্টস এবং সিনেমা-নাচ ইত্যাদিতে নারীর আকর্ষণীয় দেহ সৌষ্ঠবকে আবৃত করার চেয়ে বিপজ্জনকভাবে অনাবৃত এবং উদ্ভাসিত করার জন্যই পোষাকের যে পরা এবং না পরা তার বিপরীতে পুরুষের অনাকর্ষণীয় রুক্ষ দেহকে নাচ-গান সিনেমাতে হাত আর মুখ বাদে সবকিছুকে ঢেকে দেয়া এবং স্পোর্টসেও শরীরের ‍অনেকাংশই ঢেকে রাখাকে এক রকম লজ্জায় লুকিয়ে পড়ার মতেই মনে হয়;যেখানে নারী সদর্পে তার দেহবল্লরীর উদ্ভাসে উন্মুখ। আমি খুবই কনফিউজড যে নারীর এই দেহ ‍অনাবৃতকরণময় এবং পুরুষের ঢাকাঢাকিময় পোষাকের নির্ধারক কে বা কারা?যদি এটা সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবানদের বিশেষ করে পুরুষের চাপিয়ে দেয়া হয় এবং নারী সাগ্রহে বা বাধ্য হয়ে সেটাতে সমর্পিত হয় তাহলে যেমন কিছু বলার নেই, আবার নিজেকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করার জন্য স্বেচ্ছায় সাগ্রহে সাজগোজের নামে এহেন স্বাধীনতার আশ্রয় নেয় তাহলেও কিছু করার বা বলার নেই বলেই আমি মনে করি।কারণ আমি ব্যক্তি ও নারী-স্বাধীনতাকেও সমুন্নত দেখতে চাই।তাহলে নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনের উপায় কি?
৬)যদি পুরষকে মৃত্যুদণ্ড বা খোজা করা একটা সমাধান হয়, তবে যেহেতু কোন পুরুষটি একাজ করবে তা চিহ্নিত করার উপায় নেই বা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে যে ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেন ভিকটিমের তো কোন remedy হওয়ার উপায় নেই,তাই ক)ধর্ষণক্ষম প্রত্যেক পুরুষকে খোজা করে দেয়া যেতে পারে;খ)তা যখন সম্ভব নয় তখন প্রত্যেক পুরুষশিশুকে জন্মের সাথে সাথে খৎনার মতো খোজা করে দেয়া যেতে পারে;কিন্ত বাস্তবে তাও সম্ভব নয়।
৭)তাহলে সমাধান কি?এই সমাধান পরমভাবে নারীর নিয়ন্ত্রনে।এই একটি মাত্র ভুবন যেখানে সে একচ্ছত্র ‍অধিস্ঠাত্রী।জরায়ূর অধিকার নারীর একান্ত নিজস্ব।তাকে গর্ভধারণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।তাহলে কোন ধর্ষিতাও খুজে পাওয়া যাবে না;কোন ধর্ষকও আর জন্ম নেবে না।
৮)তা হলে আমেরিকার স্কুলে বেপরোয়া গুলিবর্ষণে কোন কিশোরও কুড়িটি শিশুসহ সাতাশটি মানবসন্তানকে খুন করে নিজেও খুন হবে না।এ ঘটনাটিই সেখানে প্রথম নয়।কিশোরটি স্কুলে যায় তার মাকে খুন করতে-যে সেখানে শিক্ষক।সন্তানের জন্য পিতা-মাতাকে বা পিতা-মাতার জন্য সন্তানকে হত্যা করা মোটেই অস্বভাবিক কোন ব্যাপার নয় বলে আমি মনে করি।শুধু দরকার পরিস্থিতির।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×