somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিঠি -যখন পৌছায়না প্রাপকের কাছে, থাকে খোলা চিঠি হয়ে....

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এ্যলেন বাংলা বেশ ভালো বোঝে। একটু আধটু বলতেও পারে, খুব কষ্টে। তবে মজার ব্যপার, বাংলা পড়ার ব্যপারে ওর আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।

বহু দিন আগে, একবার এ্যলেনকে দেখেছিল, বাংলা পড়তে চেষ্টা করছে, একটা একটা করে শব্দ অনুবাদ করে, অনলাইনে। পরে একটা সময়, ডিকসেনারী কিনে ব্যবহার করতো। সে কারনেই হয়তো, মোটামোটি ভালো ভাবেই পড়তে পারে, তবে কেবল ছাপার অক্ষরগুলো অনলাইনে। হাতে লেখা বাংলা আর চাইনিজের মাঝে নাকি কোন পার্থক্য করতে পারেনা, বেচারা। এসব দেখতে মজাই লাগতো, আনন্দর।

মাঝে মাঝে পাগল মনে হয় আনন্দর, নিজেকে। জানে কোনদিন পাঠাবেনা কোন চিঠি, তবু লিখে যায়। তার কল্পনার জগতে এ্যলেনকে বসিয়ে, প্রেরক হিসেবে । কেবল চিঠি লিখে যায়- চারপাশে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা, ছোট-ছোট অনুভূতিগুলো, নিজের মতো করে। নেই কোন বাধা, কোন বিপত্তি ।তবু চিঠি পায়না প্রাপক। এ্যলেন জানে না আনন্দের এই খোলা চিঠির ভান্ডারের ঠিকানা। আনন্দের কেবল প্রত্যাশা , কোনদিন জানবে এ্যলেন, কেও তাকে ভালোবাসতো; এই ব্লগের পাতা অনুবাদ করে।

আনন্দ কোনদিন প্রকাশ করেনি ওর অনুভূতি এ্যলেনকে। ও জানে, না বলা এই কথা, এ্যলেন জানে। তাই না বলা কথা হয়েই রয়ে গেছে সেসব। কোনদিন যদিবা পারে বলতে, সেদিন তার দাবী হবে খুব বেশি - খুব জোড়ালো। প্রকাশ করা কিংবা বলে ফেলা অনেক কথার চাইতেও, হয়তো তাই না বলা এই অনুভূতি শুনতে চাইবার আকাংখা বেশি। কিন্তু সেকারনে কি আনন্দের এই গোপনীয়তা?

যে সম্পর্কের বেড়ে ওঠা এক অজানা ভিত্তির উপর। যার গঠনের কোন নির্দিষ্ট কাঠামো নেই। যেখানে লুকানো ছিলনা কিছুই, অব্যক্ত ছিল কেবল অনুভবগুলো। যার কাছে, ভাবনা আর ব্যক্ত করার মাঝে ছিলনা কোন দেয়াল, তাকেই বলা হলো না অনেক কিছু, আনন্দর।

বলা হলোনা, "তোমাকে নিয়ে স্টেশনের পাশের কোন দোকানে , কোন এক ভোরে খেতে যাব গরম পরটা সাথে ডিম ভাজা। তুমি খাবে মুগের ডাল ভুনা আর আমি সবজি। আমার স্বপ্নের সেই ছোট্ট দোচালা বাড়িটার টিনের চালের বারান্দায় বসে চা খাব তোমায় নিয়ে। কোন একদিন রিক্সায় ঘুরবো, কড়া রোদে, সারাদিন। কোন এক ছোট্ট নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দেব পুরো একটা বিকাল। সাথে থাকবে কেবল চিনাবাদাম আর লবন। তোমার সেই এ্যলমন্ড কিংবা ক্যসুতে আমার চলবে না।"

বলা কি হবে আনন্দের? তাই তো লিখে যায় ....।

This is me…A pointless mind….who Loves you , like to keep you in her prayer till last breath……
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×