১৷
আবার নাসিরুদ্দিনের গল্প৷ ওহো, এ সেই তুরস্কের মোল্লা নাসিরুদ্দিন৷ অথবা হোজ্জা নাসিরুদ্দিন৷ যে নামেই ডাকা হোক না কেনো এ সেই আদি ও অকৃত্রিম নাসিরুদ্দিন৷
তো এই নাসিরুদ্দিন একদিন বাজার থেকে এক কেজি মাংস কিনে গুন গুন করে গাইতে গাইতে বাসায় ফিরলো৷ বউকে ডেকে বলল- খাসা করে মাংসটা রাঁধো তো, আজ আয়েস করে খাওয়া যাবে৷
বলে নাসিরুদ্দিন আড্ডা দিতে বের হয়ে গেলো৷ বউ মাংস রান্না করলো৷ তারপর রান্নার সুগন্ধে মুগ্ধ হয়ে সে একটু একটু করে সবটুকু মাংস খেয়ে ফেললো৷ খানিকপর নাসিরুদ্দিন বাসায় ফিরে বলল, কই মাংস লাগাও দেখি, খাওয়া যাক৷
বউ একটা বিড়াল দেখিয়ে আমতা আমতা করে বলল, মাংস তো সব ঐ বিড়ালটা খেয়ে ফেলছে৷
নাসিরুদ্দিন চোখ গোল্লা গোল্লা করে বউকে দেখে; তারপর ক্যাঁক করে বিড়ালটাকে ধরে দাঁড়িপাল্লায় বসিয়ে দেখে বিড়ালটার ওজন ঠিক এক কেজি৷ নাসিরুদ্দিন মাথা চুলকে বলল, এটাই যদি সেই বিড়াল হয় তাহলে মাংস গেলো কই? এটাই যদি সেই মাংস হয় তবে বিড়াল গেলো কই?
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির প্রশ্নে সব কুতুব গলা বাড়িয়ে বলছে- আমি নির্দোষ! আমি নির্দোষ!!
প্রশ্ন হচ্ছে, সবাই যদি নির্দোষ হয় তবে দুর্নীতিটা করলো কে? আর দুর্নীতি হলে সবাই নির্দোষ হয় কি করে?
২৷
ব্লগোস্ফেয়ারে চলছে ধর্ষন নিয়ে তুমুল আলোচনা৷ কিছু পাগল ধর্ষকদের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে ধর্ষিতার দোষ দিয়ে বলছে, এক হাতে তালি বাজে না৷ বহু ব্যবহৃত, পুরানো ও ভুল যুক্তি৷ তালি বাজাতে দুই হাতকেই স্বেচ্ছায় স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিতে হবে কে বলেছে? এক হাতকে ধরে রেখে আরেক হাত দিয়ে ধাবড়ালেও তো তালি বাজে, নাকি?