somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাকে যে পায় সে আগুনে পোড়ে আমাকে যে পায়নি সেও পোড়া আগুনের প্রিয়!

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোথায় গেলে শান্তি পাওয়া যায় কোথায় গেলে মৃত্যু আসে পাখির মত! আমি ঘুমিয়ে যাব।

২.
ধরো কোন এক সুগভীর রাতে তোমার ফোন বেজে উঠছে। কান্নায় জেগে উঠছে ঘুম। তুমি তখন কাজ করছিলে অথবা ঠিক কাজের মতই তোমার আশৈশব নিরবতা। হয়ত এসব কারনে আর ফোন ধরো নি।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হয়ে ভাবি এত দূরে থাকো তুমি!

৩.
একটু করে খুলে যাচ্ছে পাপড়ী শতদল। অন্যায় হত খুব অন্যায়, যদি আজ আকাশ জুড়ে মেঘ না থাকতো, ধরো যদি আজ মেঘের করতো রোদ্দুরে ভয়!
একটা একটা করে ভেসে যাচ্ছে গোলাপ।গোলাপী রসের নিনিত নদীতে!
এসব ফুলেই আমরা থেকেছি প্রতিদিন,এসব ফুল ই আমাদের হৃদয়!

৪.
একটু আগেই বৃষ্টি হল জারুল পাতায় আটকালো তাই তোমার চোখের দৃষ্টি!স্রোতের তোড়ে থমকে গেলো আমার মহাকাল।

৫.
তখন আমার চুমুর নেশা বুনো নিমের ফুল
সিঁড়ি ঘরে হঠাত্‍ দেখা কাকতালীয় ভুল!
চলছি ফিরছি ঘুরছি সবই হচ্ছে ঢিলেঢালা
মেঘ ছিলোনা বৃষ্টি তবু সিঁড়িতে দোতলা!

৬.
কেন তুমি কাঁদো? যখন আমার চোখ থেকে ঝরে সোনালী বিকেল! আজ রাত নদী হয়। দৈর্ঘ্য প্রস্থ পেরিয়ে সেই উত্‍স হিমালয়। কেন তুমি কাঁদো বীর বলিষ্ঠ পুরান! আমি তার কান্নার দায় কাঁধে সুরাটে চলেছি।

৭.
আবার ও সেই বৃষ্টি সাত সমুদ্র পেরিয়ে তোমার জানালার কপাট খুলেছো খবর দিলো! আমি হাসলাম দেখে অভিমানে রোদ ভিজে যায়! কি করি বলোতো?
কতদিন এই পথ একাঙ্ক নাটিকার মত! হাঁটলাম। আমি হেঁটে হেঁটে পেরিয়ে গেলাম বৃষ্টি শপথ। গোলাপী শরবতে আমাদের ঠোঁট ভেসে রইলো যেন জীবন্ত রাঙামাছ!
এখন গোপন চাদরে অনাদরে পড়ে আছে একটি বিষন্ন বাবলা ফুলের হলুদ আদুরে নথ!

৮.
তুমি এলে। কান্ডজ্ঞানহীন হৃদয় বলে বসলো সমস্ত পেলাম!
চলে গেলে ভাবি কোথাও কিছু ভুল রয়ে গেল কি? জানানো হলোনা হৃদয়ের মাঝে কয়েকশো জোনাকি কি ঘন অপেক্ষায় রুদ্রাক্ষের মালা হয়ে যায়!

৯.
শ্বাপদ অরন্যে যার নাম লেখা হৃদি খুলে রাখা অনন্ত কুন্ডলে! পাখিরাতো উড়বেই। কে জানতো তোকে বেঁধে রাখা মানে আমার স্বাধীনতা হরণ?

১০.
সমস্ত ভালবাসা ভাবনার কাছে সমর্পিত আর তাই বিরহী হয়ে যাই। তুমি আছো খুব কাছে আছো এশহরটা দেখে, হিংসুটে রাতদিন।আজ আকাশে মেঘ নেই। তারাদের ঘুম নেই। আমিওতো জেগে আছি অরন্যে কদিন!

১১.
জলে না নেমে কেউ টের পাবেনা কুশিতল হিম। করতলে জালে রেখা আঁকা কবিতিকা । খুব খুঁজেছি আরো বেশি ঘুম।যতটা ঘুমুলে তোমার থেকে দূরে থাকা যায়! ভুলে থাকা যায় কাব্যের দায়।
জলে নেমে তাই টের পেয়েছি রাঙামাছ কাঁদে। মাছরাঙা পাখিটাও শব্দের জটে আজ দারুন বিবাদে!

১২.
ছুঁই ছুঁই করে তোমার হাতটা /আঙুলে বকুল গোলাপও সাতটা
তোমার আকাশে আঁধারের তারা নেই/আমাদের প্রেম শুরু হতে চায় আজ এখানেই!

১৩.
আজ দেখলাম পথের উপর সোনালু ঝরে যায়। আমার জন্য তার হাত কৃষ্ণচূড়াময় ততক্ষন !এইটুকু স্মৃতিওতো সারাদিন সুগন্ধি। নিরবে তনুময়! যতক্ষন জলের ধারায় ভেসে যাচ্ছে কোমল রাঙামাছ!!

১৪.
ঘুমন্ত মুখের চেয়ে পবিত্র আর কিছু নেই। আমার সন্তান এখন ঘুমুচ্ছে! এক বাল্যসখা তার মুখ এঁকেছিলো জোড়া আয়নায়। আমি দেখেছি আয়না ভেঙে যায় ঠুনকো আঘাতে! চিরে যায় হৃদয়িক সাধ। এসব স্মৃতিকে লাগে ঘুমন্ত মুখ নতুন প্রভাতে।

১৫.
মায়ের বুকের থেকে কিছু দুধ ধানের শিষের কোলে কে দিয়েছে ঢেলে, আমি এই পথে হাঁটছি কোমল আর করুন রজনীভর স্যাঁত্‍স্যাঁতে জোছনায়! স্বয়ং ইশ্বর এসে নামেন আজ হলুদ ভুট্টার ক্ষেতে বুদ্ধপূর্ণিমায় ! এক জোড়া আগুন চোখের মাঝে আমার খুব ভয় করে হাঁটতে।

১৬.
এক বৃষ্টি বিকেলের কথা মনে পড়ে যায়। বই এর ভেতর চিরকুটে চিঠি। মনে পড়ছে এখন আর মন ভিজে যায়। দেখো সেরকম চিরকুটে আমার হৃদয় কেমন আটকে আছে। তুমি চিঠি দেবে দেবে বলে ফিরছো। আগামী তিনদিনের ডাক বন্ধ। আজ বিকেলে যদি বৃষ্টি নামে!

১৭.
এই বিজন বনে তুমি ছাড়া আমি একা বিষন্ন ওক গাছ! বৃষ্টি আসবে এখন।লাল ফুলে তোমার রাগ ঢেলে দাও। তবু এসো। আমার খুব একা লাগছে।

১৮.
তুমি আর নেই কোথথাও নেই। বুকের মধ্যে ঢুকে বসে আছো মন। চোখের পাওনা মিটিয়ে দিলে দ্বিধায়। আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পালিয়ে এলাম ঘর। আমার যা কিছু আপন ছিল সবই এখন পর!

১৯.
ঘুম ছুঁয়েছো দুমুখো আঙ্গুলে। আমার চোখের সাথে কত কথা কত ভাবের ব্যস্ততা। এখন তখন কখন কখন আসবে? চলো ঘুম ঘুম চোখ পাড়ি দিয়ে জঙ্গলে চলে যাই!




২০টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×