somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধ্যরাতের টেলিভিশন টকশো এবং আামাদের বুদ্ধিজীবিরা

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এমন একটা সময় ছিল যখন অনেক আগ্রহ নি্যে রাতের টেলিভিশন টকশো দেখতাম এবং শুনতাম। তারপর আস্তে আস্তে চ্যানেল সংখ্যা বাড়তে থাকল এবং আমরা সব ক্ষেত্রে যা করি, এখানে ও সব চ্যানেলে টকশো প্রচার শুরু হয়। আমরা আগ্রহ নিয়ে দেখতে থাকি শুনতে থাকি।একটা সময়ে দেখা গেল একেই মুখ বারে বারে সব চ্যানেলে আসতে শুরু করলেন, কেউ কেউ অধ্যাপক, কেউ কেউ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলা, আবার কেউ কেউ পত্রিকার সম্পাদক/সাংবাদিক, আবার ৯১ থেকে এক গ্রুপ উনারা কেয়ারটেকার সরকারের উপদেস্টা। যাদের কে আমরা সবাই নানাবিধও কারনে চিনি কিংবা চিনি না।আমরা অবাক হয়ে দেখে যাচ্ছি দিনের পর দিন, আমরা শুনে যাচ্ছি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত। এরা সবাই আমাদেরকে, আমাদের জাতিগতভাবেই নসিহত করছেন, সরকারি দলকে নসিহত করছেন, বিরোধি দলকে নসিহত করছেন। কেউ কেউ আবার অনেক রেগেমেগে চরম বিরক্তি ও প্রকাশ করছেন।কয়েকজন আছেন আবার সাথে যিনি থাকেন কিংবা কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করলে অনবরত কথা বলতেই থাকেন যেন ভিন্নমত প্রকাশ যিনি করছেন তার কথা কেউ শুনতে না পায়।
সবার প্রতি সন্মান রেখেই আমি বলতে চাচ্ছি আসুন আমরা দেখি এইসব লোকের সারা জীবনের অজন কি কি? আমি কারো নাম নিব না। তার আগে বলি আমরা তরুন প্রজন্ম ভাবতে চাই, সসাজের যে অবস্থানেই থাকি না কেন, নিজের কাজটা সঠিকভাবে পালন করাই সবচেয়ে বড় দেশ প্রেম।যারা দীঘদিন সরকারের গুরুত্তপুরন পদে ছিলেন তাদের অরজন নিয়ে আমরা শুরু করতে পারি।
প্রথমেই বলেছি আমি কারো নাম নেবো না। কিন্তু হয়ত অনেকেই চিনবেন কিন্তু আমার অনুরোধ কেউ নাম ধরে কোন মন্তব্য করবেন না।
১একজন যিনি সরকারের উচু পদে আসীন ছিলেন, সরকারের আয় ব্যয়ের যাবতিয় হিসাব সততার সাথে রাখার দায়িত্ত পালন করেছেন।।মজার ব্যপার হল সরকারের একটি মন্ত্রনালয়ের ছোট একটি বিভাগ যদিও অতীব গুরুত্তসম্পন্ন বিভাগ।সরকারের সকল আয়ব্যয়ের হিসাব রাখতে হয়। যেখানে এখনো আপনি ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে পারবেন না।আমার নিাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আজ প্রায় ১৮ বছর একজন বিসিএস অফিসার হিসাবে কাজ করছি, একবারও এক মাসের বেতনও এখন পর্যন্ত অনততঃ ১০০ টাকা ঘুষ না দিয়ে তুলতে পারিনি।যারা সরকারি চাকুরি করেন তারা সবাই এটা জানেন। কিংবা যারা বিভিন্ন কাজ়ে এজিতে গিয়েছেন তাদের সবার এক অভিজ্ঞতা। এই ব্যক্তি দীঘদিন এই এজির সরবোচ্চ পদে আসিন ছিলেন। যেখানে সরকারের একটি ছোট অফিস ঠিক মত চালাতে পারেন নি, ঘুষ বন্ধ করার কোন কারজক্রম ছোখে পড়ার মত অন্তত নেন নাই। যিনি এত ছোট এক টা অফিসে দুরনিতি বন্ধ করা দূরে থাক একটু কমাতে ও পারেন নি, তিনি যখন টেলিভিশনে বসে পুরা জাতিকে নসিহত করেন, তখন আমরা হাসবো এটাই সাভাবিক। মজার ব্যপার এই ভদ্রলোক অবলিলা্ক্রমে টিআইবর চেয়ারম্যান হয়ে, কিংবা কখনো উপদেস্টা হয়ে কিংবা শুশীল সমাজের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের হেদায়েত করেই যাচ্ছেন, আমরা কেউ মুচকি হাসছি কিংবা মুখ ও বধির হয়ে শুনেই যাচ্ছি।যিনি একজীবনে নিজের কাজেই সফল নন, তিনি আমাদেরকে দেশবাসিকে নসিহত করার অধিকার রাখেন কি না এটা আমার জিজ্ঞাসা।

২।একজন সাংবাদিক সমপাদক। ছাত্রজীবনে একটি বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।কোন কোন দিন একাধিক চ্যনেলে ও দেখা যাবে।ছাত্র জীবনে একটি বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।সাংবাদিক কোথাই ছিলেন কতদিন ছিলেন আমরা কেউ জানি না।একটি ইংরেজি পত্রিকা সম্পাদনায় অনেক সময় ব্যয় করতে হয় বলে আমার ধারনা।মজার ব্যপার হল ছাত্রজীবনের এই বামপন্থি সম্পাদক এখনও প্রচুর বিপ্লবি কথা বলেন যদিও একদম চরম ডানপন্থি বলে পরিচিত হলিডে গ্রূপ একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক এখন। একজন সম্পাদক মানে দুনিয়ার তাবত বিষয়ে বিশেশজ্ঞ হবেন এমন কেউ আশা করেন না।উনি সব বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্ত দেখিয়ে আমাদের হাসির উপাধান যোগাচ্ছেন।মজার ব্যপার হল অনেকদিন সম্পাদক থেকেও উনার নিজের পত্রিকার প্রচার সংখ্যা এখনো এক হাজারের ও নীচে।শুনতে পাই তার আবার অধেক সোজন্য সংখ্যা হিসাবে দেওয়া হয়।নিজের সম্পাদনায় যদি একটু মনযোগ দিতেন তাহলে এত বছর সম্পাদক থেকে অন্ততঃ একটি সম্পাদকীয় লিখতেন যা নিয়ে কোথাও একটু হলেও আলোচনা হত। নিজের কাজ ঠিকমত না করে অন্যকে হেদায়েত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
(চলবে)
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×