somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তনির ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাটি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তনি মেয়েটা সব সময় হাসে কিন্তু যখনই একা দেখি শুধু কাঁদে। অনেক রহস্য মনে হয় তনির জীবনটা।
- আচ্ছা মেয়েটা এমন করে কেন?
কে দেবে আমাকে উত্তর? আমি যে আমাকেই প্রশ্ন করছি।
গত কালের হতাশার ছাপ আজ আর তার মাঝে নাই, যেন গতকাল কিছুই হইনি। না হলেই ভাল, আমিত চাই এই মেয়েটা সব সময় খুশি থাকুক। কিন্তু কেন যানি খুশির ভিতরে লুকিয়ে রাখে এক রাশ কষ্ট।
যখনি বলি কিরে মন হারাপ? এক রাশ হাঁসি দিয়ে বলে আরে না তুই শুধু শুধু এই হাবিজাবি চিন্তা করিস।
তনি ভাল করেই জানে আমি ওকে অনেক ভালবাসি, সে শুধু একটা কথাই বলে আমাকে ক্ষমা করিস আমি তকে ভালবাসতে পারবনা। কিন্তু কেন পারবেনা তার কোন উত্তর দেইনা।
আজ রাত ১১টা মোবাইল বেজে উঠল, একি তনির ফোন? সে কখনোই এত রাতে আমাকে কল দেইনা।
ফোন রিসিব করতে বুঝতে পারলাম তনির মনটা খারাপ, কিন্তু এই মেয়েটা কখনোই বুঝতে দেইনা চিরাচারিত নিয়মে সে বল্ল -
- শরিফ তোকে বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত, আসলে ঘুম আসছিলনা তাই তকে একটা কল দিলাম। কিছু মনে করেছিস?
- কি বলিস এখন মাত্র ১১টা আমি কখনোই রাতের ১২টার আগে ঘুমাইনা, এখন বল কেন ফোন করেছিস?
- তুই একদিন জানতে চেয়েছিলিনা আমি কেন তোকে ভালবাসতে পারবনা?
- হ্যা, সে অনেক আগের কথা আজ হঠাৎ মনে হল কেন?
- দেখ তুই সব সময় আমার জন্য অনেক কিছু করিস, আমি জানি তর মত করে কেও আমাকে ভালবাসবেনা এর পরেও তকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে শরিফ। প্লিজ আমাকে তুই মাফ কর।
- তুই পাগলের মত কি বলছিস? শান্ত হয়ে সুন্দর ভাবে কথা বল। আমি ষ্পষ্ট তোর কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। শুন আজ আমার হাতে অনেক সময় আছে রাতে একটার পরে ঘুমাব তুই আস্তে আস্তে কথা বল।
- কিভাবে শুরু করব কিছুই বোঝতে পারছিনা তবু বলছি - আমি তোকে ফিরিয়ে দেবার একমাত্র কারন হল তর ন্যাশনালিটি ''বাংলাদেশি''
তুই জানিস পৃথিবীতে আমি এই জাতিটাকে অনেক ঘৃণা করি, আজথেকে ২ বছর পূর্বের কথা আমি আমার দেশে একটা কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসাবে কাজ করি, হাসি খুশি আর আনন্দে কাটছিল আমার দিন। আমি সকল শ্রমিককে অনেক ভালবাসতাম ওরাও আমাকে ভালবাসত, উদের যে কোন সমস্যায় আমি বসের সাথে কথা বলতাম। আমার নতুন সংসার খুব সুন্দর চলতেছিল,
একদিন -
আমার এক খুব প্রিয় ওয়ার্কার ডাকল ম্যাডাম একটু এদিকে আসেন, ফ্যাক্টরীর সবাই দুপুরের খাবারের জন্য বাহিরে চলে গেছে শুধু ও একা একা এটা সেটা করছে। ছেলেটা অনেক কাজ করে বলে আমি তাকে খুব পছন্দ করি। আমি ওর কাছে গেলাম সে আমকে একটা প্রোডাক্ট দেখানোর কথা বলে পাশের রুমে নিয়ে গেল। এখানে আগে থেকেই বসা ছিল আরো ২জন বাংলাদেশি শ্রমিক, এরা সাথে সাথে লাইট অফ করে দিল এবং আমাকে পাকরাও করে ফেল্ল। আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না শুধু অসহায়ের মত তাকিয়ে ছিলাম তিনটা ছেলের দিকে যাদের কে আমি এত ভালবাসতাম এরা আজ আমার এতবর সর্বনাশ করছে।
নিজেকে বিশ্বাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে কখনো ভাবছি এটা একটা স্বপ্ন কিন্তু গবির ঘুমে আছি বলে স্বপ্নটা শেষ হচ্ছে না।
কিন্তু যখন এরা এক এক করে আমাকে বিবস্ত্র করে ফেল্ল তখন আমি শুধুই নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিলাম আমি মানুষকে ভালবাসতে ভুল করেছি, আমি জীবনের এক কঠিন সত্যের দিকে যাচ্ছি। শনিবার হাফডে আমার অফিস তাই অফিসের সবাই ভাবছে আমি চলেগেছি, কিন্তু কেও জানেনা আমি এই অফিসের নরক নামক একটা রুমে আটকা আছি। পরদিন রবিবার প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট বন্ধ। এরা আমাকে এই দুইদিন আটকিয়ে রেখে ...............
বিশ্বাস কর শরিফ আমি কখনোই কল্পনা করিনি আমি এই ছেলেগুলি দ্বারা কখনো ধর্ষিত হব। আমি সবসময় ভাবতাম আমার জন্য এই ছেলেগুলি জীবন পর্যন্ত দিতে পারবে। এর পরথেকে আমি বাংলাদেশকে ঘৃণা করি, ঘৃণা করি তদের সবাইকে। তদেকে মানুষে কাতারে নিতে আমার খুব কষ্ট হয়, তুই যদি রাগ করিস আমার তাতে কিছুই করার নাই। কথা না বল্লেও আমি বলবনা কেন কথা বলছিস না?
তনি অনেক উচ্চস্বরে কথা বলছে বুঝতে পারছি সে কাঁদছে, আমি কিছুই বল্লামনা শুধু শুনে গেলাম। আমি যানি এই মূহুর্তে কিছুতেই তনির কান্না থামানো যাবেনা, আজ সে সুধুই কাঁদবে।
আমি কিছু একটা বলার চেষ্টা করছি তনিকে, সাথে সাথেই সে গর্জে উঠে বল্ল
- চুপ, আর একটা কথাও বলবিনা। আজ থেকে তুই আমার ফ্রেন্ড না।

তনির আজকের কথায় আমি একটুকু কষ্ট পেলামনা শুধু নিজেকেই ধিক্কার দিচ্ছিলাম আর বলছিলাম
- বাংলা মা তুমি কেমন সন্তান তোামর বুকে ঠাই দিয়েছ যারা তোমার নামকে একটা ঘৃণার বস্তুতে রুপান্তর করেছে। কোন একদিন গর্ব করে বলতাম আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী হয়ে জন্ম নিয়েছি বলে, আর আজ নিজেকে ধিক্কার দেই আমার পূর্বজন্মের কোন কঠিন পাপের ফল এই বাঙ্গালী হয়ে জন্ম নেওয়া।


(একটা মেয়ের জীবনের সত্যি একটা গল্প, উর ঘৃণার অংশটা সম্পূর্ণ উর মত করে দিলাম। প্লিজ যারা দেশের বাহিরে থাকেন অন্তত্য দেশ মায়ের কথা ভেবে এই ধরনের ঘৃণার কাজ থেকে দূরে থাকুন। সকলের প্রবাস জীবন আনন্দের হোক)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×