somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসার ডিজুস সময়

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেন্টুদের বাড়ীর পার্কিং এরিয়ায় কার থেকে নামতেই ওদের শেফার্ড জিমি ঘেউঘেউ করে ওঠে। সেকেন্ড ফ্লোরের ব্যালকনিতে শেন্টু লাভ বার্ডগুলার সাথে খোঁচাখুচি করতেসিল। আমাকে দেখে শাউট করে - 'ম্যাক্স, ই-য়ো ম্যা-এ-ন! এতো আর্লি আর্লি কাহিনী কি?'
আমি জিমির দিকে তাকাই - 'দোস্ত, তোগো জিমি কি বান্ধা আছে?'
-'কাওয়ার্ড ম্যা-এ-ন!!! কিশসু হবে না, সোজা কাম ইন।'
এই হালাদের বাসায় আসা বহুত ঝামেলা, কুত্তা জিমির ঘেউঘেউ, মেইন গেইটে কেডস খুলে তারপর হাঁটা লাগে। আমার এইসব ভালো লাগে না অ্যাট অল। খালি পায়ে টাইলসের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে ঊঠতে নার্ভাস লগে, আই ফিল, স্লিপ করে পড়ে যাবো। শেন্টুর রুমে ঢুকে দেখি আগের ডিভানটা নাই। ফ্লোরে ম্যাট্রেজ বিছানো, কুশনের পাশে ল্যাপটপ, রুমের রাইট কর্নারে টোশিবা সাউন্ড সিস্টেম, ওয়ালে টুয়েন্টি ফোর ইঞ্চি সনি ফ্লাটস্ক্রীন টিভি। টাইলসগুলোও নতুন নতুন লাগতেসে। কুশনটা সরায়ে বসতেই আই ওয়াজ লাইক থান্ডার্ড। শেন্টু তার মিস্টিরিয়াস হাসিটা আমাকে ছুড়ে বলে - 'হো-য়া-ট-স আপ, বাডি। এমুন টাশকি খাইলি ক্যানো?'
পৃষ্ঠা উল্টাই পাল্টাই - 'এই রেয়ার কালেকশন, হাউ কাম?'
- নোরা।
- হোয়াট? এই জিনিশ নোরা দিসে?
- ইয়াপ।
- আজকাল খুব লাল হইতেসো মনে হয়!

এইচবিও'তে 'বর্ন টু রাইড' চলতেসে। স্কীন টাইট স্ক্র্যাচ জিন্সের জিপার টেনে শেন্টু পেছনে আন্ডারওয়্যারের রিবনটা বের করে দেয়। রুবার , স্পষ্ট পড়া যায়। আসল ব্র্যান্ড। ওর প্যান্টটা মনে হয় নিউ - 'এইটা ব্যাক রজারস, নাকি গ্যাজস?'
- 'স্যর-ই মাইট, ঐসব ক্ষ্যাত জিনিশে আমি নাই। এইটা লেটেস্ট - স্পিরিট নেক্সট।' মেটালিক বেল্টের হুক সেট করতে করতে শেন্টু লাইটারটা শো করে। বেল্টের সাথে কালার ম্যাচ করা, ব্লু ফেম। পুরা জোস। পয়জন'র ঘ্রাণটা পুরা রুমে ছড়িয়ে পড়ে। রাইট দ্যাট মোমেন্ট ঝনঝন করে বাজে - দরদে ডিসকো দরদে ডিসকো ওম শান্তি ওম, শেন্টুর এইচ-পি আই প্যাক এস ডব্লিউ সিক্স ফাইভ ওয়ান ফাইভ। নোরার ফোন।
- 'ইয়াপ, জা-ন। হোয়াট? রিয়েলী! ঝা-ক-কা-স হইসে, ঝা-ক-কা-শ।'
শিন্টুরে এক্সসাইটেড মনে হইতেসে - 'হোয়াট'স আপ? হইসে কী?'
- নিশিতা ইজ ব্যাক ফ্রম ব্যাংকক ।
- 'ক-ঠি-ন'।
- 'লেটস মুভ, ইয়ার ।'

দুই
ডমিনাসের ব্যূফেতে আজ ক্রাউড নেই তেমন। শেন্টু নোরাকে ফোন দিচ্ছে, কুইক জা-ন। নিশিতা দূর থেকে দৌড়ে এসে আমাকে সফটলি হাগ করে - 'তুই ফ্যাট গেদার করলি কবে দোস্ত?' আমি মাসলটা কার্ভ করে বলি - 'ফ্যাট কই? দেখ! তুই স্লিম হইলি ক্যামনে? ব্যাংককে খাস কি?'
- 'আর কইস না দোস্ত, ফুড ইজ অ্যা রিয়েল প্রব দেয়ার। ঠু স্পাইসি।'
- হট?
- ইয়াপ।
- লাইক য়্যূ, অর মোর?
- অই কুত্তা, শুওর, বান্দর। ডি জি এম।
- হোক্কে সুইট হার্ট।
- তাইলে খাস কি?
- লাঞ্চে 'টেস্ট অব ইন্ডিয়া'। কাঁচা মরিচ দিয়ে ডাইল-ভাত খাই। ডিনারে হোস্টেলের ফ্রায়েড রাইস। খাই আর কান্দি। খাই আর কান্দি।
শেন্টু গল্পে জয়েন করে - 'হাউ অ্যাবাউট ব্যাংকক?'
- লটজ অব ফান। ফ্রিডম। ফ্রেন্ড।
- গ্র্যাড কবে?
- দেরী আছে রে, দুইবার প্রোবেশন খাইসি।
- তারপরে এমবিএ?
- আরে না। পড়ালেখার গুষ্টি কিলাই। তোরা দেশে অনেক মৌজ মাস্তি করোস। আই ডোন ওয়ান্যা মিস মোর - - -
আমি এবার নিশিতার পাশের চেয়ারে বসি - 'দোস্ত আমারে ব্যাংকক নিয়ে যা। অ্যাবাক-এ ক্রেডিট নিবে না?'
- 'এই লাস্ট মোমেন্টে কি গিয়ে কি করবি? তোর ইন্টার্ন কবে?'
- 'ও-নো- ও, দিল্লী দূর আছে ইয়ার। আমারে ব্যাংকক নিয়ে যা। এইসব ক্যাচাল আর ভাল্লাগে না। '
- 'ডোন্ট অ্যাক্ট লাইক অ্যা কিড, হে-ই হোয়াটস আপ?' নিশিতা ভ্রু কুঁচকায়।
- 'বাপের ঘ্যানঘ্যান ভাল্লাগে না। হি আন্ডারস্ট্যান্ডস নাথিং।'
শেন্টু খ্যাকখ্যাক করে হাসে - 'শুরু হইসে?'
নিশিতার অ্যাটেনশন আমার দিকে।
'বাপরে কইলাম, তুমি রি-রোলিং স্টিল কারখানার মানুষ, ওখানেরই থাকো, এর বাইরে আইসো না। আমারে আমার মত চলতে দাও। বাপ বালছাল কিসসু বুঝে না। সারাদিন প্যানপ্যান। এত টাকা কই নিই, কিসে খরচা করি। এইসব ভাল্লাগে না।'
- 'পুঅর ফেলো!'
নিশিতার নি:শ্বাসটা একেবারে আমার বুকের ডেপথে টাচ করে।
'কী তোমরা আমারে বাদ দিয়া ধুমাইয়া আড্ডা দিতেসো?' লিকলিকে শরীরের নোরা 'ইউঊউ, ফেয়ারী উইচ' চিৎকারে কুঁকিয়ে ওঠে। নিশিতা উঠে নোরাকে লাইট কিস করে।
- 'সৌ লং টাইম - - -। '
- ' তোমরা কী এতো আলাপ করলা?'
- 'এমনিতে, কিসু না। ফাও গ্যাজাইতেছি।'
নোরাকে পেয়ে শেন্টুর মুখে হাসি ফুটছে। এই সুযোগে আমাকে কিক-কমেন্ট করে - 'আমাগো ম্যাক্সের মন উদাস, একটা চিক দরকার।'
নোরা আঁতকে উঠে - 'ক্যা, রিপার খবর কি?'
- 'হু ইজ রিপা?' নিশিতাও কিওরিয়াস।
আমি ব্রোকেন হার্ট, বুক চাপড়াই - 'নাইটমেয়ার, অল নাইট মেয়ার।'
- 'দোস্ত তুই টোটাল কয়টা ড্রপ আউট করলি, হিশাব আছে?'
- ' হাইড আউট শেষ?' নোরাও খোঁচা দেয়।
- 'আবার জিগস? রোমিও নেভার ক্রাইস।' নিশিতা আমার পিঠে চাপড় দেয়।
- 'আয়্যাম হাঙরী।'
- 'মী ঠু।'
ডমিনাসে তখন ব্রায়ান অ্যাডামস - 'আই উ'ন্ট কুইট, অ্যা উইল গো ডাউন উইথ মাই শীপ, আনটিল আই ফাইন্ড য়্যূ।'

তিন
নিশিতাদের রুফটপে সুইমিং পুল। আমাদের এবারের গেদারিংটা অনেকদিন পর। হাল্কা শীত শীত লাগতেসে। নোরা সাভারিয়া জ্যাকেট পরেছে। নতুন ট্রেন্ড।
- 'তোরা কেউ বইমেলায় গেসিলি?'
- 'হোয়াট?'
- 'বই মেলা। একুশের মেলা।' নিশিতা মাথা তুলে তাকায়।
- 'য়্যূ গট ট্র্যাশ ইন ব্যাংকক, প্যাল। হোয়াট দ্য হেল দেয়ার? বেটার গো এটসেট্রা, বুক ওয়র্ম; য়্যূ উইল ফিল বেটার।'
- 'আমি গেসিলাম ওয়ান্স, প্রোগ্রাম ইভেন্ট।' নোরা একটি প্রাইভের রেডিওর জকি। হেভবী পপুলার। পোলাপাইন পুরা পাংখা। রিসেন্টলি একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে পড়তেসে। ফেব্রুয়ারী মাসে মিউজিক ট্র্যাকের ফাঁকে ফাঁকে একুশে নিয়ে ইনফো দেয়া লাগে।
শেন্টু ব্যাগ থেকে হ্যানিক্যান বের করে - 'ক্যান য়্যূ ম্যানেজ সাম হট ওয়াটার?'
নিশিতা তুচ্ছ হাসি হেসে ভেতরে যায়।
- 'ইটস গন্যা বি অ্যা মেমোরঅ্যাবল নাইট আউট'। শেন্টু গুনগুন করে সুর তোলে।
নিশিতা আসতেই নোরা চিৎকার দেয় - 'ও-ই য়ে। পু-উ-রা জটিল, গুরু।'
আমি তাড়াতাড়ি হান্ড্রেড পাইপার্স হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করি - 'ফ্রম ব্যাংকক?'
- 'হোয়াটস আপ ড্যুড? লেভেল পড়ে দ্যাখ, জি বি জি' নিশিতা ধমক দেয় - 'অনেক কষ্টে কাস্টমস পার হইসি'।
- 'ফা-টা-ই-য়া ফেলছোসরে দোস্ত - - -'। শেন্টুর উল্লাস।

রাতের গভীরতা বাড়লে কুয়াশার কারণে চাঁদ দেখা যায় না। আমরা পারস্পরিক ঘন হয়ে আসি আর রুমের ক্যান্ডেলগুলো রোমান্টিক হয়ে ওঠে ক্রমাগত। নিশিতা আমার কানের কাছে ফিসফিশ করে - 'উইল য়্যূ বি মাই ভ্যালেন্টাইন?' কিউপিডের তীর এবার আমাকে অবশ করে দেয় - 'লেটস মেইক আউট টু নাইট - - ?'

ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁলে গ্লাসের টুং-টাং শব্দে চিয়ার্স ধ্বনিত হয়।
শেন্টু-নোরা আমাদের ভ্যালেন্টাইন উইশ করলো কিনা সেটা মনে পড়ে না।

_______________________







লেখাটির কিছু কিছু শব্দ নতুন মনে হতে পারে। তাদের জন্য 'সরল ডিজুস ডিকশনারী':
১) আবার জিগস = পুনরায় জিজ্ঞাসা
২) হোয়াট'স আপ ড্যুড! = বন্ধু কি খবর?/কি হয়েছে?
৩) ই-য়ো ম্যা-এ-ন = আরে তুমি?
৪) হেই হোয়াটস আপ = কুশল জিজ্ঞাসা
৫) পু-উ-রা টশকি = হতভম্ব হওয়া অর্থে
৬) ফাও গ্যাজানো = অহেতূক আড্ডা
৭) আজাইরা প্যাচাল = কারণবিহীন বকবক
৮) ও-ই য়ে = আশ্চর্য হ্যাঁ-বোধক অর্থে
৯) ও-নো-ও = না বোধক
১০) ফা-টা-ই-য়া ফেলসি = দারুণ বা অসাধারণ অর্থে
১১) প্যাল = কাছের বন্ধু সম্পর্ক
১২) জোশ = মুগ্ধতা প্রকাশ
১৩) নাইট আউট = রাতের পার্টি (সারারাত ব্যাপী)
১৪) ড্রপ আউট = প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া
১৫) ধুমাইয়া আড্ডা = দীর্ঘক্ষণ আড্ডা
১৬) মেইক আউট = অতি ঘনিষ্টতার সম্পর্ক
১৭) হাইড আউট = ঘনিষ্টতার স্থান/ রোমান্স স্পট
১৮) পাংখা = ভক্ত, অনুরক্ত/ অতিরিক্ত স্মার্ট
১৯) খুব লাল = রোমান্টিকতার মাত্রা বোঝাতে
২০) ক-ঠি-ন = মুগ্ধতা প্রকাশ।
২১) ঝাক্কাস = চমৎকার
২২)চিক = বান্ধবী
২৩) ডি জি এম = দূরে গিয়া মর
২৪) জি বি জি = গাধার বাচ্চা গাধা
২৫) ক্ষ্যাত = রুচিহীন/পুরোনো
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×