somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে কথা সন্তানকে কখনোই বলা যাবে ন....

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাচ্চারা স্বভাবতই বড়দের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। আপনি হয়তো সারাদিন বাচ্চার দুষ্টুমিতে অতি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং একটা সময়ে যাচ্ছেতাই বলে বকা দিচ্ছেন তাকে। ভাবছেন সে তো বাচ্চাই, একটু বকাঝকা করলে ক্ষতি কি?

অথচ কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি যে হয়ে যাচ্ছে বাচ্চার মনস্তত্ত্বে তা আপনি ধারণাও করতে পারবেন না। তার ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সাথে সাথে আপনার সম্পর্কেও তার মনে ভয়, ঘৃণা বা রাগের শেকড় ছড়াচ্ছে যা থেকে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির অবতারণা হতে পারে।

এমন কিছু কথা আছে যেগুলো বাচ্চার সামনে কোনভাবেই বলা যাবে না অথচ একটু রাগ বা বিরক্তি হলেই আমরা চিন্তা না করেই সেগুলো বলে ফেলি। পরে আক্ষেপ হলেও কিছু করার থাকে না, যা ক্ষতি হবার তা হয়ে গেছে ততক্ষণে। দেখে নিন এই কথাগুলো কি হতে পারে।

তোমাকে রেখে চলে যাবো কিন্তু!
বাচ্চা খুব দুষ্টামি করছে। হাত পা ছুড়ছে। অকারণে জেদ করছে। বিরক্ত হয়ে বলেই ফেললেন এ কথাটা। সত্যি সত্যি তো আর নিজের বাচ্চাকে ফেলে রেখে যান না কেউ। কিন্তু বাচ্চার মনে অকারণেই একটা ভয় সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং আপনার ওপর থেকে তার আস্থা কমে যেতে শুরু করবে একদম কচি বয়স থেকেই।

তোমার ভাইয়া/আপুর মতো লক্ষ্মী হতে পারো না?
প্রত্যেকটি শিশুই স্বতন্ত্র। আপনি অবহেলা করে তাকে এবং তার ভাইবোন/কাজিন বা অন্য কোনও বাচ্চার সাথে তুলনা করতে পারেন। এতে তার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব গঠনে ছেদ পড়বে। আর নিজেকে অন্যের চাইতে ছোট মনে করা শুরু করবে সে।

তোমার লজ্জা হওয়া উচিত!
একটা ছোট বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে সব কাজই করে নিষ্পাপ উদ্দেশ্য নিয়ে। ভুল করে ফেললে তাকে বোঝাতে হবে যে কাজটা ঠিক নয়। কিন্তু সে যখন বুঝতে পারছে না ভুলটা কি করেছে, তখন এসব কথা বলে তাকে বিভ্রান্ত করার কোনও মানে হয় না।

আমি যা বলবো সেটাই করতে হবে!
আবারো বলছি, বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে একটা কাজ করতে চাচ্ছে না। যেমন সবজি বা দুধ খেতে আপত্তি করছে। এমন সময়ে একটু ধৈর্য ধরে তাকে বোঝান কেন সেটা খেতে হবে, প্রয়োজনে গল্পের মতো করে উপকারিতা বর্ণনা করতে পারেন। কিন্তু জোর করে, বকা দিয়ে কাজ করাতে গেলে তার মাঝেও জেদ তৈরি হবে।

দাও, আমি করে দিচ্ছি
বাচ্চা ছোটোখাটো কোনও কাজ করতে গিয়ে হয়ত বেশ ঝামেলা তৈরি করে ফেলছে। যেমন খাবার নিজ হাতে খেতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেলছে, গোসল করতে গিয়ে পানি ছিটিয়ে একাকার করছে, জুতো পরতে অনেক সময় নিচ্ছে। এ অবস্থায় ধৈর্য ধরে তাকে কাজটা শিখতে না দিয়ে অনেকেই বাচ্চার কাজটা নিজেই করে দেন। বাচ্চার উপকার করার বদলে এতে ক্ষতিই হয় কারণ এর ফলে বাচ্চার মাঝে পরনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আর আগ্রহ নিয়ে কোনও কাজ করতে গিয়ে বাচ্চা যখন দেখে মা অথবা বাবা সেটা করতে দিচ্ছে না তখন তার মাঝে বিরক্তি তৈরি হয়।

তোমার জন্যই আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে!
এ ধরনের কথা বলাটি খুব বড় ভুল। বাবা মায়ের মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাচ্চা নিজে থেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, নিজেকে অবহেলিত এবং বোঝা বলে মনে করতে থাকে। এর মাঝে যদি তাকে এমন একটা কথা বলা হয় তবে প্রচণ্ড কষ্ট পাবে সে। বাবা মায়ের দোষের বোঝা তাকে কখনোই বহন করতে দেবেন না।

তুমি না জন্মালেই ভালো হত!
নিজের সন্তানকে ভালবাসলে এমন হৃদয়হীনের মতো কথা বলা সম্ভবই না। বাচ্চার মনে কেমন কষ্ট লাগবে সেটা বলে দেবার প্রয়োজন নেই। আপনি নিজেই ভাবুন তো, আপনার বাবা মায়ের কাছ থেকে এমন কথা শুনলে কী রকমের আঘাত পাবেন আপনি?

সংগ্রহ: http://bdlive24.com/news/news_description/9609
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×