বাংলা অভিধানে লালবাতির এলাকা নামে বিশেষ একটা জায়গা আছে।মানুষ টাকার বিনিময়ে জৈবিক চাহিদা মেটাতে যায় সেখানে।আর কেউপেট বাঁচাতে নামে সেই কাজে।যাকে খাটি বাংলায় পতিতালয় বলে।
সন্ধা (মানুষের দেয়া নাম) মেয়েটি কদিন হল অসুখ থেকে উঠেছে।কাজে যেতে পারছে না।কাজের জন্য রাতে বের হতে হয়।বৈরী আবহাওয়া,খদ্দের পাওয়া যায়না।অসুখের জন্য কিছু টাকাঋণ ও করতে হয়েছে তাকে মালার কাছ থেকে।মালা তার বান্ধবী সেও একই কাজ করে।
যেভাবেই হোক ঋণের টাকা আগে শোধ করতে হবে।এ পথে এসেছে আজ প্রায় তিন বছর।খালা নিয়ে এসেছে দেশ থেকে ঢাকা শহরে।
সেদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেও কাজে বের হয় সন্ধা।রাত হলেও সেজে বের হতে হয় না হলে খদ্দেরের চোখে লাগে না।ভালো সাজ দিতে পারলে রেট টাও বেশি।দালাল পুলিশ নিয়ে যায় কাজের অর্ধেকের বেশি টাকা।
পথে পথে ঘুরতে হয়,বিশেষ কিছু জায়গা আছে কাস্টমাররা আসে।বৃষ্টি তাই আজ মানুষ কম।তবুও যাদের অনেক ক্ষিধা ঠিকই আসবে,সন্ধার ও পেট বাঁচাতে হবে অন্য উপায় নেই।
কয়েকজনের সাথে কথা বলছে, কিন্তু ধর দামে মিলছে না।রাত প্রায় অনেক হয়ে গেছে।গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও বাড়ছে।রাস্তা পাড় হবে,ঐপাশ টাই কিছু লোক দেখা যাচ্ছে।রাস্তাটা পাড়হওয়াও অনেক কঠিন।
লোক গুলি চলে যাচ্ছে তাই দ্রুত যেতে হবে দুদিক না দেখেই দৌড় দিল সন্ধা কিন্তু রাস্তাটা আর পাড় হতে পারলো না, একটি প্রাইভেট কার চাপা দেয় সন্ধা কে।
আশপাশের লোকজন জড় হয় সেখানে,লালবাতি এলাকায় খবর পৌছে যায় সন্ধা এক্সিডেন্ট করেছে।পুলিশ আসে,পুলিশ দেখে মানুষ জন সরে পড়ে।তখনো দেহে প্রান ছিল সন্ধার।পুলিশ হাসপাতালেয় কথা বলে নিয়ে যায় সন্ধাকে।
রাত গড়িয়ে সকাল হয়,বৃষ্টির ভাব টা আজ কেটেগেছে।ঝকঝকে রোদ।সেই চির চেনা রাস্তা,বড় বড় গাড়ি শতশত মানুষ।রাতে এখানে কিছুহয়েছিল বুঝারই উপায় নেই।কয়েকটা মানুষ কয়েকটা হাসপাতালে সন্ধার খোঁজ করেছিল কিন্তু সন্ধানামের কোন রোগী এখানে ভর্তি হয় নি।থানায় ও গিয়েছিল,তারাও কিছু জানে না।
একটি সন্ধা রাতের অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে গেল,এভাবে হয়তো প্রতিদিন নতুন করে অদৃশ্য হয়ে অন্য কোন সন্ধা জীবন।কিছু মানুষ চিরকালই অন্ধকারে থেকে যায়।।