প্রথম জৈবনিকবোধ উন্মেষের দিনে তোমায় কতো ভালোবেসেছি
হৃদফাগুনে তোমার সুরের ঘোরে ঘোরে মাতাল হয়েছি!
আমার দেশের রাখালিয়ার বাঁশির সুরে তোমায় বুঝেছি!
আজ বদ্বীপ জুড়ে জ্বলছে যখন ঘৃণার আগুন, শিল্পমনা
মানুষগুলোর কোমল ত্বকে আর্তনাদের কাতর নদী, এমন সময়
কেমন করে তুমি বাজলে বাঁশি? বাংলাদেশের নিদানকালে
কার কপালে আঁকলে তিলক? শিল্প তুমি কাদের দাসী? কারা তারা?
পেট্রোল বোমায় শ’য়ে শ’য়ে মানুষ মেরে মুমূর্ষকে পথে ফেলে,
হুজুগ নামের শিল্পবোধে মাথা দোলায় তোমার সুরে? কারা তারা?
“ চৌরশিয়া রক্স, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মোহময়ী সুরে যাচ্ছি পৌঁছে অমরলোকে”
স্মার্ট ফোনে স্টাটাস লিখে দ্রুত লয়ে কানের ভেতর তুলো গুজে
ঘন ঘন তুলছে জৃম্ভণ কারা ওরা? অমরলোকের তারা কি সব মানুষ চেনে?
মানুষ বোঝে? পুড়ে মরা স্বজন হারার আর্তি বোঝে? মানুষ যদি
তারা নাই বা বোঝে কাদের জন্য বাজাও তুমি, চৌরশিয়া? শাস্ত্রবোদ্ধা
পিশাচ তারা, এয়ার উইকের সুগন্ধিতে পোড়া লাশের গন্ধ ঢাকে?
যারা শিল্পবোদ্ধার মুখোশ এঁটে জাতে উঠার ফিকির করে?
সব সুশীল, টকশোজীবি, প্রতিক্রিয়াশীল আজ সমঝদার আর বোদ্ধা তোমার!
এদের সহমতের আগুনেই তো পুড়ে গেলো এমন করে সোনার বাংলার
ধুলো মাখা মানুষগুলো, তোমার বাঁশি শুনবে কারা? মানুষের ভেতর মানুষ যদি নাইবা বাঁচে? বাঁশি তুমি কেমন করে শিল্প হবে? মানবতার সুরটি যদি
তোমার বুকে নাই বা বাজে? ছি: চৌরশিয়ার বাঁশি ছি:!