নাটোরে হরতালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে জেলায় তিন দিনের হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
Published : 02 Dec 2013, 11:50 AM
সোমবার বেলা ১১টা থেকে জেলাশহরের ভবানিগঞ্জ মোড় থেকে উত্তরা সুপার মার্কেট পর্যন্ত দুই কিলোমিটারজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দুই দফায় সংঘর্ষ হয়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুজন নামের একজন নিহত হন বলে সদর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন।
আহত পাঁচ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংঘর্ষে তাদের পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেয়ার পর যুবদলকর্মী সুজন মারা যান।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নাটোরে হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
সংঘর্ষে জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ডালিম, রনি, আরিফ, জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন।
তবে পুলিশের সদর সার্কেলের এএসপি তরিকুল ইসলাম বলেন, সুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। ওই ঘটনার সময় পুলিশ কোনো গুলি করেনি। কার গুলিতে মারা গেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনজনের গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।
ময়না তদন্তের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেউ মামলা করেনি।
কিছুক্ষণের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এখানে যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ডালিম ও এক স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনার কিছু সময় পর আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম সমর্থকদের নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের দিকে যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বিএনপিকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে সেখানেও সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ।