টানা অবরোধের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় ভেঙে পড়েছে পূর্ব রেলের ট্রেনসূচি।
Published : 02 Dec 2013, 03:34 PM
ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় রোববার রাতে কুমিল্লার রাজাপুর ও শশীদল রেল স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী লাইনচ্যুত হওয়ায় ১৮ ঘণ্টায় পাঁচটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে নির্ধারিত মহানগর প্রভাতী চট্টগ্রাম ছেড়ে গেলেও ঢাকার বদলে এই আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শেষ হবে কুমিল্লায়। আরো দুটি ট্রেন সাত ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও সেগুলো কখন গন্তব্যে পৌঁছাবে- তা কেউ জানে না।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের মাস্টার মো. জাফর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার ট্রেন দুর্ঘটনার পর রাতে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথার যাত্রা বাতিল করা হয়।
“রাত সাড়ে ১০টার ঢাকা মেইল সাত ঘণ্টা দেরিতে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় এবং সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস রোববার রাত সাড়ে ৯টার বদলে সোমবার ভোর ৪টা ১০ মিনিটে ছেড়ে গেছে।”
এছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলী ও চট্টগ্রাম মেইল এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস লাইন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পারেনি বলে জানান তিনি।
স্টেশন মাস্টার জাফর জানান, সোমবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলীর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
“রেলের যাত্রা বাতিল করায় যাত্রীদের টিকিট ফেরত নেয়া হচ্ছে। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণেও অনেক যাত্রী টিকিট ফেরত দিচ্ছেন।”
বিরোধী দলের অবরোধে নাশকতার কারণে গত ২৫ নভেম্বর থেকেই পূর্ব রেলের শিডিউল ঠিক থাকছে না। এক জায়গার লাইন মেরামত করে ট্রেন চালু হতে না হতেই আরেক জায়গায় ফিসপ্লেট খুলে বা লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ২৫ নভেম্বর সুবর্ণ, মহানগর প্রভাতী, চট্টলা এক্সপ্রেসসহ ছয়টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। এরপর ২৭ নভেম্বর সুবর্ণ, মহানগর প্রভাতিসহ পাঁচটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়। বাকি সব ট্রেনই কমবেশি বিলম্বিত হয়।
২৮ নভেম্বর সিলেটগামী পাহাড়িকা ও ঢাকাগামী মহানগর গোধূলীর যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। রোববার পর্যন্ত অধিকাংশ ট্রেনই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দেরিতে ছেড়ে যায়।