somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুজাতা সিং এবং ‘পিরীতের খ্যাতা দিয়া জাইত্যা ধইরা মাইরালা’

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘দেহতত্ত্বের’ গান-‘পিরীতের খ্যাতা দিয়া জাইত্যা ধইরা মাইরা ফালা তুই যে আমারে’- অতি পরিচিত। ভার্সিটি লাইফে ট্যুরে গেলে বড় ভাইয়েরা গাইতেন , আমরা গলা মেলাতাম।

মাইন্ড খাইলেন? কিচ্ছু করার নাই। দেশে এখন মাইন্ড খাইবার কোনো ফুরসত নাই। 'হর্স পাওয়ার' ক্যামনে বাড়বে তার বর্ণণা সমেত কলিকাতা হারবালের বিজ্ঞাপন দাতা দেশের লোকজন দৃশ্যমান।
উপলক্ষ- জাতীয় নির্বাচন। এটা লইয়া তারা খেইলতেছেন। ‘হর্স পাওয়ার’ বাড়াবার দাওয়ায় নিয়া সর্বশেষ আইছেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সুজাতা সিং।

তার একদিনের সফরের জন্য সবাই রেডি। কারো সিডিউল পেতে সমস্যা হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেত্রী এবং কাগু এরশাদ। আর নিজের রাষ্ট্রের পরের মন্ত্রী মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো এক পায়ে খাড়া ছিলেন।

মান্নাদের গানের নায়িকা সুজাতা এসেছেন- বিশেষ বিমানে, বিশেষ সফরে, বিশেষ মিশনে। কিন্তু বিষুদবার সক্কালে ফিরেন- বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে। বেচারির জন্য কষ্ট লাগছে।
একজন জাঁদরেল ইনডিয়ান আমলা তার দেশের স্বার্থে পছন্দের সরকার চাইছেন। চাইতেই পারেন। তবে তার জন্য এতটা খুলে দেয়া ঠিক ছিল বলে মনে হয় না।
দল গুনে নিব্বাচনের কথা বলেছেন। বিম্বি গেলে গেলো না গেলে কি, চাটুয্যে মহাশয় সিইসি রকিব তো জানাইছে ২০টা দল নির্ব্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১১ শ প্রার্থী। তো ‘ঘণতন্ত্র’ চর্চায় কোনো সমস্যা নাই।

নিজের দ্যাশের উদহারণও দিছেন সুজাতা সিং। সেখানে নির্দলীয় সরকার নাই। তিনি যেটা বলেননি ,তার দেশের আমলাদের পরিপক্কতা, রাজনীতিকদের দূরদর্শিতা এবং ভ্যাজিটিরিয়ানদের উত্থানের সাথে বাংলাদেশের হঠাৎ বিত্তে ফুলে ওঠা রাজনীতিকদের... সাথে তুলনা যৌক্তিক কি-না তা সুজাতার আন্তাজেই আছে বলে মনে হয়।

আনন্দ বাজার পত্রিকায় খবর- হিন্দুরা নাকি আম্লীগ ক্ষমতায় না আইলে ইনডিয়া যাইবো। আহাম্মকি কারে কয়। তাদের কি আনন্দবাজার বাংলাদেশের নাগরিক মনে করে না। সব নাগরিকের কাছে স্বদেশই শেষ গন্তব্য। যে রকম কাশ্মীর কিম্বা অন্য কোনো প্রদেশ_ মুসলিমরা মার খাচ্ছে। পালাচ্ছে না। যাদের স্বামী গুম হয়েছে, কথায় কথায় গুলি চলে- তার পরেও কি তারা পালিয়ে যাচ্ছে পাপিস্তান কিম্বা বাংলাদেশে। এটা হয় না।

যাক সেই কথা। সুজাতা ক্রাইসিস কমিউনিকেশনে এসেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সরকারি অফিস ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে’ মিটিং করেছেন। ২০ মিনিট ওপেনে। ৩০ মিনিট গোপনে। বিএনপির চেয়ারপার্সনের অফিসেও মিটিং করছেন। কাগুর বাসায় প্রেসিডেন্ট পার্কেও।
ঘটনা হলো- ‘হর্স পাওয়ার বাড়ানোর’ যে ‘দাওয়ায়’ নিয়া আফা আইসা ছিলেন সে দাওয়ায় কাজ হয় নাই বলে আপাত চোখে মনে লয়।

‘হারবালে’ কাজ করে দেরীতে, দেশে এখন ‘ইয়াবা’ পাওয়া যায়- (সৌজন্যে- আম্লীগের সাবেক এমপি বদি ভাই।)।
কাগু সুজাতারে কইছেন দ্যাশে এত সোন্দর সোন্দর জিনিস। তুমারে....!। গোস্সা হইছেন সুজাতা। এর পর পরই পুলিশ র‌্যাব কাগুর নিরাপত্তার দায়িত্ব লইছেন।

হঠাৎ কাগুর নিরাপত্তার মহান দায়িত্ব লইয়া র‌্যাবের এক কর্মকর্তা কইছেন- কূটনৈতিক পাড়ায় বসত করা লোকদের যে কল্যাণ সমিতি আছে উনারা কইছেন নিরাপত্তার লাগি তাগো দরকার। তাই ত্যানারা সেখানে জমায়েত।

শেষ পর্যন্ত কি অইবো কে জানে।

কাগুর বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা কইরতে বইলতেছেন আম্লীগের নেতারা। মনে লয় কাগুরে হান্দায়া দেবার ডর লাগায় ধরবো। আবার নাও ধরতে পারে। খেলাটা কোথায় গিয়া ঠ্যাকে কে জানে।

হুমমম...চোখের সামনে পোড়া স্বজনের লাশ, দলান্ধ-দলকানা গণমাধ্যম, বিত্ত বাঁচানোর ভয়ে ভীত রাজনীতিক- কেবল নূর হোসেনরা জীবন দিচ্ছে। জল্লাদরা উন্মত্ত নৃত্যে। ক্ষমতার হিসাব কষছে, ভীরু কারপুরুষ-লোভি, প্রতারক, গণতন্ত্রের ফেরিঅলারা। আমরা আম জনতা ভাবছি- কবে এই ঘোর অমানিষার অবসান।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×