প্রশ্নঃ একাত্তরে শহীদের সংখ্যা তিন লাখ নাকি তিরিশ লাখ ? কোনটি বেশী যুক্তি সংগত, গানিতিক ভাবে প্রমাণ কর।
উত্তরঃ
আমরা জানি,
একাত্তরে বাংলার জনসংখ্যা = ৭.৫ কোটি,
পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে = ৯২ হাজার,
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে = ২৬৬ দিন,
এবার একটু ক্যালকুলেটর নিয়ে বসি,
যদি,
শহীদের সংখ্যা ৩ লক্ষ,
তাহলে পাক বাহিনীর প্রতি সদস্য কে প্রতিদিন মারতে হবে = (৩ লক্ষ/ ৯২ হাজার) X ২৬৬ দিন = ৮৬৭.৩৯ জন কে।
যদি,
শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ,
তাহলে পাক বাহিনীর প্রতি সদস্য কে প্রতিদিন মারতে হবে = (৩০ লক্ষ/ ৯২ হাজার) X ২৬৬ দিন = ৮৬৭৩.৯ জন কে।
এবার একটু লক্ষ্য করুন
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ডাটা শিট অনুযায়ী প্রতিদিন আমাদের দেশে মানুষ মারা যায় = ৪১২১.৭ জন।
এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি জনাব,
একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে কি যুদ্ধ করতে এসেছিলো ? না কি হাডুডু খেলতে ?
এখন আমাদের দেশে আর যাই হোক যুদ্ধ হচ্ছে না, তবু প্রতিদিন চার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে
আর একাত্তরে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ বলে দাবিদার পাক বাহিনী প্রতিদিন মাত্র ৮৬৭ করে মানুষ মারতো? ৮৬৭৩ ও...তো অনেক কম বলে মনে হচ্ছে।
সুতরাং সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হল যে একাত্তরে যদি আসলেই কোন যুদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে শহীদের সংখ্যা মোটেও তিন লাখ নয় বরং তিরিশ লাখেরও অনেক বেশী।
(প্রমাণিত)
ত্রুটি একঃ
একটা কথা, একটু ভেবেছেন;
আমরা অংক করার সময় যেসব পাক আর্মি এদেশে মারা গিয়েছিল তাদের হিসাব করি নাই,
ওরাও নিশ্চয়ই কিছু বাঙ্গালীদের নিশ্চিত ভাবে মারতে পেরেছিলো (তাহলে এটা তো নিশ্চিত সৈনিক সংখ্যা ৯২ হাজারের বেশী হওয়ার কথা)
ত্রুটি দুইঃ
আরেকটা কথা,
আমরা যে রাজাকার আলবদর কিংবা বিহারীদের হিসাবই করি নাই,
অথচ ওরা যে হাজার হাজার মানুষ মেরেছিলো সেই বিষয়ে তো সন্দেহ নাই।
এবার আপনারা বলেন ত্রুটি দুটি দূর করা হলে হিসাব তিন লাখের দিকে যায়
নাকি তিরিশ লাখের দিকে?
এই লেখাটা আমার জন্য একটা অপমান জনক লেখা, তবু লিখতে হচ্ছে কারণ এই দেশে এখনও অনেক মানুষ আছেন যারা
"......নয় মাসে তিরিশ লাখ মানুষ মারা অসম্ভব......"
"......থ্রি লাখ বলতে গিয়ে থ্রি মিলিয়ন বলে ফেলেছে......"
-নীতিতে
বিশ্বাস করে। এদের সামনে আপনি যতই প্রমাণ উপস্থাপন করেন। এরা অস্বীকার করবে।
তবে সত্য, তা তো সবসময়ই প্রতিষ্ঠিত।
"বাতাসের হিমে তিরিশ লক্ষ শহীদের করতল
জনপদ জুড়ে হাওয়ার কোরাসে আহ্বান অবিচল;
আমাদের বুকে রৌদ্র লিখেছে নিহতজনের নাম
গণহত্যার বিচার করবো, প্রতিজ্ঞা করলাম..."
জয় বাংলা... জয় বাংলা... জয় বাংলা...
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন