বন্ধ হয়ে গেছে অবৈধ ঔষধের কালোবাজারি ওয়েবসাইট ‘শিপ মার্কেটপ্লেস’। ওয়েবসাইটটি থেকে বিপুল পরিমাণ বিটকয়েন (ভার্চুয়াল ক্যাশ) চুরি হয়ে যাওয়ায় সাইটটি বন্ধ করে দেওয়ার স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-- এমনটাই দাবি শিপ মার্কেটপ্লেস নিয়ন্ত্রকদের| তবে অনলাইনে টেক বোদ্ধাদের মন্তব্য, বিটকয়ের চুরির কথা বলে আসলে পুকুর চুরির ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে চাইছে সাইটটির নিয়ন্ত্রকরা|
Published : 06 Dec 2013, 05:06 PM
বার্তাসংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মোট ৫ হাজার ৪০০ বিটকয়েন চুরি হওয়ার দাবি করেছে সাইটটি। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার। ওই ঘটনার জন্য সাইটটির এক বিক্রেতা দায়ী বলে জানানো হয়েছে সাইটটির পক্ষ থেকে। সাইটের সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁত ব্যবহার করে এই বিপুল পরিমাণ বিটকয়েন চুরি করেন তিনি। শিপ মার্কেটপ্লেসের দাবি ২১ নভেম্বর ঘটে ওই ঘটনা।
অক্টোবরে শীর্ষ অনলাইন কালোবাজারি সাইট সিল্ক রোড বন্ধ করে দিয়েছিল এফবিআই। এরপরই কালোবাজারি সাইটগুলোর মধ্যে শীর্ষে চলে আসে শিপ মার্কেটপ্লেস। সিল্ক রোডের মতোই টর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হত শিপ মার্কেটপ্লেস। এখানেও পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন অবৈধ মাদকদ্রব্য এবং ঔষধ বেচাকেনার সুযোগ ছিল ব্যবহারকারীর জন্য। সাইটটি বন্ধ করে দেওয়ায় সাইটটিতে জমা থাকা প্রায় ৪ কোটি ডলার এখন ব্যবহারকারীদের নাগালের বাইরে।
শিপ মার্কেটপ্লেসের নিয়ন্ত্রকরা সাইটটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে ২১ নভেম্বরের চুরির ঘটনাকে দায়ী করলেও প্রযুক্তিবিষয়ক একাধিক সাইটের লেখক এবং ব্লগাররা পুরো ঘটনাটিকে ধোঁকাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন। কম্পিউটারওয়ার্ল্ড ব্লগ এবং প্রযুক্তিবিষয়ক ব্রিটিশ সাইট টেকিনিউজের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ৫৩ লাখ ডলার চুরির কথা বলে ৪ কোটি ডলার সমমূল্যের বিটকয়েন উধাও করে দিয়েছে শিপ মার্কেটপ্লেসের নিয়ন্ত্রকরা।
মাদারবোর্ড ভাইস ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০ নভেম্বর থেকেই বিটকয়েন তুলতে পারছিলেন না সাইটটির বিক্রেতারা। এ ব্যাপারে সোশাল নিউজ সাইট রেডিটেও অভিযোগ করেন সাইটটির বিক্রেতারা।
এরপর হঠাৎ করেই সাইটটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা আসে। ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকা বিটকয়েনের আংশিক ফিরে পাবেন বলে সাইটটির পক্ষ থেকে বলা হলেও এখনও তা ফিরত পাননি সিংহভাগ ব্যবহারকারী।