বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে মাওয়া ঘাটে আগুন দেয়া হয়েছে দুটি লঞ্চে। এছাড়া বাসে দেয়া আগুনে পুড়েছেন ঘুমন্ত এক পরিবহন শ্রমিক।
Published : 07 Dec 2013, 08:41 AM
শনিবার ভোররাতে এই নাশকতা চালানো হয় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার ওসি আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
গত তিন সপ্তাহ ধরে বিরোধী দলের অবরোধে বাস-ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও লঞ্চে আগুন দেয়ার ঘটনা এটি দ্বিতীয়। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছিলেন, নৌপথে নাশকতার পরিকল্পনাপর তথ্য সরকার পেয়েছে।
ওসি কালাম বলেন, রাত আড়াইটার দিকে মাওয়া নোঙর করা এমভি রাজিব-২ ও এমভি মাসুম লঞ্চে আগুন দেয়া হয়। স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেললে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।
এছাড়া এমভি সজল-১ ও এমভি হালিম নামে দুটি লঞ্চ ভাংচুর করা হয় বলে জানান তিনি।
ওই সময়ে ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে ‘গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহন’ এর একটি বাসে আগুন দেয়া হলে এর চালকের সহকারী আলমগীর হোসেন (২৩) অগ্নিদগ্ধ হন বলে ওসি জানান।
তিনি বলেন, বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন আলমগীর। আগুন দেয়া হলে তিনি পুড়ে যান।
শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
দুই দিন আগেই রাজধানীর সায়েদাবাদে হাসান নামে এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনিও আলমগীরের মতো বাসের ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন।
পার্কিং ইয়ার্ডের ঘটনার পর রাত সোয়া ৩টায় মাওয়া পেট্রোল পাম্পে থেমে থাকা গাংচিল পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এই বাসে কেউ ছিল না।
কারা আগুন দিয়েছে, তা সনাক্ত করতে না পারলেও বিরোধী দলের কর্মীদেরই দায়ী করছে পুলিশ।