somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসমাপ্ত . . .

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিঃদ্রঃ এই ঘটনাটির সমস্ত চরিত্র, স্থান, কাল, পাত্র সবই কাল্পনিক, যদি কোন জীবিত বা মৃত ব্যাক্তির সাথে এর কোন মিল থেকে থাকে তাহলে লেখক কোন ভাবেই দায়ী নয়।


বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরছে।তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর কল্যাণপুর গ্রামে।বাবুর মা,বাবা ওখানেই থাকে।বাবু তার মা,বাবার সাথে গ্রামের বাড়ি থেকেই ইন্টার পাশ করে। এরপরেই বাবু ঢাকায় চলে আসে।

বাবুদের বাসার পাশেই থাকতো তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়।বাবুদের সাথে তাদের খুবই ভালো সম্পর্ক।বাবুর ছেলেবেলা ওখানেই কাটে। বাবুর বেস্ট ফ্রেন্ড বলতে তখন ছিল মীম।বাবুদের সেই আত্মীয়ের মেয়ে।বাবু আর মীম একই সাথে স্কুলে পড়ত। স্কুল জীবন শেষে বাবু ঢাকায় চলে আসে আর মীম ওখানেই তার পড়ালেখা চালিয়ে যায়।

বাবু ছুটিতে তার বাড়ি আসলে তার মা-বাবার সাথে দেখা করতে। কখনো কখনো এই সুযোগে মিমের সাথে দেখা হতো। একবার বাবু ঈদ এর ছুটিতে তার বাড়ি আসে তখন তার সাথে মিমের দেখা হয়। এরপর সে ছুটি শেষে আবার ঢাকায় চলে আসে। বাবু তার স্বাভাবিক জীবনে এসে দেখে তার নিজের ক্যামন যেন লাগছে। বাবু তার কোন কাজেই মনোযোগ দিতে পারছে না। সে অনেক দিন পর লক্ষ্য করলো যে তার সব কাজের মধ্যেই কেন যেন মীমের কথাই ঘুরে ফিরে মনে হয়। তখন সে তার এক বন্ধুর সাথে কথাগুলো শেয়ার করে। তার বন্ধু তাকে যা বলল তা সে শুনে অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। বাবু সারারাত শুধু তার বন্ধুর বলা কথাগুলো নিয়ে চিন্তা করলো। পরে সে বুঝতে পারলো যে তার বন্ধুটিই ঠিক বলেছে। তখন সে আরও বেশি উতলা হয়ে ওঠে।

বাবু এরপর এক কুরবানির ঈদে বাড়ি আসে। এবার বাড়িতে এসেই সে মীমের সাথে দেখা করে। সে মীম কে কিছু বলতে চায়, কিন্তু সাহস করে বলে উঠতে পারে না। এদিকে বাবুর ছুটিও শেষ হয়ে আসে। ঢাকায় আসার আগের এক রাতে বাবু মীমকে শুধু একটি এসএমএস পাঠায়। এরপর মীমও পাঠায়। তারা চ্যাটিং করতে থাকে। এর মাঝেই বাবু মীমকে তার মনের কথা এসএমএস করে পাঠায়। মীম এর এসএমএস পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। ওই রাতে বাবু আর সাহস করে মীমকে এসএমএস দেয় নি। পরদিন বাবুর মনে ভয় কাজ করে। সে মীমকে অনেক কল দেয় অনেক এসএমএস দেয় কিন্তু মীম তার কলও রিসিভ করে না আর এসএমএস এরও রিপ্লাই দেয় না। চিন্তায় পড়ে যায় বাবু, যে সে কোন ভুল করলো কিনা।

বিকেলে বাবুর মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। সে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ম্যাসেজটি ওপেন করে দেখে যে তাতে লেখা “আই লাভ ইউ ঠু” এরপর বাবু সাহস করে মীমকে কল দেয় আর তার সাথে দেখা করতে বলে এবং সে সামনা-সামনি মীমকে তার মনের কথা বলে, মীমও তা মেনে নেয়।

এরপর বাবু আবার ঢাকায় চলে আসে। ওদের মধ্যে কথা চলতে থাকে। কয়েক মাস পর দুই পরিবারেই ব্যাপারটি জানাজানি হয় এবং এর ফলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।এবং এরই ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যকার সম্পর্কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এই ঘটনার পর মীম অনেকটা বাধ্য হয়েই বাবুর সাথে ব্রেক-আপ করে, কিন্তু কিছুদিন পর বাবুর চেষ্টায় তাদের সম্পর্ক আবার জোরা লাগে। বাবুর জন্মদিনেই তাদের সম্পর্ক আবার জোরা লাগে। কয়েকমাস পর তাদের আবার ব্রেক-আপ হয়। মীম তার ফোন নাম্বার চেঞ্জ করে ফেলে। বাবু পাগলের মতো উপায় খুজতে থাকে তার সাথে দেখা করার কিংবা কথা বলার। শেষ-মেশ সে মীমের নতুন নাম্বারটি যোগাড় করতে সমর্থ হয়। কিন্তু বাবু যতোবারই কল দেয় না কেন মীম শুধু রিসিভ করে রেখে দেয় কিন্তু কোন কথা বলে না। একবার অবশ্য কথা বলে কিন্তু সেটা নরম গলায় না ধমকের সুরে। মীম বাবুকে বলে দেয় যে সে যেন আর তাকে কখনও ডিস্টার্ব না করে। সে আরও বলে যে তার সাথে বাবুর যে সম্পর্ক ছিল সবই নাকি মিথ্যে অর্থাৎ তাদের মধ্যে নাকি কোন সম্পর্কই ছিল না ! এরপর বাবু কিছু বলার আগে মীম লাইন কেটে দেয়। বাবু পরে আবারও চেষ্টা করে মীমের সাথে যোগাযোগ করার। কিন্তু সে ব্যার্থ হয়। এরপর বাবুও মীমকে কল দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তার শুধু একটি কথাই মীমের কাছে জানতে ইচ্ছে করে যে কেন মীম তার সাথে এরকমটা করলো।
নতুন বছরের শুরুতে বাবু মীমকে তার বন্ধ নাম্বারে একটি এসএমএস দেয়। কারন বাবু জানে যে মীমের ওই নাম্বার বন্ধ এবং ওই নাম্বারে এসএমএস দিলে মীমের কোন ডিস্টার্ব হবে না। এতে শুধুমাত্র বাবুর মানসিক শান্তিই হবে, আর কিছু না! কিন্তু মীমের ওই নাম্বারটি খোলা থাকে, এবং এসএমএস টি ডেলিভারি হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় মীম বাবুকে শুধুমাত্র “happy new year” লিখে রিপ্লাই দেয়। বাবু এসএমএস টি দেখে কেঁদে ফেলে। দীর্ঘ ৮ মাস পর তার ভালোবাসার মানুষটি তার সাথে আবার যোগাযোগ করে। সে আবার এসএমএস দেয়। কিন্তু সে আর কোন এসএমএস এর রিপ্লাই পায় না। কোন এক অজানা কারণে বাবুর একটা চিন্তা থেকেই যায়। কি হবে তার এই ভালোবাসার ভবিষ্যৎ এর ???

উৎসর্গঃ আমাল বল বাই - ব্লগার একজন আরমান ;);)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×