জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকার।(পুরোটাই কাল্পনিক, যদিও বাস্তব হতে পারতো।)
সাংবাদিক: বাংলাদেশে আসার পর আপনার অনুভূতি কি?
মি. তারানকো: ওয়েল, ইহা একটি সুন্দর দেশ, এই সয়্যার....!
সাংবাদিক: এই দেশের জনগণ সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
মি. তারানকো: বাংলাদেশের জনগনও সুন্দর, এখানে আসার আগে আমার সেক্রেটারি তার স্টাডি রিপোর্টে এই দেশের জনগণ সম্পর্কে যে তথ্য আমাকে দিয়েছিল তা এক অর্থে অর্থহীন। এই দেশের মানুষ খুবই ধৈর্যশীল। পাশের মানুষটাকে পুড়িয়ে ফেললেও রা নেই, নিজেকেও পুড়িয়ে মারা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
সাংবাদিক: এই দেশের রাজনীতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলবেন কি?
মি. তারানকো: ওয়েল, যদিও কোনো দেশের রাজনীতি নিয়ে আমাদের কথা বলা মানায় না, তারপরেও যুগ বদলেছে, আমাদেরও এখন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে গিয়ে পলিটিশিয়ানদের সাইজ করতে হয়, সে দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে হয়, কাজেই আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই নিজের চুলকানি নিজেকেই চুলকাতে হয়, অন্যকে দিয়ে চুলকালে জায়গা মতন হয়না, এক সময় এই জাতি খুবই প্রতিবাদী ছিল, তারা এখন আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে, ভাবতেই ভালো লাগে, নিজেকে কেউ কেটা মনে হয়।
সাংবাদিক: এই দেশের জনগণের কাছে আপনার কোনো ম্যাসেজ আছে কি?
মি. তারানকো: না তেমন কিছুনা, এই দেশের বয়স এখন ৪২ বছর, আপনারা অনেক কিছুই বদলে দিতে পরতেন, বা এখনো পারেন যদি সব কিছুতে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা ত্যাগ করেন, ব্যস্ এতটুকুই।
সাংবাদিক: দেশে ফিরে গিয়ে প্রথম কোন কাজটি করবেন?
মি. তারানকো: প্রথমে যাব মেন্টাল ডাক্তারের কাছে, তারপর যাব চার্চে সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার আর জো নাই, লং লিভ ব্যাংলাডেশ। (সমাপ্ত)