বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদের জামিন এবং পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 09 Dec 2013, 10:18 AM
মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সোমবার এই আদেশ দেন।
সকালে বিএনপির তিন নেতাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ।
হান্নান শাহকে দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিন, রিজভীকে তিন মামলায় মোট ৩০ দিন এবং বেলালকে দুই মামলায় ২০ দিনের হেফাজতে চাওয়া হয়।
অন্যদিকে রিমান্ড আবেদনের বিরেধিতা করে আসামিদের জামিন দেযঅর আবেদন জানান তাদের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মহসিন মিয়া ও এমদাদুল হক লাল।
শুনানি শেষে বিচারক দুই আবেদনই নাকচ করে দিয়ে আসামিদের কারাগারে রাখতে বলেন।
আদেশে বলা হয়, প্রয়োজন হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের মধ্যে কারা ফটকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
অবরোধ কর্মসূচিতে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা ফাটানো, পুলিশের কাজে বাধা, চালকদের মারধরের অভিযোগে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির এই তিন নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পল্টন থানার আরেক মামলায়ও রিজভীকে রিমান্ডে চায় পুলিশ।
গত ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর দেশ অচল করা দেয়া হবে বলে বিরোধী দলের হুমকির পরপরই রাজধানীর বারিধারা থেকে বিএনপি নেতা হান্নান শাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া বিরোধী দলের দ্বিতীয় দফা অবরোধের শুরুতে ৩০ নভেম্বর ভোরে নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বেলাল আহমদকে।
ইতোমধ্যেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা বাতিল ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধে সারা দেশে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। দফায় দফায় অবরোধে প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন, ভাংচুর, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনে হামলা ও রেললাইনে নাশকতার ঘটনাও ঘটছে।
সহিংসতা ও নাশকতার জন্য বিরোধী দলের দায়িত্বশীল নেতাদের হুকুমের আসামি করে এর জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে এর আগে হুঁশিয়ার করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের শীর্ষস্থানীয়রা।
ইতোমধ্যেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া; বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মো. নাছির উদ্দিন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এবং সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকারকেও গ্রেপ্তার করে সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন মামলায় আসামি দেখিয়েছে পুলিশ।