somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম যে মেয়েকে ঘুষি মেরেছিলাম :(

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহ
জানি এর পরের কথাই হবে -চোখ নেই আপনার । এইটা কি বাসার বেডরুম পাইসেন।অসভ্য কোথাকার ..... মেয়ে দেখলেই ......
কিন্তু না, এমন কঠিন ঘুষি খাবার পর ও মেয়েটি কিছু বললো না ।আমার দিকে তাকিয়ে আছে অবাক দৃষ্টিতে আর চোখের কোণে পানি । বুঝতে পারলাম চোখের কোণে পানি আমার ঘুষিই ইফেক্ট।
ব্যথা লেগেছে?
-মেয়েটির মুখে কোন কথা নেই ।তাকিয়ে আছে আর চোখের কোণে পানি ।
সরি আমি আসলে আপনাকে দেখিনি ।মানে ইচ্ছা করে মারিনি ।মানে আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে আপনার গালের সাথে একটু লেগেছে...... সরি
-এবার একফোঁটা পানি চোখ দিয়ে বের হলো ।হাতের উল্টা পিঠ দিয়ে পানি মুছে বলল" অনেক ব্যথা লাগছে "বলেই উল্টো ঘুরে সমুদ্রর ঢেউ এর দিকে হাটা আরম্ভ করলো ।

মন খুব খারাপ ।আমার প্রিয় বন্ধু সজল থাকে বিদেশে। প্রায় ৫ বছর আগে ওরা ক্যানাডা চলে যায়। কথা ছিল এবার প্রায় ৫ বছর পর এই ডিসেম্বরে ও দেশে আসবে ।আমরা এক সাথে কক্সবাজার বেড়াতে আসবো।হোটেল,গাড়ি সব ফুল পেমেন্ট করে দেওয়া। শেষ সময়ে বন্ধু বলল সে আসবেনা ।মেজাজ কঠিন হট হয়েছিল।রাগ করে ডিসিশন নিলাম একাই যাবো ।সারা রাত বাসে কাটিয়ে সকাল বেলা হোটেলে চেক ইন করেই এসেছি বীচে ।সব রাগ নিমিষেই পানি হয়ে গেল এতো সুন্দর সমুদ্রর ঢেউ দেখে । খুব এক্সসাইটেট ভাবে আড়মোড়া ভাঙতে এক সুন্দরি মেয়ের চাঁপা ভেঙ্গে দিচ্ছিলাম প্রায়।মেয়েটার দিকে আবার তাকালাম । ভাবলাম সরি ঠিক করে বলা হয়নি ।
আমি ইতস্তর করে মেয়েটির দিকে তাকালাম
-মেয়েটি আমার দিকে তাকালো ।
আমার বিশ্ব বিখ্যাত অপরাধী অপরাধী হাসি হাসলাম ।মা আর ভাবিরা বলে কোন অঘটন ঘটানোর পর এই হাসি দিলে নাকি আমাকে আর বকতে মন চায় না।
-মেয়েটি তাকালো আমার চোখের দিকে !২ সেকেন্ড তারপরই চোখ ফিরিয়ে নিল ।
ভাবলাম যা করেছি যথেষ্ট । এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি তাই আল্লাহর কাছে লাখো শূকরীয়া।

কিছুক্ষণ থাকার পর হোটেলের দিকে রওনা দিলাম ।আমি একা একা আপন মনে হাটতে থাকি চিন্তা করি ইস দুই বন্ধু এলে কত মজা না করতাম।হটাৎ মনে হল পিঠে উপর কি যেন পড়লো । ঘুরে দেখি সেই সুন্দরি মেয়ে সাথে একটা বিচ্ছু পিচ্চি বালু দিয়ে বল বানিয়ে বানিয়ে মারছে ।দুইটা বুকে লাগলো একটা মাথায় লাগার সাথে সাথে আমি আহ বলে আমার চোখে হাত দিলাম। ভাবটা এমন নিলাম যেন আমার চোখ শেষ ।মনে মনে ভাবছি " অহন কেমন লাগে। "
মেয়েটা দৌড়ে আমার কাছে আসলো বলল
ঃ-আপনার কি চোখে বালু গেছে ।

আমি বললাম না চোখে বাংলাদেশ বিমান ফ্ল্যাইট নং বি জি ১০৬২ গেছে।

ঃ-ভাল হইছে ।আমি ইচ্ছা করেই মেরেছি ।হুম ।
বলেই গট গট করে মহারানীর ভঙ্গিমায় হেঁটে চলে গেল আর বিচ্ছুটা মহারানীর পিছে পিছে ।
বলছিল
ঃ-মারিআপু ঠিকই আছে ।ইশ সমুদ্রর পাড়ে আড়মোড়া ভাঙতে আসছে ।

নাহ হোটেলে যেতে আর ভাল লাগছিল না।এমন কঠিন -চোখ আন্ধা ভাব নিলাম কোন কাজ হল না ।মাড়ি আপু কি অদ্ভুত নাম । দাতের মাড়ি ।হা হা হা ।

ঘণ্টা খানেক পর হোটেলে আসলাম ।অদ্ভুত ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার পর কেন যেন শুধু সেই ২ সেকেন্ড এর দৃষ্টি মনে পরছে বার বার ।

দুই দিন ছিলাম কক্সবাজারে ঘুরে ফিরে ওই ২ সেকেন্ড এর দৃষ্টি মনে পরছে ।তাকে খুজেছি খুব করে মন থেকে চেয়েছি তার সাথে দেখা হোক ।কিন্তু হয়নি ।এই দুই দিন সকালে বীচে বসে থাকলাম যে সময় তার সাথে দেখা হয়েছিল, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বার্মিজ মার্কেটে বসে থাকতাম রাত পর্যন্ত ।যদি দেখা হয়ে যায়।কিছু চাওয়া অপূর্ণ থেকে যায় ।হয়ত অপূর্ণতা পূরণ করতেই আমরা আশা নিয়ে বাঁচি ।

প্রায় ১ মাস পরের ঘটনা ।নীলক্ষেতে বই কিনে দাড়িয়ে আছি বাসায় যাবো বলে ,দেখি দুইটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে ।এক সেকেন্ডের মধ্য ওই দুই চোখের কথা মনে পড়ল ।মেয়েটি তার স্বভাব সুলভ মহারানীর ভঙ্গিমায় হেঁটে আসলো আমার কাছে
সাথে সাথে আমি চোখে হাত দিয়ে বললাম

ভাল আছেন মাড়ি আপু ।

ঃ-আমার নাম মাড়িয়া ।

কক্সবাজারে থেকে ঘুরে আসবার পর আমার এই চোখে কিছু দেখি না ।


ঃ-দেখবেন কিভাবে চোখে তো বাংলাদেশ বিমানের ফ্ল্যাইট নিয়ে ঘুরে বেড়ান ।

লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলেই দিলাম "অনেক খুজেছি তোমাকে ।"মনে মনে একটা গান বাজছিল "এতদিন কোথায় ছিলেন "............মনকে বললাম তাকে তো পাইসো আর চিন্তা কি ।

ঃ- সেদিনই আমরা কক্সবাজার থেকে চলে আসি ।

হাতে কোন কাজ আছে ।

হ্যা একজনের চোখে বিমান আটকেছে তা বের করতে হবে। কিন্তু একটা কন্ডিশন আছে প্লিজ আর আড়মোড়া ভাঙবেন না ।

হাঁসতে থাকি আমরা ।



৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×