হরতাল ও অবরোধের মধ্যে যশোরে ছাত্রদলের এক নেতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
Published : 09 Dec 2013, 07:52 PM
নিহত কবির হোসেন পলাশ (৩০) যশোর শহর ছাত্রদলের সহসভাপতি। হত্যাকারী কারা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রদল বুধবার যশোরে হরতাল ডেকেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরের জজকোর্ট মোড়ে পলাশের ওপর হামলা হয় বলে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) রেশমা শারমীন জানিয়েছেন।
এ হামলায় শামসুজ্জামান রিন্টু (৩০) নামে ছাত্রদলের আরেক নেতাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাশ, রিন্টুসহ ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী জজকোর্ট মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন।
এ সময় মোটর সাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পলাশের মাথায় এবং রিন্টুর পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর পলাশের মৃত্যু হয় বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কল্লোল সাহা।
পলাশ শহরের ভোলাট্যাঙ্ক রোড এলাকার মহিদুল ইসলামের ছেলে এবং আহত রিন্টু শহরের পোস্টঅফিস পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
হামলার পরপরই ছাত্রদল ও যুবদল শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
পলাশ খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার যশোরে হরতাল ডাকার কথা শুরুতে জানান জেলা ছাত্রদল সভাপতি রবিউল ইসলাম।
পরে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামের হরতাল থাকায় বুধবার হরতাল দেয়া হয়েছে।”
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকে সারাদেশে অবরোধ চলছে। তার মধ্যে বিএনপির ছাত্রসংগঠনের এই নেতা খুন হলেন।
অবরোধের মধ্যেই আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর সোম ও মঙ্গলবার সারাদেশে হরতাল ডাকে ১৮ দলের জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াত।