যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত হওয়ার পর আবার শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ, এর মধ্যে কয়েকদফা হাতবোমা হামলা হয়েছে সেখানে।
Published : 10 Dec 2013, 10:35 PM
১০ মাস আগে এই জামায়াত নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহবাগের অবস্থান দেশজুড়ে গণজাগরণ তৈরি করে, যার প্রেক্ষাপটে আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।
মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ রায় বাস্তবায়নের সব প্রক্রিয়া শেষ করার মধ্যে কাদের মোল্লার আইনজীবীদের আবেদনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ হয়।
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির এই আদেশের পর সংক্ষুব্ধ হয়ে রাত ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে আবার লাগাতার অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকরা।
ফাঁসির আদেশ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে বলে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
“যেখানে আমরা ফাঁসি কার্যকরের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, সেখানে রাতের অন্ধকারে এমনকি ঘটল, যার জন্য এ ফাঁসি স্থগিত হল,” প্রশ্ন করেন তিনি।
এদিকে গণজাগরণ মঞ্চ অবস্থান নেয়ার পর রাত ১১টার দিকে কাঁটাবনের দিক থেকে শাহবাগ লক্ষ্য করে একটি হাতবোমাসদৃশ বস্তু ছুড়ে মারা হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তা বিস্ফোরিত হয়নি।
এর দুই ঘণ্টা পর ছয়টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে গণজাগরণ মঞ্চের পাশে, ওই সময় কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে স্লোগান চলছিল সেখানে।
চারটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে বিএসএমএমইউ’র সামনে এবং অন্য দুটির বিস্ফোরণ ঘটে চারুকলার ফটকের কাছে। তবে এসব বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি।
ওই আন্দোলনের দাবির মধ্যে আইন সংশোধনের পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের আপিলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
আপিলের রায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হয়। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রোববার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়।
এরপর রায় কার্যকরের সব প্রস্তুতি মঙ্গলবার নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে সব প্রস্তুতি সারার পর চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ আসে।