সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনা।একজন বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিত হলো।পুরুষ দেখলেই ভয়ে চিৎকার করে উঠছে।হয়ত পুরুষ মানুষ তার কাছে এখন হায়েনার মতন।ভয়ানক কোন হিংস্র জন্তুর মতন।জঘন্যতম কাজ গুলো আমরা মানুষরাই করে থাকি।মানুষের ভিতর পশুত্ব থাকে আর থাকে মনুষত্ব।পশুত্ব দমন করে যারা মনুষত্ব লালন করেন প্রাধান্য দেন তারাই প্রকৃত মানুষ।
আর যারা ধর্ষক।শিশু যুবতী বৃদ্ধা কেউ যাদের ধর্ষণ মনমানসিকতা ও কর্মকান্ড থেকে রেহাই পায়না।তারা মানুষের মত অবয়বের হলেও পশু।ধর্ষকদের ধিক্কার জানাই।এদেরকে সমাজচ্যুত করা উচিৎ।দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিৎ।দ্রুত বিচরের আওতায় এনে ৯০ দিনের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাথে সাথে কঠিন মৃত্যু দন্ড দেয়া উচিৎ।ধর্ষণে সহায়তাকারি নারী বা পুরুষ এদেরকেও সেন্ট হেলেনার মত কোন দ্বীপে নির্বাসন দিয়ে না খাইয়ে মৃত্যুমুখে পতিত করা উচিৎ।
এখন অনেকেই মেয়েদের উগ্র পোষাক পরিধান ধর্ষণের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।একটা মেয়ে টাইট সংক্ষিপ্ত পোষাক পড়লেই একজন পুরুষের ধর্ষণভাবনা আসবে কেন?তাদের কাম দমনের জন্য তো বিয়ের রীতি আছে।তাদের স্ত্রীরা আছেন।পুরুষ-স্ত্রী পারস্পরিক শারীরিক আকর্ষণ না থাকলে নতুন মানুষ সৃষ্টি হত না।সেই আকর্ষণ শক্তি প্রভুই দিযেছেন।কিন্তু ধর্ষণতো কবিরা গুণা।কঠিন শাস্তির বিধান।
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গেই জানাচ্ছি সমাজে এক শ্রেণী পুরুষ নামের কুকুর আছে।যারা ধর্ষণ মসমাসনিকতা লালন করেন।আর আমাদের সুন্দরী রমনীরা যারা তাদের শরীর অর্ধাবৃত রাখেন।ওই কুকুর গুলোকে খেপিয়ে তুলেন আলালের ঘরের দুলালীদের কিছুই হয়না। স্বীকার হন যারা বিত্তহীন নিরাপত্তাহীন অসহায় অবলা মেয়েরা আছেন।কুকুর গুলো তাদেরকে ধর্ষণ করে যৌনকামনা নিবীরণ করেন।একজন মেযেকে ধর্ষণ করা তাকে মেরে ফেলার মতই।
এই ধর্ষণ থামাতে হলে শুধু আইন প্রণয়ন করলে হবে না এর বাস্তবায়ন ও
করতে হবে।মানুষদের নৈতিক শিক্ষা দিয়ে তাদের মানবিকতা বিবেক জাগ্রত করতে হবে।যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে অর্থাৎ মুসলমান তারা তো কথনো ধর্ষণ করার প্রশ্ণই ওঠে না।যুদ্ধের ময়দানে সাহাবীরদের সামনে উলঙ্গ সুন্দরী রমনী ছেড়ে দেয়া হয়েছে।তারা তাদের দিকে ফিরেও তাকান নাই।আস্তিক নাস্তিক কেউই ধর্ষণকে সমর্থন দেয় না।
দর্শন থেকেই সকল পূণ্যি বা পাপের উৎপত্তি।বলতে গেলে দর্শন থেকে ধর্ষণ।তাই সবার প্রতি আকূল আহবান থাকবে চোখের হেফাজত করুণ।অন্যে কি পরিধান করলো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজের অসভ্য দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন।শুধু মাত্র ঘটনার কারণ রুখে দিতে পারলেই ফলাফল থেকে পরিপূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সবার মন পবিত্র হোক।সবাই মানুষ হোক।আমাদের সমাজে নারীরা চরম বঞ্চনার শিকার।সকল প্রকার নারী নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের অধিকার নিষ্চিৎ করার লক্ষ্যে আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে।তবেই আমাদের সোনার বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।ধর্ষক মনমানসিকতা ধ্বংস ও ধর্ষণ বন্ধ হোক । বিশ্বমানবিকতা জাগ্রত হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭