somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতির নরপিশাচদের অবিলম্বে ফাঁসি চাই

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৪ ডিসেম্বর । দেশের শ্রেষ্ঠ
সন্তানদের হারানোর দিন।
বাঙ্গালী জাতির
সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১
সালের এই দিনে মহান
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের
প্রাক্কালে পাকিস্তানি
হানাদার বাহিনী ও তাদের এ
দেশীয় দোসর রাজাকার , আল
বদর,
আল শামস বাহিনী জাতির
শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার
হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক,
চিকিৎসক, প্রকৌশলী,
সাংবাদিক, কবি ও
সাহিত্যিকদের চোখ
বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে
তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর
নির্যাতন তারপর নারকীয়
হত্যাযজ্ঞ।
স্বাধীনতাবিরোধী চক্র
বুঝতে পেরেছিল, তাদের
পরাজয় অনিবার্য।
ওরা আরো মনে করেছিল যে,
বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ
সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ
মাটিতে ওরা বসবাস
করতে পারবে না। তাই
পরিকল্পিতভাবে জাতিকে
মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের
এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের
বাসা এবং কর্মস্থল
থেকে রাতের
অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায়
চোখ
বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের
হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর
ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা,
যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী
মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল।
পাকিস্তানি বাহিনী ও
তাদের এ দেশীয়
দোসররা পৈশাচিক
হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর,
রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন
স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ
ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই
নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও
রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের
লাশ খুঁজে পায়। বর্বর পাক
বাহিনী ও রাজাকাররা এ
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের
পৈশাচিকভাবে নির্যাতন
করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের
লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন,
চোখ, হাত-পা বাঁধা,
কারো কারো শরীরে একাধিক
গুলি,
অনেককে হত্যা করা হয়েছিল
ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই
করে।
প্রাপ্ত তথ্যের ওপর
ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায়
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের
যে সংখ্যা দাঁড়
করানো হয়েছে,
সে অনুযায়ী ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩
সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২
আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী,
সাহিত্যিক ও
প্রকৌশলীকে সেদিন
হত্যা করা হয়।
তাদের মধ্যে ছিলেন- ড.
জিসি দেব, অধ্যাপক মুনীর
চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময়
গুহঠাকুরতা, সন্তোষ চন্দ্র
ভট্টাচার্য, ড. মোফাজ্জল
হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক
মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক
আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা.
ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম
চৌধুরী, ড. গোলাম মোর্তজা, ড.
মোহাম্মদ শফি, শহিদুল্লাহ
কায়সার, সিরাজ উদ্দিন হোসেন,
নিজামুদ্দিন আহমদ, খন্দকার আবু
তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা,
শহীদ সাবের, নাজমুল হক, আলতাফ
মাহমুদ, আরপি সাহা, আবুল খায়ের,
রশিদুল হাসান, সিরাজুল হক খান,
আবুল বাশার, ড. মুক্তাদির, ফজলুল
মাহী, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দিন,
সায়ীদুল হাসান, হাবিবুর রহমান,
মেহেরুন্নেসা,
সেলিনা পারভীনসহ আরও
অনেকে।
লাশের ক্ষত চিহ্নের
কারণে অনেকেই প্রিয়জনের
মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
আজ জাতির মহানায়কদের
বিদেহী আত্বার মাগফেরাত
কামনা করছি। আর আর থু থু দেই
ঐসকল রাজাকারের
উত্তরসুরীদের
যারা আজো বাঙালীত্ত্ব
মেনে নিতে পারে নি। যাদের
রক্ত আজও পাকিস্তানের
কথা বলে অই সকল কুত্তার
বাচ্চারা যেন পবিত্র মাটির
উপর আর নিঃশ্বাস
না ফেলতে পারে।এখনও যে সকল
রাজাকারেরা অপশক্তির
দাপটে গলা চেচিয়ে কথা বলে স
যেন আল্লাহ তায়ালার
রহমতে ওই নরপিশাচদের গাড়
মটাকানোর ব্যবস্তা করে।
আমরা চাই অবিলম্বে ওদের
ফাসি কার্যকর করা হোক।জয়
মেহনতি মানুষের জয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×