টুকুর পাবনার বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা

শনিবার সকালের এই হামলায় আগুনে চারতলা বাড়ির নিচতলা ও দোতালায় থাকা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার জন্য জামায়াতকে দায়ী করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

জেলা শহরে টুকুর বাড়ির দেড় ঘণ্টা পর সকাল ১১টার দিকে ডায়বেটিক সমিতির জেলা সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের বাড়িতেও একই কায়দায় হামলা হয় বলে সদর থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর রোববার হরতাল ডেকে সহিংসতায় নামে দলটির কর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে হামলা হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, নিহত হন অন্তত আটজন। 

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে এবং পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্যেই তার পাবনার বাড়িতে বোমা হামলা হল।

পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য টুকু এবারই প্রথম নির্বাচিত হন। ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামী বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে।

পাবনার শহর এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সোবহানও যুদ্ধাপরাধের মামলায় এখন কারাবন্দি।  

ওসি কাজী হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শহরের দিলালপুরে মন্ত্রীর বাড়িতে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ভবনে থাকা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে আগুন ধরে যায়। তবে কেউ হতাহত হননি।

অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বোমার আগুনে চারতলা ভবনের নিচতলা ও দোতালার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দোতালায় একটি কম্পিউটারও পুড়েছে। পুলিশ বাড়িটির সামনে অবস্থান নিয়েছে।

হামলাকারীরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ কর্মকর্তা কাজী হানিফ দাবি করেছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

প্রতিমন্ত্রীও এই ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওয়াত আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ওসি জানান, প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পর সকাল ১১টার দিকে ডায়াবেটিক সমিতির জেলা সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের বাড়িতেও পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

কাদের মোল্লার রায়ের আগে-পরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়ার বাড়িতে একই রকম হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ টি এম ফজলে কবির ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতেও।