আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার কাছে দেখলাম পুলিশের সাথে দু'জন বিজিবি সদস্য এক রিকশা যাত্রী তরুণের মালামাল তল্লাশী করছে। তরুণের একটি ব্যাগ হাতিয়ে বিজিবি সদস্যরা একটি মোবাইল সেট ও একটি ট্যাব বের করে সেগুলোর প্রমাণপত্র চাইছে। বিজিবি সদস্যরা বলছে, "এইগুলি যে আপনার তার কোনো প্রমাণ কী আপনার কাছে আছে?" দেখে মনে হলো তরুণের দামি মোবাইল ও ট্যাবটি ওপর তাদের চোখ পড়েছে। ইনাদের সাম্প্রতিক বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের কাজে নিয়োজিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
হায় দেশের সীমান্ত রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব তারা এখন ঘুষখোর ছ্যাঁচড়া পুলিশের মত মানুষের ব্যাগ হাতিয়ে এটা-সেটা সাফাই করছে। এই সরকার নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে কোন্ পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে! বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করার জন্য এখন বিজিবিকে সরকার ব্যবহার করছে।
সীমান্তে ফেলানিকে গুলি করে তার লাশ কাঁটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে ভারতীয় বিএসএফ, আমাদের নাগরিকদের ধরে নিয়ে গুলি করে লাশও ফেরত দেয় না। আর আমাদের বিজিবিকে এই সরকার নপুংসক বানিয়ে রেখেছে। ভারতীয় প্রভুদের খুশি করার জন্য বিজিবিকে বিএসএফ-এর মোকাবেলায় যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর হানাদার বিএসএফ নির্বিচারে হত্যা করছে বাংলাদেশীদের। বিজিবিকে এখন সরকার নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তারা হানাদার বিএসএফকে গুলি না করে. করছে নিজের নাগরিকদের। বিজিবি থাকবে সীমান্ত প্রহরার কাজে, দেশের নাগরিকদের জানমাল রক্ষার দায়িত্বে। তারা এখন এই সরকারের বিজিবি লীগ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২