somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পতিতালয়ে গমনের ২য় অভিজ্ঞতা। বাচ্চারা টিভি দেখতে যাও।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা প্রথম পোষ্ট পড়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এবং তাদের জানার একান্ত আগ্রহ থেকেই আমার ২য় পোষ্টটি প্রসব করা। আমি এটা সবার সাথে শেয়ার করতে চাইছিলাম না, কিন্তু আগের পোষ্টে এতো মন্তব্য আর ২য় দিনের অভিজ্ঞতা জানার এতো আগ্রহ দেখে জাতিকে হতাশ করতে পালাম না। তো যারা প্রথম পোষ্টটি পড়েন নাই তারা এখান থেকে পড়ে নিবেন। Click This Link

পতিতালয়ে যাবেন না। এটা খুব খারাপ জিনিস। চরিত্র একবার নষ্ট হলে ফিরে পাওয়া যায় না। মান-সম্মান নষ্ট হয়, টাকা-পয়সা, পড়ালেখা, সমাজ-সংসার সবই আপনার প্রতিকুলে চলে যায় যদি এই নেশায় পড়েন।
তো পাঠক সমাজ, শুরু করলাম, ঠিক ঠাক হয়ে বসুন। আমার এক বান্ধবী একদিন জিজ্ঞেস করে আমাকে, "বান্দর বলতো ঐসব মেয়েদের কিভাবে চেনা যায়?" আমি বলি "কোন সব মেয়েদের?" বান্ধবী বলে "ঐ যে আছে না কিছু মেয়ে যারা ........." আমি বলি, "আমি জানব কেমন করে আমি কোনদিন গিয়েছি নাকি ওদের কাছে? তু্ই যদি বলিস তবে যেতে পারি। যাব?" বান্দবী বলে, "যাবি মানে? তু্ই এতো খারাপ!!" আমি "খারাপের কি দেখলি? তুই একটা প্রশ্ন করলি, সেটার উত্তর জানার জন্য হলেও আমার একবার অন্তত যাওয়া উচিত"। বান্ধবী "থাক যেতে হবে না। আমি জানি। ওরা সেন্ডেল পরে আসে আর খুব সাজুগুজু করে থাকে।" আমি বললাম হতে পারে। তা তু্ই কেমনে জানলি? বান্ধবী বলল যে তার লাভার তাকে জানিয়েছে।

আচ্ছা, এখন ঘটনা শুরু। আমার এলাকার এক বড় আপু একটা সরকারী চাকুরির এপ্লিকেশন আমার কাছে দিয়ে বলেছে বান্দর, তুইতো ময়মনসিংহ থাকিস। আমার এই খামটা ময়মনসিংহের যে কোন একটা পোষ্ট অফিসে জমা দিয়ে আসবি। আমিই দিতাম হাতে তেমন সময় নেই। মাত্র ২ দিন আছে জমা দেয়ার। ময়মনসিংহে জমা দিলে আজকেই পৌছে যাবে গন্তব্যে। মেসে এসে বাবুকে জানালাম।
বাবু বললঃ চল আগে ক্লাশ করে নিই। তারপর আমরা দুজনে মিলে যাব।
আমিঃ যাব তো কিন্তু কোথায় পোষ্ট অফিস সেটা তো জানি না।"
বাবুঃ মেসের বড় ভাই রাজ্জাক ভাইকে জিজ্ঞেস করে জেনে নে, কোথায় গিয়ে জমা দিতে হবে। রাজ্জাক ভাই এগুলা এপ্লিকেশন টেশন করে।
আমিঃ ওক্কে মামা।
রাজ্জাক ভাইয়ের রুমে গেলাম। সালাম দিয়ে বললাম ভাই, আমার একটা এপ্লিকেশন জমা দেয়া লাগবে পোষ্ট অফিসে। কিন্তু পোষ্ট অফিস কোথায় চিনি না। একটু যদি বলে দিতেন।
রাজ্জাক ভাইঃ একটা ছোট পোষ্ট অফিস আছে পলিটেকনিকের সামনে। ওখানে এক বৃদ্ধ লোক কাজ করে। ওখানে দিলে যদি বৃদ্ধ সময়মতো জমা না দেয় সমস্যা। এক কাজ করো। গাঙ্গিনাপাড় চলে যাও। সেখানে একটা আছে। ওইটায় জমা দাও। ওটাতে কাজ হবে দ্রুত।
আমিঃ কিভাবে যাব সেখানে?
রাজ্জাক ভাইঃ তুমি যে কোন রিকশা করে গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড়ে নামবে। তারপর পূর্বদিকে হাটা ধরবে আমির ইন্টারন্যাশনালের দিকে। হাতের বামপাশে যে প্রথম একটা বড় রাস্তা পাবে এটা দিয়ে ঢুকবে। না চিনলে খন্দকার রেষ্টুরেন্টের কাছ দিয়ে যে রাস্তা গেছে সম্ভবত জে.সি গুহ রোড, এটা দিয়ে সামনে এগিয়েই পাবে আর একটা গলি তার সামনেই পোষ্ট অফিস।
আমিঃ ঠিক আছে ভাই। কলেজে যাব। ক্লাশ শেষ হলেই যাব। বলে বেরিয়ে আসলাম।
তারপর ক্লাশ শেষ করে আমি আর বাবু ৩ চাকার টেম্পুতে করে ছায়াবানী সিনেমা হলের সামনে নামলাম। হাটতে আমারা ওস্তাদ। তাই দিলাম পা ঝাইড়া এক হাটা। রেল লাইন মিন্টু কলেজ পেরিয়ে চলে আসলাম ট্রাফিক মোড়ে। এখানে কোনটা পূর্বদিক বোঝতে পারতেছি না। ৪ টা রাস্তা। একটা দিয়ে এসেছি। আর একটা গেছে হাতের বামে, একটা সোজা, একটা ডানে। তো কতক্ষন দাড়িয়ে থেকে ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞেস করলাম গন্তব্যের কথা। তিনি দেখিয়ে দিলেন।
তার কথা মতো খন্দকার রেষ্টুরেন্টের পাশ দিয়ে রাস্তা দরে কিছুটা এগিয়ে গেলাম। বাবু আগে আমি পিছনে। বাবু বলল, বান্দর তুই এমন ম্যাদামারা ভাবে থাকিস কেন? একটা ভাব ধরবি যেন সবই তোর চেনা এবং তুই কিছুই কেয়ার করিস না। তারপর দুজনে আর কয়েকগজ এগুলাম। গিয়েই শুনি এক মধ্যবয়সী+ মহিলা অত্যন্ত বাজখাই গলায়, কুরুচিপূর্ন ভাষা+অঙ্গভঙিগতে এক দোকানীর সাথে ঝগড়া করছে। মহিলার বক্তৃতার ভাষা এমন সহজ, সরল আর প্রাণ্জল যে এটা শুনলে প্রমথ চৌধুরী ক্লাশ টেনের পাঠ্য বইয়ের গল্পটি আর কষ্ট করিয়া রচনা করেতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলিতেন আমি পাইলাম, ইহাকেই পাইলাম সরোজিনীরুপে, যাহার ভাষা অত্যন্ত সুমধুর। যাই হোক অল্পক্ষন দাড়িয়ে থেকে বাবুকে বললাম বাবু দৌড় দিবি নাকি? বাবু বলে, না। আমি এই রকম কত দেখেছি। এরপরই শুরু হয়ে গেল ধুন্ধুমার কান্ড। আরও কয়েকটা মহিলা এসে দোকানীকে মারতে থাকল। আশে পাশের পুরুষেরাও এই সুযোগের সদ্যবহারে এগিয়ে আসল। কে কারে মারল তার ঠিক নেই। আমি আর বাবু দিলাম দৌড়। দৌড়ে গলির ভিতরে ঢুকে পড়লাম। মামারা কি ভাবছেন, ঐ দিনের মতো দৌড়ে বাইর হইয়া আসছি? না আজকে একবারে ভিতরে ঢুকে গেছি দুইজন। গিয়ে তো দেখি কারখানা!!! হায় হায় কই আসলাম? স্বল্পবসনা ললনারা রুমের দরজা ধরে দাড়িয়ে আছে। কেউ কেউ কাছে এসে বলে হাই ডার্লিং। জড়িয়েও ধরতে চায়। হাতে ধরে টান দেয়। কেউ কেউ আবার সাজতেছে। এই সব দেখে তো পুরা মাথাই আউলা। কেমনে বাইরে যাই। বাইরে তো মাইর চলতাছে। আমার ভ্যাবাচেকা অবস্থা, বাবু তো দেখি এর হাত ধরে, ওর গাল ধরে ............. হত্যাদি। আমার এই অবস্থা দেখে এক মেয়ে এসে আমাকে তার বুকে জড়িয়ে নিল। উম কি শান্তি গো। কি সুন্দর গন্ধ আসছে ওর গা থেকে। আর নরম নরম অনুভুতি। ক্লাশ এইটে পড়ার সময় একবার কোচিং এ পরীক্ষার খাতা দিতে গিয়ে নীলার হাতের সাথে আমার হাত লেগে যায়। সেদিনই জেনেছিলাম মেয়েরা কতটা শীতল আর নরম হয়। এই ঘটনা বন্ধুদের বলে অবশ্য অনেক ক্ষেপানি খাইছি। তো যাই হোক, এই অবস্থায় ৩০+ এক মহিলা এসে বলল, এই রেশমি, একে ছাড়। রেশমি বলে, কেনগো দিদি? ওকি তোমার কেউ হয় নি? মহিলা বলল, বললাম না ছাড়। আরো চড়া গলায় বলল এই তুই কি চাস? আমি বললাম, বাইরে মারামারি হইতাছে। ভয়ে আমরা এইখানে ঢুইক্যা গেছি। বাইরে যামু কেমনে? উঃ উঃ উঃ মহিলা কয় তুই আর জীবনেও এখানে আসিস নাই? আমি বললাম না। মহিলাঃ তোর বন্ধূ তো দেখি পাক্কা খেলোয়ার। ঠিক আছে। এই জামাল এই দুইটা বাচ্চারে বাইরে বের করে দিয়ে আয়। মারামারি থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে আসবি।
আমাকে বলে, "তাড়াতাড়ি এখান থেকে যা। একটু পর পুলিশ আসবে। তখন যাকে সামনে পাবে তাকেই ধরে নেবে। আমাদের লোককে পুলিশ চেনে। তাদের ধরবে না। তোদের ধরবে। তাই এখনি জামালের সাথে এই এলাকা থেকে চলে যা। আর একটা কথা। মনে হয় তোরা কলেজে পড়িস। জীবনে কোনদিন আর এখানে আসবি না। যদি কোনদিন খারাপ বন্ধুর পাল্লায় পড়ে চলে আসিস, তবে বলবি আসি আয়েশার লোক। কেউ তোকে কিছু বলবে না।
তারপর জামালের সাথে বাইরে এসে পড়ি। জামালকে বলি আমরা পোষ্ট অফিসে যাব, কিভাবে যেতে হবে একটু যদি বলে দিতেন। তখন জামাল বলল ওই সামনের বিল্ডিংটাই পোষ্ট অফিস। পোষ্ট অফিস থেকে আর এদিকে আসবি না। ওই রাস্তা দিয়ে চলে যাবি। ঠিক আছে। আমি বললাম ঠিক আছে। পরে আবেদন পত্রটা জমা দিয়ে রিকশা নিয়ে বাসায় আসি। এই ছিল দ্বিতীয় দিনের অভিজ্ঞতা।



সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×