নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফেলে অর্ধেকের বেশি আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, এক্ষেত্রে তাদের করার কিছুই নেই।
Published : 15 Dec 2013, 11:33 PM
নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফেলে অর্ধেকের বেশি আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, এক্ষেত্রে তাদের করার কিছুই নেই।
রোববার রাত ১১টায় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি ১৪৬ আসনে ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট পেপার ছাপার প্রক্রিয়া চলছে।
বিরোধী দলের বর্জনের মুখে দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টিতেই একক প্রার্থী থাকায় দেশের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে এত সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এত প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছিলেন, ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে প্রার্থী দেয়ায় এই সংখ্যা কম হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে এলেও একই প্রক্রিয়া নেয়া হত।
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার বলেন, “এটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস কখনোই মনে করেন না এবং জনগণের ভোটের প্রতিও তার কোনো আস্থা নেই।”
১৫৪ জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহার একটি আইন প্রক্রিয়া। কাজেই আমাদের করার কিছু নেই।”
রাত পর্যন্ত কার্যালয়ে অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। কমিশনারদের নিয়ে ওই হিসেবে-নিকেশ করা হচ্ছে। ব্যালট পেপার ছাপানোর প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে।”
দশম সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ওই দিন থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ইসি সচিবালয় থেকে একক প্রার্থীদের তালিকা সরবরাহ চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কার্যালয় থেকে বরিশাল-৩ আসনে মো. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও বরিশাল-৬ আসনের আব্দুল হাফিজ মল্লিকের প্রার্থিতা বাতিল করে বরিশাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়।
বরিশাল-৬ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের তালিকায় রয়েছেন।
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনো জবাব দেননি সিইসি।