somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তানকে ধিক্কার!!!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'পাকিস্তান' নামটা এবং দেশটা কখনোই আমার পছন্দ ছিল না। ছোটবেলায় খেলাতেও কেউ এই দেশ সাপোর্ট করলে মুক্তিযুদ্ধ এনে তর্ক করতাম। ওরা আনত ধর্ম। আমি নাকি আনতাম রাজনীতি। পরে বড় হয়ে পাকিস্তান বিদ্বেষ এতটা তীব্র ছিল না। কিন্তু পছন্দ কখনোই হয় নাই। অনেকেই(পাকিস্তান প্রেমিকেরা) বলত যারা এখন আছে, তাঁরা তো আর বাংলাদেশের খারাপ চায় না। যারা অন্যায় করেছিল তাঁরা তো আর এখন নাই। এই যুক্তি আমি কখনোই মেনে নেইনি। কারণ প্রত্যেকটা মানুষ তাঁর নিজের, নিজের পরিবারের, নিজের দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং দেশের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এই যুক্তির পরেও কিছুটা মনে নরম ভাব চলে এসেছিল। আগে যতটা ঘৃণা করতাম বড় হয়ে ততটা করতাম না। মানুষের বয়স বাড়লে মানুষ আর নিজের সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকতে পারে না। আদর্শ থেকে কিছুটা হলেও সরে আসে। রক্তে ‘গোয়ারগোবিন্দ’ ভাবটা থাকে না। আমারও ছিল না। কিন্তু আজকে যখন দেখলাম যে যেই একটা মানুষকে আমি পাকিস্তানী সত্ত্বেও পছন্দ করতাম। ইমরান খান। সে কিনা বলছে কাদের মোল্লা নির্দোষ। তাও কিসের ভিত্তিতে!! কোন এক মানবাধিকারকর্মীর কথার উপর ভিত্তি করে? এরপর দেখা গেল তাঁরা নিন্দা প্রস্তাব পাস করায়।(কত বড় সাহস!!) পাকিস্তান পিপলস পার্টি ছাড়া সবাই সেটায় সমর্থনও করে!!! আমার মনে পাকিস্তানের প্রতি আর কোন নরম ভাব রইল না। আর আসবেও না। পাকিস্তান জাতি হিসেবে নির্লজ্জ ছিল এবং থাকবে। এই দায়ভার তাঁদের সকল সৎ নারী-পুরুষদেরও বহন করতে হবে। তাঁদের দোষ এই যে তাঁরা পাকিস্তানী। আর কিছু না। আমি ভাবতে চাইতাম যে ৭১ এ সেনাবাহিনীরা এরকম বর্বর ছিল। সাধারণ মানুষরা জানতো না। কিন্তু এখন তো ওঁদের গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কোন নির্লজ্জ মুখে ওরা বলে যে “বাংলাদেশের উচিত হবে না ৪২ বছর আগের পুরোনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা।“ কত বেশী ধৃষ্টতা থাকলে তাঁরা এই কথা বলতে পারার মত সাহস রাখে। এতটুকু খারাপ লাগা, এতটুকু আন্তরিক দুঃখ যদি তাঁরা পেত তাহলে কী তাঁরা এই কথা বলতে পারে!! বাংলাদেশী যারা এখনো পাকিস্তানের ভালোবাসায় মূর্ছা যাচ্ছেন তাঁদেরকে বলি যে মূর্ছাটা পাকিস্তানে গিয়েই যান।

পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের একটা আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা প্রাপ্য। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে আদৌ ক্ষমা করবে কী না!! তা পরে বিবেচ্য। কিন্তু তাঁরা তা না করে যে নির্লজ্জপনা আর বেহায়াপনার নজির স্থাপন করছে তাঁর বিরুদ্ধে আমি ধিক্কার জানাই। আমি লজ্জিত যে আমার ভিতরে কখনো এই জাতির প্রতি কিছুটা হলেও নম্রতা কাজ করেছিল।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×