গ্রীণ ভিলেজ বা সবুজ গ্রাম। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অবস্থিত উবুদ ভিলেজ থেকে ৩০কিলোমিটার দূরত্বে সবুজ বনবেষ্টিত পাহাড়ে অবস্থিত। এই গ্রামে ১৮টি বাড়ি রয়েছে, যার প্রত্যেকটি তৈরী করা হয়েছে জীবন যাপনের অত্যাধুনিক সমস্ত সুবিধা রেখে।
তবে ডিজাইন বৈচিত্রে প্রতিটি বাড়ি ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। জেনে অবাক হতে হয় যে এই বাড়িগুলো নির্মাণ করা হয়েছে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত বাঁশ দ্বারা।
বাড়িগুলো কিংবা গ্রীণ ভিলেজ এর মূল স্থপতি হচ্ছেন Defit Wijaya। তবে মূল পরিকল্পনা করেছেন ইলোরা হার্ডি। তিনি এখানে একটি গ্রীণ গার্ডেন ও গ্রীণ কমিউনিটিও গড়ে তুলেছেন।
শিশুদের শিক্ষা ও পরিচর্যার লক্ষ্যে গ্রীণ স্কুলও তৈরী করা হয়েছে এখানে। এই স্কুলটি গ্রীণ কমিউনিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করেন ইলোরা হার্ডি।
সবুজের আবাহনে এমন একটা ভিলেজ গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্মল শ্বাস -প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের বেঁচে থাকাকে নিস্কলুষ রাখা-জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
তারা আরও জানান গ্রীণ ভিলেজ হচ্ছে প্রকৃতির সাথে সানুষের বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন। এখান থেকে প্রকৃতিকে ছুঁয়ে দেখতে পারে যে কেউ।
গ্রীণ ভিলেজ এর এই বাড়িগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়ি এই মুহূর্তে ভাড়া দেয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আমাদের অনেকের জানতে ইচ্ছে করতে পারে বাঁশ নির্মিত এই বাড়িগুলোর মূল্য কত ?
শুনলে অবাক হতে হয় গ্রীণ ভিলেজ এর প্রতিটি বাড়ির মূল্য ৫ লাখ ডলার থেকে ২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত গ্রীণ ভিলেজের বাড়িগুলোতে রয়েছে একটি ফাইভস্টার হোটেলের সমস্ত ব্যবস্থা।
সবচেয়ে অবাক হবার মতো বিষয় হচ্ছে যে গ্রীণ ভিলেজের বাড়িগুলো তৈরী করতে কোন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিটি বাড়ি তৈরী করা হয়েছে হাতে। যাকে বলে ম্যান মেড।
আমাদের দেশে যাকে বলা হয় কুটির শিল্প। গ্রীণ ভিলেজ এর বাড়িগুলো তৈরীর উপকরণ বা পদ্ধতিকে খুব সহজেই আমাদের দেশের কুটির শিল্পির সাথে তুলনা করা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪