somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ আর কোন পদ্য নয়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুপ্রভাত,অবশ্য ; রোদের তেজ এখনো গাঢ় হইনি তার আগেই ঢাকা শহরের বাতাস ভারী হতে শুরু করেছে;এর মধ্যে শুভ সকাল হল কিনা সবার জন্যে তাও আমার জানা নেই।তবু কামনা করছি পৌষের মিষ্টি সকালটা সবার জন্যে শুভসংবাদ বয়ে আনুক।যদিও সারা শহর জুড়ে সেনা আর পুলিশ টহল দিয়ে বেরাচ্ছে তবুও এখন পার্সোনাল গাড়ীর তেমন দৌরাত্য নেই,যা আছে তা হল রিকশার টুং টাং শব্দ আর এম্বুলেন্সের অযাচিত সাইরেন।শহরের প্রায় শেষ সিমানায় থাকি বলে সহজেই আজ ফাঁকা বাস পেয়ে গেলাম,অন্যদিনের মতো গা থাক্কা থাক্কি করে উঠতে হয়নি।চলন্ত পথে মাঝবরাবর চোখ রাখতেই দেখি শারি শারি লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে অফিস গামী -কলেজ্গামি যাত্রি।এখানে কেও বা পুরুষ ,কেও বা নারী ,কেও বা বয়স্ক।আগে যেমন বাসের গায়ে লেখা থাকতো-চারজন মহিলা,কিংবা শিশু বা বয়স্কদের সীট এখন এইসবের কোন বালাই নেই।ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আসন সংখা অতিব নগন্য,সুতরাং ইঞ্জিনের উপর জায়গা না পেলে স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েরা বা বয়স্করা পিছনে বসছে অথবা হাতলে ঝুলছে।এ দৃশ্য অতি পরিচিতো।আমি কেন অযথা বলছি-কারন ,এখানে লিঙ্গের পার্থক্য করার কোন দরকার নেই।সবাই কর্মজীবি,সবাই নিজের কাজেই বেড়িয়েছে।এখন কেও যদি অতি সহানুভুতি দেখাতে গিয়ে দাঁড়িয়ে কোন মহিলাকে জায়গা করে দেয় তাহলে তা তার ভদ্রতা।এখানে নারী বলে সুযোগ নেওয়ার কিছু নেই। নারী যখন রাস্তায় নামে তখন জেনেই নামে যে এটা তার যুদ্ধের ময়দান -এখানে টিকে থাকতে হলে তাকে প্রতিনিয়ত এই সব ঝক্কি পোহাতেই হবে।তার জন্যে আলাদা বলে কিছু নেই,যেমন ছিল না একাডেমিক পড়াশোনায়।সবার জন্যে একি সিলেবাস,একি পরিক্ষা। কাজের বেলায়তো তাই -মহিলা বলে তার জন্যে কোম্পানী গুলোতো আর আলাদা কোন কাজ তৈরী করে রাখেনা-ওটা ইন্টারভিউতেই খোলশা করে নেওয়া হয়। সে যাই হোক,একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি-সুবিধা বাদি নারী যেমন আছে তেমন পুরুষো আছে। মেয়েরা সুযোগ নিয়ে থাকে উর্ধতন কর্মকরতার গায়ে অকারনে ঢোলে পড়ে,কারনে অকারোনে বুকের উপর থেকে ওড়না সরিয়ে বসের দৃষ্টি আকর্শন করতে চাওয়া-এইগুলো নতুন কিছু নয়।এই শ্রেনীর মেয়েরা খুব কম সময়েই নিজের পছন্দে গাড়ী বাড়ী করে ফেলে,নিজের সন্মান বা অবস্থান নিয়ে এদের কোনই মাথা ব্যাথা নেই।তার চাওয়াটা পুরোপুরোই বইসয়িক।আর ছেলেদের বেলায় যা দেখেসি তাতো বিরাট ভয়ংকর-এক শ্রেনির ছেলেরা বসের সামনে নিজের কৃতিত্ব দেখাতে গিয়ে অনবরত তার ভুল সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানায় যা আপনঘাতীমুলক।,মাঝে মাঝে অন্যের তৈরী করা প্রেজেন্টেশন নিজের বলে চালিয়েও দেয়।আর কর্মক্ষেত্রে যে রাজনীতি তার সিংঘভাগ ছেলেদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। এক্ষেত্রে মেয়েদেরকে পুতুল বলা চলে। মেয়েরা ঘরের ভেতোর যতোটা হিন্দি সিনেমার ভিলেন হতে পারে,কর্মক্ষেত্রে অতোটা পারেনা।কারন চাবিটা থাকে ছেলেদের হাতে।

পরিশেষে যবনিকা টেনে বলছি--দুই মহিলা , দুই মহিলা বলে আমরা যতোই মহিলাদের গালি দিচ্ছিনা কেনো তার পেছনে কিন্তু বেশ কিছু পুরুষ মন্ত্রী আছেন যারা অদৃশ্য কলকাঠি নাড়াচ্ছেন।এখন কথা হচ্ছে -মেয়েরা তাদের নিজেদের মেধা কাজে লাগাবে নাকি স্বাধীনতা নামক মাকাল ফল খেয়ে অন্ধের মতোন পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে সে ভাবনা তাদের। একজন বিধবা নারী যদি পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেও ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে পারে তাহলে কর্মক্ষেত্রে সুবিধা নামক শব্দটিকে বুরো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারবে না কেনো?

আমার এই পোস্ট কোন পুরুষ বিদ্দেষী নয়,যে সব মেয়েরা নিজের মুল্যবান সময় হিন্দী সিরিয়ালের পিছনে ব্যয় করছে তাদের উদ্দেশ্যে লেখা।আমিও কাজী নজরুলে মতো বিশ্বাস করি-

পৃথিবীতে যা কিছু মহান চির কল্যানকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

সবাইকে শুভেচ্ছা।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×