হাতে ভিক্ষার ঝুলি অতি সম্প্রতি জনৈক ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি কনফারেন্স শেষে দেশে ফিরেছেন। আমি উনাকে প্রশ্ন করলাম- কী দেখলেন কাফিরের দেশে? তিনি আমাকে বললেন, দেশটি এখন ‘এক ডলার ভিক্ষা দেন’ এই উক্তির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের অর্ধেক লোক গরিব ও চরম গরিবের সীমানার নিচে বসবাস করছে। এক ডলার চেয়ে এখন সাদা চামড়ার মার্কিনিরা ভিক্ষা করছে। তিনি বললেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মার্কিন মুল্লুকে আমার যাতায়াত। এমন দৃশ্য কখনো দেখিনি।
এক সময় লুণ্ঠিত সম্পদের বাহাদুরী করতো তস্কর মার্কিনিরা। নিজেদেরকে সম্পদে প্রাচুর্যের দেশ বলে পরিচয় দেয়া দেশটি এখন ভিক্ষুকের দেশে পরিণত হয়েছে। ডাস্টবিনে কুকুরের সাথে খাদ্য ভাগাভাগি করে খায়। অবশ্য কুকুর ওদের খুবই প্রিয় জানোয়ার। কুকুরের সাথে খেতে ওদের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।
অধিকাংশ মার্কিন নাগরিকের বাড়ি ছিল ব্যাংক ঋণে করা। চাকরি হারাবার সাথে সাথে সেসব ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে হয়েছে। ঠিকানা সরাসরি ফুটপাতে। প্লাস্টিকের বস্তি বাড়িতে থাকারও উপায় নেই। প্রবল তুষারপাত সে সুযোগটাও কেড়ে নিয়েছে। ময়লা পানির বিশাল পাইপের মধ্যে বা বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে মাথা গুঁজতে হয়। অনেক জায়গায় মাসের পর মাস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। ঠাণ্ডার দেশে বিদ্যুৎ ছাড়া কিভাবে চলছে জীবন- তা ভাবা যায় না। যুলুমবাজ মার্কিনিরা এখন বুঝুক মুসলমানগণের উপর নির্যাতনের ভয়ঙ্কর ফলাফল।