জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা কাজী জাফর আহমদের ডাকা ‘কাউন্সিলে’ হাতবোমা ফাটানো হয়েছে।
Published : 20 Dec 2013, 01:37 PM
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে কাজী জাফরের সমর্থক নেতাকর্মীরা যখন সভার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই এ ঘটনা ঘটে।
কাউন্সিলে যোগ দিতে আসা জাতীয় পার্টির কর্মী হেলাল উদ্দীন জানান, পরপর তিনটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হলে মিলনায়তনের ভেতরে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আতঙ্কিত নেতাকর্মীরা ছুটোছুটি শুরু করলে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।
এ সময় মিলনায়তনের বাইরেও একটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় স্বপন, সাদ্দাম, বিজয়, বাবু, আব্দুল মতিন তালুকদার নামে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানান হেলাল।
রমনা পুলিশের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনে লোক পাঠিয়েছি। বিস্তারিত বলতে পারছি না।”
ঘটনার সময় কাজী জাফর আহমদ মিলনায়তনের ভেতরে অতিথিদের আসনে বসে ছিলেন। আকস্মিক বিস্ফোরণের পর তাকে কিছুটা বিচলিত দেখা যায়।
ছুটাছুটির মধ্যেই কিছু নেতা-কর্মী কাজী জাফরকে ঘিরে শ্লোগান দিতে থাকেন- ‘সরকারের দালালেরা হুঁশিয়ার- সাবধান’
পরে ২টা ২০ মিনিটে কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির এই ‘বিশেষ কাউন্সিল’ এর কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন পার্টির জাফরঘোষিত মহাসচিব গোলাম মসীহ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে কাজী জাফর আহমদ বলেন, ‘‘বোমাবাজি করে জাতীয় পার্টিকে দমানো যাবে না। কারো রক্তচক্ষুতে আমাদের কাউন্সিল অধিবেশন বন্ধ হবে না।
“ভীত সন্ত্রস্ত করতে যারা এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বুঝতে পেরেছে- জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই মিছিল কিংবা শক্তি দিয়ে এই সম্মেলনকে রোখা যাবে না। এজন্য ওরা বোমাবাজি করেছে।’’
এরপর গোলাম মসীহ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জামাল হায়দারসহ কাজী জাফর সমর্থক কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠে আসেন; শুরু হয় সভার কার্যক্রম।
জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে বেরিয়ে এসে আবার নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেয়ায় চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের সঙ্গে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরের দূরত্ব প্রকাশ্য হয়।
তিনি প্রকাশ্যে কয়েক দফা চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলে গত ২৮ নভেম্বর কাজী জাফরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন এরশাদ। পরে কাজী জাফরও কাউন্সিল ডেকে এরশাদকে পাল্টা ‘বহিষ্কারের’ ঘোষণা দেন।
নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা কাজী জাফর গত ১৫ ডিসেমব্র এই কাউন্সিলের ডাক দেন। সেদিন তিনি দাবি করেন, দলের প্রায় ৩০ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য তার সঙ্গে আছেন।