somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পত্রিকা মালিক, সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, রিপোর্টার, ফটোসাংবাদিক, পাঠক সবাই মন দিয়ে পড়ুন- এ এক বাঙালীর আদেশ!!!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিরক্ষর হবার সুবিধা আছে। নিরক্ষর মানুষের সবচেয়ে বড় ফ্যাসালিটি হলো পড়তে না জানা। পড়তে না জানলেও ছবি দেখতে কোনো অসুবিধা হয় না। একজন নিরক্ষর মানুষের পত্রিকা দেখার মধ্যে বেশ আনন্দ ভাব লক্ষ্য করা যায়। সে যে বিনোদন পৃষ্ঠায় গিয়ে নাইকাদের ছবি দেখতে পছন্দ করেন। বাবা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে রঙীন ছবিগুলো খুটিয়ে দেখতে পারেন।

লেখা পর্যবেক্ষনের চেয়ে ছবি বা কার্টুন পর্যবেক্ষন করার মাঝে এক ধরনের আনন্দ আছে। নিরক্ষর মানুষদের কাছে প্রতিদিন টাকপড়া কিছু পচা বাসী মানুষ দেখতে আর ভালো লাগে না। তাই জাতিয় সংবাদপত্র নামক বড় কোনো প্রাইভেট কোম্পানীর ইনভেস্টমেন্টে গড়া অসুর সমাজের অগভীর সংবাদ পড়তে এখন আর জনসাধারণের তেমন একটা ভালো লাগে না। তাই সংবাদপত্র এখন এক স্টাইলের নাম।
অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন বা শিক্ষিত হবার বড় এক অসুবিধা হল, একবার পড়তে জানলে আর সারজীবনেও নিরক্ষর হওয়া যায় না।

যদি পড়ালেখা ভুলে যাবার কোনো সিস্টেম থাকতো। সবার আগে আমি চেষ্টা করতাম অশিক্ষিত হবার। যাতে করে এই চির সুন্দর জাতীর অসুন্দর সংবাদপত্র আর পড়তে না হয়। যে বাঙালীর রত্ন ও আইডিয়ার অভাব নেই, সেই বাঙালীর সংবাদপত্রের সংবাদ পরিবেশন পদ্ধতির আজ এতো দুঃসময় কেনো? যে আশা নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম “ধুমকেতু” সম্পাদনা করতেন। প্রমথ চৌধুরী “সবুজ পত্র” সম্পাদনা করতেন।

সেই আশা যে ঐ সব এসি রুমে বসে সারাদিন দেশের ভিআইপি মানুষজন ও রাজনীতিবিদ নামের কিছু বাজে মানুষের সাথে বসে চা পান করলে যে মেধা যেটুকু ছিলো তাও লোপ পেয়ে যাবে। সম্পাদক সাহেব, অনেক দিন তো সম্পাদনা করলেন, আজ আপনাকে আমার প্রাণভরা নিমন্ত্রন রইলো, ঘুরে আসুন নির্জন কোনো গায়ে, যেখানে আপনাকে কেই চেনে না, দেখবেন আপনার ভিতরের হারিয়ে যাওয়া বিবেক আবারও কুড়িয়ে পাবেন।

পত্রিকা মালিককে উপদেশঃ
আপনার বন্ধু বান্ধবদের আপনার কাছে রাখুন। আপনার পত্রিকার সম্পাদককে এখনই ডেকে কিংবা ফোন দিয়ে বলুন, “সম্পাদক আমি একজন বাঙালী হিসেবে তোমার কাজে অনুরোধ করছি, তুমি তোমার স্বাধীন মতো কাজ করবে, তোমাকে আমি স্বাধীনতা দিলাম, বুঝিয়ে দাও বাঙালী আপোশ করতে জানে না! সত্যকে তুলে ধরতে জানে। যেহেতু পত্রিকা একটি বিশার ইনভেন্টের ব্যাপার তুমি আমাকে সৎ পথে আয় করে দাও। পত্রিকার টোলাল লাভের ৫০% তুমি ও তোমার স্টাফদের দিয়ে দেবো।”


সম্পাদক সাহেবকে আদেশঃ
আপনি এখন এই মূহুর্ত থেকে নিজেকে একজন স্বাধীন বাঙালী মনে করবেন। দেখুন তো এখনকার সম্পাদকীয় গুলো কি মানসম্মত আছে। সবকিছু সাব এডিটরদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু ভালো আইডিয়া গ্রহন করার মতো মনমানুষিকতা রাখুন। যে বাংলার মানুষের এতো এতো সুন্দর আইডিয়া আছে, সেই বাংলার একজন সম্পাদক কিভাবে নিজে নিজের ভাগবাটারার, টাকা পয়সা, ধন দৌলত, সম্মান কামানোর ব্যাপারে আপোষহীন হয়ে আছেন। কিন্তু সত্য কোথায়?
একজন সম্পাদক যে অনেক বড় এক দায়িত্বের নাম। সত্যকারের সম্পাদকের ফাঁসী হতে পারে, অপঘাতে মৃত্যু হতে পারে, তারপরও তার বাঙালী চেতনাবোধ, আদর্শ ও সত্য প্রকাশের সৎসাহোস কে কেউ মারতে পারে না।
একজন সত্যিকারের বাঙালীর আদর্শকে কেউ মারতে পারে না। একজন প্রকৃত বাঙালী সাংবাদিকের জান দিয়ে সত্য প্রকাশের চেষ্টাকে, আদর্শকে, একটি জাতিকে মুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও তরান্বিত হয়। যেমন ধরুর আজ আপনি আপনার কোনো অল্টারনেটিভ খুঁজে পাচ্ছেন না। কিন্তু সত্য হলো আজ আপনি নিজেকে বেচে না দেয়ার বিনিময় আপনার যদি মৃত্যুও হয়, তারপরও আপনার অধিনস্ত কেউ আপনার আদর্শে নিজেকে উৎসর্গ করে দিবে। স্বাধীন স্বত্তাকে মারার মতো শক্তি পৃথিবীতে পয়দা হয় নি। কোনোদিন হবেও না। এ যে স্রষ্টার চ্যালেঞ্জ।
যাই হোক, কিছু আইডিয়া শেয়ার করছি। অনেক বুদ্ধিজীবী নামক পরজীবী আইডিয়া বিক্রয় করার আশায় আশায়, নিজেকে উজার করে দিতে পারে না। আরে বোকা আইডিয়া শেয়ার করলে আইডিয়া কমে না বরং বাড়ে! এ যে চির সত্য কথা। বিশ্বাস না হলে তোমাদের পূর্বসুরীদের দিকে তাকাও। মনির চৌধুরী এক রাতের মধ্যে “কবর” নাটকটি রচনা পূর্বক মঞ্চায়ন করেছিলেন। তিনি যে মুনির কী-বোর্ডেরও স্রষ্টা। যার মধ্যে বাঙালীর বাস তিনি যে আসাধ্যকে সাধন করতে পারেন।


কয়েকটি আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য বলছিঃ
প্রথম পৃষ্ঠায় একটি টাইটেল বক্স তৈরী করুন। যাতে থাকবেঃ
১। পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার উপরের এক ইঞ্চি বা হাফ ইঞ্চি পরিমান + সবগুলো কলাম একসাথে করে। আড়াআড়ি টাইটেল করে কয়েকটি কালারে টেক্সট বাউন্ডারী গড়ে তোলো। অথবা প্রথম পৃষ্ঠার বাম বা ডান পাশের পুরো একটি কলাম ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরী ফোন মোবাইর নম্বর দিয়ে দাও। যাতে করে সাধারণ মানুষের ঐ নম্বর গুলো দেখতে দেখতে মুখস্ত হয়ে যায়। প্রশাসন ঐ সব শ্রেণীর হাতে বন্দি না রেখে একদম সাধারণ মানুষের মাঝে নিয়ে আসুন। যাতে সমস্যায় পড়লে একজন গ্রামের মানুষও জরুরী প্রশাসনের সেবা নিতে পারে।
২। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হোন্ডা টিমের নম্বরও অন্তর্ভুক্ত করবেন।
৩। বাংলাদেশের মানুষের হৃদরোগ সমস্যা বা হার্ড এ্যাটাকের প্রবনতা আগের থেকে অনেকগুন বেশী। তাই জরুরী সরকারী ও বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের নম্বর এবং গ্রামের মানুষও যাতে করে জরুরী প্রয়োজনে ডাক্তার ডাকতে পারে। এজন্য এই সব সেবার জন্য নিয়মিত কিছু সহজ মোবাইল নম্বর দিয়ে দিন। যাতে করে নম্বর গুলো জনসাধারণের মুখুস্ত হয়ে যায়। টাইটেলে আন্তর্ভুক্ত হবে।
৪। মোবাইলের সিম কার্ড হারিয়ে গেলে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম করে প্রতারণা করলে বা সিস্টেমে কোনো ভুল হলে যাতে একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে সবাই যোগাযোগ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে পারে। ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিড কার্ড সংক্রান্ত সমস্যার জন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে দিন। টাইটেলে অন্তর্ভুক্ত হবে।
৫। সরকারী গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব সাইট ও ঘোষনা প্রতিদিন ঐ টাইটেলে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৬। জরুরী ট্যাক্সি ও সিএনজি সেবার জন্য ফোন নম্বর দিয়ে দিন।



প্রথম পৃষ্ঠার খবরের স্টাইল ও অবস্থান বিষয়ক কিছু কথাঃ
১। প্রথম পৃষ্ঠায় প্রতিদিন বাংলাদেশের একটি একটি করে গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন, সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করো। তাহলে বাংলাদেশের সব মানুষের গ্রামের অবস্থা নিয়ে একটি সার্বিক ও স্পষ্ট ধারনা প্রকাশ পাবে।
২। প্রথম পৃষ্ঠায় প্রতিদিন একটি করে বাংঙালী গরীব শ্রেণী থেকে নিজের মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে ভালো অবস্থানের নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে। এমন একজন একজন করে বাংলাদেশীকে সবার সামনে প্রকাশ করো।
৩। বাংলাদেশের এক একটি সম্ভাবনাময় কাজ নিয়ে কিংবা সুদুর প্রসারী কোনো শিল্প বা পেশা নিয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট করুন।
৪। প্রথম পৃষ্ঠায় কৌতুক বা স্বাস্থ পরামর্শ বা ধারাবাহিক রম্য বাদ দিয়ে প্রতিদিন একটি পাঠকে নির্বাচিত চিঠি বা ইমেইল প্রকাশ করুন।


সম্পাদকীয় বিভাগঃ
সম্পাদকীয় বিভাগ যে ভিতরের কোনো সাদা কালো পৃষ্ঠা হবে এমন কোনো কথা নেই। সম্পাদকীয় বিভাগটি আরও আকর্ষণীয় ও রঙীন করে গড়ে তুলুন। যাতে করে সাধারণ পাঠক এই বিভাগটি বিগত অনেক দিনে মতো এরিয়ে না যায়। সম্পাদক সাহেব আপনার নিজের হাতে সম্পাদকীয় লেখুন। সংক্ষিপ্ত, সহজ, সাবলীল ভাষা ও বাংলাদেশী চেতনা থাকবে। কোনো সম্পাদক যেনো কোনো মিথ্যেকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা না করে-এ এক বাঙালীর হুশিয়ারী।


ভিতরের পৃষ্ঠাঃ
১। প্রতিদিন একজন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানকে নষ্ট রাজনীতি করে নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রতিবেদন তৈরি করুন। যেখানে বখে যাওয়া ছেলেটি যে আমাদের সম্পদ হতে পারে তা প্রমাণ করুন। যাতে করে বাংলাদেশের অনেক দুঃখ ও ভারাকান্ত হৃদয়ের মা-বাবার না বলা কষ্টের প্রকাশের প্রতিফলন ঘটে।
২। কিছু কিছু স্থানীয় দালাল, সরকারী কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তার টাকা ধন সম্পদ ও টাকা পয়সার উৎস ও সম্পদের বিবরণ তুলে ধরুন। তাতে করে দূর্ণীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার একটি মন মানুষিকতা সৃষ্টি হবে।
৩। বাংলাদেশের রাস্তার পাশে অবহেলায় পড়ে থাকা পাগল, ভিক্ষুকের ইনকাম সোর্স, সম্পদের হিসাব ও ভিক্ষুকের পূর্ণবাসন শীর্ষক প্রতিদিন প্রতিবেদন তৈরি করুন।
৪। তৃনমূল রিপোর্টারদের সাথে কোনো বড় মিয়া নামের শয়তান হুমকি দামকি দিলে তাকে বাঙালীর হাতে তুলে দিন। এরা স্বাধীনতা বিরধী। আত্মসমালোচনা সইতে না পারলে সে আবার কিসের জন প্রতিনিধি?


কলাম ও বিশেষ লেখাঃ
১। আগে লেখার স্টাইল ও সত্যউপলব্ধি আছে এমন লেখকদের লেখার কলাম প্রকাশ করুন। ফেসভেলু বা সামাজিক অবস্থান নির্নয় করে কলাম লিখলে তাতে বাংঙালী চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের বিশিষ্ট কলাম লেখকদের নিয়মিত ভাবে মানহানী ও অমর্যাদা করা হচ্ছে।
২। জীবন সংগ্রামে সৎ পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এমন মানুষের আত্মজীবনী মূলক কলাম লিখতে দিন। এতে অনেক তরুন উৎসাহ পাবে।
৩। বিশ্বের আনেক ভালো রাইটারদের লেখার অনুবাদ প্রকাশ করা যেতে পারে।



আন্তর্জাতিকঃ
১। শুধুমাত্র অন্যান্য দেশের পররাস্ট্র বিষয়ক প্রেস কনফারেন্সের ভিত্তিতে না বরং অনেক দেশের সংবাদ সংস্থা থেকে সংবাদ পত্র থেকে প্রাপ্ত তাদের অভ্যন্তরিন সামাজিক সমস্যা সমুহকে বাংলাদেশের মানুষদের প্রতিদিন জানান। তাতে করে বাংলাদেশ যে অনেক শান্তির একটি দেশ তাতে তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন।
২। বিদেশী স্টার নয় বরং মানব সম্পদ গড়ার কারিগরদের বাংলাদেশী মানুষের কাছে প্রচার করুন। দেখবেন তাতে করে বিশ্বপ্রেম আরও বাড়বে।
৩। ইউরোপ, এমেরিকা, সহ শক্তিশালী দেশ হিসেবে দম্ভ ও অহংকারী দেশ সমুহের ভিতরের অশান্তির খবর প্রচার করুন। যাতে করে মানুষ ওদের অবক্ষয় থেকে নিজে শিক্ষা নেয়।


খেলাধুলাঃ
১। ক্রিকেটের সাথে প্রায় সমান আকারে ফুটবলের কথা তুলে ধরুন।
২। দেশের সব শ্রেণীর খেলোয়ারদের মানুষের সামনে সুন্দর করে উপস্থাপন করুন।
৩। খেলার পেইজে “ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা শিখতে হলে বা কৌশল সমূহ” নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট তৈরী করুন। বাংলাদেশের অনেক কোচ এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে। খেলা যে একটি কৌশল তা শিক্ষানিবেশ খেলোয়ারদের জানার দরকার আছে।
৪। ফুটবল নিয়ে এমন ভাবে রিপোর্ট করবেন যাতে করে দেশের সব তরুনদের মধ্যে একজন ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন তৈরী হয়। আপনাদের রিপর্টে অনুপ্রানীত হয়ে বিভিন্ন স্পন্সর কোম্পানী ফুটবল আয়োজন করতে বাধ্য হয়। প্রয়োজনে বাংলাদেশে একাধিক ফুটবল ফেডারেশন তৈরি হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা ফুটবল কোর্সরা আমাদের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করবে। ফুটবলের উন্নয়নে খরচ যখন করা হয়েছে আরো হবে তবুও বাংলার ছেলেরা ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবেই। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা বেশী সময়ের ব্যাপার না। বাংলাদেশের কোনো অজানা গায়ে বিশ্বের সেরা ফুটবল খেলোয়ার লুকিয়ে আছে তাকে টেনে নিয়ে আসার দায়িত্ব সকল বাংলাদেশী কর্তব্য।
৫। মার্শাল আর্টকে গুরুত্ব দিন। বাংলাদেশীদের মার্শাল আর্ট শেখা একান্ত বাধ্যতামূলক। যেমন ধরুন বিশ্বজিত হত্যার সময় যারা আশেপাশে ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩-৪জন ব্লাক বেল্ট ধারী লোক থাকবে একটা প্রাণ বাঁচতে পারতো।
(সাঁতার ও মার্শার আর্ট বিষয় দুটি প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হবে।)
৬। ব্যায়াম কে গুরুত্ব দিন।


বিভাগীয় সম্পাদকদের বলছিঃ
১। আপনারা কর্মঘন্টা হিসেব না করে কাজ করুন।
২। নিজের বিভাগের মধ্যেই নিজেকে না রেখে নতুন কিছু করে দেখান।
৩। আপনার দায়িত্ব অনেক। আপনার বেতন বাড়ানোর দরকার। কিন্তু কোনো প্রকার অবৈধ অর্থ কামাবার ধান্দা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজেকে বাংঙালী বলে বিশ্বদরবারে পরিচিত করিয়ে দিন।
প্রেরণা নেওয়ার মতো বিভাগীয় সম্পাদক অনেক আছেন। এদের মধ্যে দাদা ভাই (রোকনুজ্জামান), সুমন্ত আসলাম ভাই।
না পারলে ওয়াল্ড জার্নালিজম নামের বইপত্র ফেলে দিয়ে একজন সত্যিকারের বাঙালী রোকনুজ্জামান দাদা ভাইয়ের “হাসতে নাকি জনেনা কেউ, কে বলেছেন ভাই,” কবিতাটি আবারও পড়ে আসুন।


রিপোর্টার ও মফস্বল সংবাদ দাতাদের বলছিঃ
১। শুধুমাত্র জিডিএন্ট্রি ও এজাহারের উপর নির্ভর করে রিপোর্ট না করে মেধা খাটান।
২। বানান ও ভাষা শেখার চেয়েও বেশী জরুরী নিজের কুলংঙ্গার রাজনৈতিক অবস্থান, ও নিজের স্বজনপ্রীতি, বাংলাদেশের প্রকৃত চেতনার কাছে নিজের ব্যাক্তিগত রেশারেশী দুর করা।
৩। সমাজে যারা প্রভাবশালী ব্যাক্তিত্ব রূপে নিজেদের মনে করেন। তাদের মনে এই ভাবনা তৈরি করান যে গনমাধ্যম সবার কথা বলে। সবার মনের আশার বহিঃপ্রকাশ। নিজের সমালাচনা সইতে না পেরে যারা আপনার স্বাধীন সংবাদ প্রকাশ করতে বাধা প্রকাশ করছে। তাদের কথা সবার সামনে তুলে ধরুন। আপনার লাঙ্ঞিত হবার খবর আপনার মাধ্যমেই বাংলার মানুষকে জানান।
৪। পেষাগত দায়িত্বের পাশাপাশি নিজে প্রচুর পড়ুন। জ্ঞান সমুদ্রে নিজে ডুবুরী না হতে পারলে যে আপনি সত্যকে উপলব্দি করতে পারবেন না।
৫। টাকার কাছে নিজের ব্যাক্তিত্বকে বিশর্জন দিবেন না। আপনি যদি নিজেকে ত্যাগ করতে জানেন টাকা আপনার হবেই।
আমি আজও অভাবে অনাটনে দিন কাটাই। হাতে টাকা পয়সা নেই। মা অসুস্থ। তারপরও আমি কিন্তু আপনাদের উদ্দেশ্যে লিখে যাচ্ছি। একজন বাঙালী সত্য প্রকাশ করতে জানে কিন্তু টাকার কাছে বিক্রি হয় না।
৬। অসৎ সাংবাদিকদের চিরতরে মিডিয়া জগত থেকে বিতারিত ও অবাঞ্চিত করে দিন।

ফটোসাংবাদিকঃ
১। আপনি যে একজন সৈনিক। আপনি যে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। আপনি জাতির চোখ। সেই চোখ দিয়ে সত্য প্রকাশ করুন।
২। আপনাকে গুরুত্ব না দেয়া কিংবা আপনার থেকে পরামর্শ না নেয়ার কারণেই আজ এই করুন দশা।
৩। আপনারা যাদের ছবি তুলে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। তারা আপনাকে গুরুত্ব না দিলে আপনিও গুরুত্ব দিবেন না। যারা আপনাকে শুধু একজন ফটোসাংবাদিক হিসেবে দেখে তাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন না হলে গুরুত্ব দিবেন না। মনে রাখবেন আপনিও একজন মানুষ। আপনিও একজন বাঙালী। নিজের ব্যাক্তিত্ব আপনাকে অনেক দুরে নিয়ে যেতে পারে।
৪। একটি ফটোগ্রাফির থিম কোনো সাধারণ বিষয়ের মধ্য থেকে আসতে পারে। তাই নিয়মিতো জীবনের সেরা ছবিটি তোলার আকাঙ্খায় থাকুন।
৫। প্রকৃতির মধ্যে অনেক বাস্তব সত্য বিরাজমান। প্রকৃতির ছবি বেশী বেশী তুলন। যাতে করে মানুষ তার আপন শক্তি ভুলে না যায়।
৬। জীবনটা অনেক ছোট বন্ধু। কিন্তু দায়িত্ব অনেক বেশী। মনে করে দেখুন আপনার ছেলে, মেয়ে, মা, বাবার দায়িত্ব নেয়ার জন্য বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তৈরি হতে পারে নি। সবশ্রেণীর সন্তানের জন্য মায়া না থাকলে নিজের নিরাপত্তা কিভাবে হবে বলেন?
৭। ফটোসাংবাদিক সহ সব সাংবাদিক রিপোর্টাদের অনাকাংক্ষিত মৃত্য বা অঙ্গহানী হলে তার ব্যায়ভার বা ক্ষতিপূরণের টাকার অংক এবং টাকা পাবার পক্রিয়া আরো সুস্পষ্ট হতে হবে।

বিশেষ দিবসের ক্রোড়পত্রঃ
১। বিশেষ দিবসের ক্রড়াপত্র যে মানুষ পড়ে না। তা কি আপনারা বোঝেন? ক্রোড়পত্র হতে হবে দিবসের সাথে সংগতিপূর্ণ ও তথ্য বহুল। রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বানীতে নতুনত্ব থাকতে হবে। অযথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বা জিয়ার আদর্শ লিখলে হবে না। আধুনিকয়ায়ন করতে হবে। সত্যিকারের কিছু বিশ্লেষক ক্রেড়াপত্রে বাণী প্রিন্ট করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধুমাত্র সরকারী পোষ্ট ও নষ্ট রাজনীতিবধদের পরিচয়ের কিছু কলংকিত মানুষের কাছ থেকে একজন বাংঙালীকে কেনো নীতি বোধ শিখতে হবে?

বিনোদনঃ
১। বিনোদন জগতে বাংলাদেশের সিনেমাকে আর খারাপ ভাবে উপস্থাপন করবেন না। বাংলাদেশী সিনেমার ইতিহাস একেবারে খারাপ না। একজন খান আতা যদি একটি “জীবন থেকে নেয়া” সিনেমার মাধ্যমে টোটাল রাজনীতিক পরিস্থিতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারে। সেই দেশে কি মেধার অভাব?
২। নতুন যারা সিনেমা শিল্পে ইনভেস্ট করতে চায় তাদের তুলে ধরুন। নতুনদের নিয়ে বেশী বেশী রিপোর্ট করুন।
৩। বিদেশী তারকাদের এতো বেশী তুলে ধরার দরকার নেই।
৪। স্টার জলসা টাইপের ডেইলী সোপ মানুষের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে। এবং এইসব ডেইলী সোপের কুফল দীর্ঘ মেয়াদী। এই নাটক নামের প্রডাক্টের বাহার সামাজিক অবক্ষয় ঘটায়। বাংলাদেশ একটি সুন্দর পারিবারিক বন্ধনের দেশ। প্রেমীক-প্রেমীকা ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্য সন্দেহ, পরকিয়া, নিত্যপ্রয়োজিনিসের অভাব অনুভব না করে ভোগ্য পন্য কেনার জন্য সংসারে অশান্তি হবার জন্য এই ডেইলি সোপ অনেক বেশী ইফেকটেড। এই টাইপের চ্যানের বন্ধ করে দেয়া দেশের জন্য ভালো। বাংলাদেশীরা বাংঙালী সাংস্কৃতি শিখবে। বিজ্ঞাপন বিভাগঃ
১। যে কোম্পানীই তার বিজ্ঞাপন দিন না কেনো তাতে বাংঙালী জাতি স্বত্বাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনাদের পন্যের প্রচার প্রচারনা চালান।
২। বিজ্ঞাপনে আমাদের দেশের শিল্পসাহিত্যে অবদান রাখা মানুষদের তুলে ধরুন।
৩। বিদেশী তারকাদের ছবি সংবলিত বিজ্ঞাপন বর্জন করুন।
৪। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের স্টাইলে একটা বিশাল পরিবর্তন দরকার।
৫। সমসাময়িক বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞাপনের আইডিয়া গ্রো করান।
৬। সুন্দর, সমৃদ্ধশালী ও দূর্ণীতিমুক্তদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো দারুন ভূমিকা রখতে পারে।
৭। দলকানা না হয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক সভাসমাবেশের বিজ্ঞাপন প্রচার করুন। বিএনপি হলেই যে জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবি দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার আওয়ামীলীগ হলেই যে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। জনপ্রতিনিধি হবার জন্য সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করুন।

আরো কিছু কথা ছিলো। আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মা হঠাৎ করে কিছুটা অসুস্থ। হাতে টাকা পয়সা নেই। সব সাধারণ মানুষই এই সংহিসতার কারনে খারাপ অবস্থায় আছে। মানুষের কষ্ট যে আমি সইতে পারি না।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মালিক/সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার
বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯

https://www.facebook.com/asif.ud



সকল গণ মাধ্যমকে বলছি ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে প্রতিদিন পজেটিভ রিপোর্ট করুন :: এ এক বাঙালীর আদেশ!!!

বাংলাদেশের সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে উপদেশ দিচ্ছি

তোমার জীবনের নায়ক তুমি নিজেই

প্রিয় হারাবার দিনগুলোতে নজরুল :: আরও কিছু কথা!!!

কোনো মানুষ আমাকে ভিক্ষা দেয়নি::এক মাসের জন্য ৫০০০০টাকা ধার দাও।







সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×