; আজকে হলিউডি সিনেমার শ্যুটিং দেখছি। একদম বিনা পয়সায়। তা ও আবার ফার্মগেটে!
'আমি বন্দি কারাগারে' এই গান শুনতে শুনতে নগরবাসি ক্লান্ত। তাই আজকে রাস্তায় ছিল দুনিয়ার 'জ্যাম-জেলি যট' বাধ্য হয়ে শাহবাগ থেকে হাটা ধরলাম। ফার্মগেটের কাছাকাছি, সবে মাত্র ডেইলি স্টার এর অফিস পার হয়ে ওভার ব্রিজে উঠব বলে। কিন্তু পুলিশ বাবাজি বললেন 'নেহি, ব্রিজে উঠতে দিতাম না' আমি শুধাইলাম, 'বাহে, নামাজের ওয়াক্ত যায় ঐদিকে আমার পরীক্ষা ও আছে। কোন দিক দিয়া যাইতাম ওই পাড়?' কিন্তু আবার একই কথা, 'ভিআইপি আইব। কুনুমতেই এখন ওই পাড় যাইতে পারবেন নাহ।' আমি কি আর বলব? ভাবলাম দেখি ভিআইপি দেখি। খানিকক্ষণ পরে দেখি রাস্তায় পুলিশের দৌড়াদৌড়ী ভাবলাম ভিআইপি আসতেছে, যাক ভালই এইবার ওই পাড়ে যাইতে পারব । কিন্তু না! দেখি এক ভদ্রলোকের সাদা ধবধবা এক 'কিয়া' ব্র্যান্ডের জিপ গাড়ি চলতে চলতে রাস্তায় বন্ধ! পুলিশ যে এখন কি করব আর দিশা পাইতেছে না। একটু পিছেই ভিআইপি'র গাড়ি। একবার রেকার আনে তো আরেকবার গালি দিয়া রেকার 'রে দূরে পাঠায়। এর মাঝেই কওয়া নাই বলা নাই এসএসএফ ভাইয়েরা আইসা গাড়ির চারদিকে হুমড়ি খাইয়া পড়ল। পুলিশ সার্জেন্ট ভাইয়েরা নষ্ট হওয়া গাড়িটারে নিজেরা ঠ্যালাঠেলি কইরা এক পাশে নিয়া আসল। পিছনে এক কুকিল কণ্ঠী আপু চিৎকার করতেছিল গাড়ি থেকে, 'কেউ গাড়ি থেকে নামবেন না, সবাই নিজের জায়গায় থাকেন।' আরেক ভাই দেখলাম বন্দুক উঁচাইয়া আমাদের দিকে তাক করে রাখছেন। আহা! কি দৃশ্য! এই রকমটা ঠিক 'অলিম্পাস হ্যাজ ফলেন' টাইপ সিনেমায় দেখেছিলাম। দেখে ভাল লাগল।
মোড়াল অব দ্যা স্টোরিঃ কিয়া ব্র্যান্ডের গাড়ি ভাল না। যাদের আছে, OLX এ বেঁচে দ্যান।