গণজাগরণ মঞ্চের আগামী কর্মসূচীঃ-
* পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের জন্য (শনিবার থেকে সাতদিন ব্যাপি সারাদেশে পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের প্রচারণা)
* পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে রোববার সকাল ১১টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হামলাকারী পুলিশের শাস্তির দাবিতে একই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান।
গণজাগরণ মঞ্চ এবং কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়।
সমাবেশ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের একটি মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসূল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে লাঠিপেটা ও নির্যাতন চালানোর জন্য দায়ী পুলিশদের শাস্তি দিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে মঞ্চ। এর মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী শুক্রবার আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর প্রতিটি কর্মসূচিতে থাকলেও এদিন শুরুতে ছিলেন না পুলিশের লাঠিপেটায় আহত মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। বিকাল ৪টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার পর জানানো হয়, তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরপর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ সমাবেশে এসে উপস্থিত হন ইমরান। তবে কোনো বক্তব্য দেননি তিনি।
*‘জঙ্গি রাষ্ট্র এবং জঙ্গিবাদের রপ্তানিকারক’ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর আহ্বান জানান। একাত্তরে বাঙালি ‘পাকিস্তানের নাক কেটে দিয়েছে’ মন্তব্য করে পাকিস্তানের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমাদের নাক বলে কিছু নেই। তোমরা নিজেদের দেশকে সামলাও।’-ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
* “পাকিস্তানি সংসদের প্রস্তাবকে আমরা ঘৃণা জানাই। তবে এই প্রস্তাবের মাধ্যমে একটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের বিচার বিভাগ ভুল করেনি। বাংলাদেশ ভুল করেনি।
* “আল বদরের ফাঁসি দিয়েছে। বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়, কোনদিন হবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ হবে। পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, বাংলাদেশ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জঙ্গি রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।”
* “ইসরায়েল আগ্রাসী রাষ্ট্র হওয়ার কারণে তাদের সঙ্গে যদি আমাদের সম্পর্ক না থাকে তাহলে জঙ্গিরাষ্ট্র হওয়ার কারণে পাকিস্তানের সঙ্গেও আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।”
* তাঁকে প্রেমিক বলে পাকিস্তান প্রমাণ করে দিয়েছে যে, কাদের মোল্লারা পাকিস্তানের লোক। ‘পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্রের’ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতে পারে না-নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সভাপতি সম্মিলিত বাংস্কৃতিক জোট।
* “একাত্তরের যুদ্ধারাধীদের মধ্যে মাত্র একজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। “পাকিস্তানিরা একাত্তরে আমাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের পৈচাশিক নির্যাতন করেছে আমরা তা ভুলিনি। বিশ্বকে দেখাতে চাই, আমরা বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করতে পারি।
* কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর নিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাসের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “পাকিস্তান দেখিয়েছে জামায়াত তাদের সংগঠন। এক কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়াতে তাদের মনে এত ব্যথা লেগেছে। আমাদের এই সুন্দর দেশটাকে তারা তাদের মতো বর্বর দেশ বানাতে চাচ্ছে।
“পুলিশ যেভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। মনে হয়েছে, এই হামলাটি সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। কার ইশারায় এই হামলা করা হয়েছে তা আমরা জানতে চাই।”-খুশী কবীর
* ‘সেদিন পুলিশ যে ভাষায় কথা বলেছে, সেই ভাষায় কথা বলে জামায়াত। এর মানে তাদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ঘাপটি মেরে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর লাঠিচার্জের জবাব গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা জয় বাংলার মাধ্যমেই দেবে। আমরা অহিংস বলে দুর্বল ভাববেন না। জয় বাংলার মধ্যেই আমাদের সমস্ত শক্তি। আমাদের আন্দোলনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন-আছেন-থাকবেন।’-মারুফ রসুল, সংগঠক গণজাগরণ মঞ্চ।
* ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ও মঞ্চের অন্যতম সংগঠক বাপ্পাদিত্য বসু পাকিস্তানের শোক প্রস্তাবের জবাব দিতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন খুশী কবির, শামসুল ইসলাম সুমন, বজলুর রহমান মিঠু, জনার্দন দত্ত, শাহ আবদুল বাতেন, শিপ্রা বোস, লাকী আক্তার, বীণা শিকদার, প্রদীপ সাহা, আবদুর রউফ প্রমুখ।
পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের আহ্বান গণজাগরণ মঞ্চের-প্রথম আলো।
বগুড়ায় গণজাগরণ মঞ্চ কর্মীদের ওপর হাতবোমা হামলা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮