অবরোধের মধ্যে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান দূরপাল্লার বাস চলাচলের ঘোষণা দিলেও যাত্রী না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা।
Published : 21 Dec 2013, 05:15 PM
ফলে মহাসড়কে বড় ধরনের গোলযোগ না হলেও দূর পাল্লার বাস চলাচল ছিল কম, যদিও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল।
অবরোধে বাস চলাচল ব্যাহত হলেও ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে ট্রেনের সময়সূচি ঠিক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
নির্বাচন স্থগিত ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের পঞ্চম দফা অবরোধ, যা চলবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
গত ২৬ নভেম্বর থেকে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে বিরোধী জোটের টানা কর্মসূচিতে অচল মহাসড়ক সচলের ঘোষণা গত বুধবার দিয়েছিলেন মন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজহান।
শুক্রবার থেকে দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের যান চলাচল শুরুর ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবহনকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
শুক্রবার অবরোধবিহীন দিনে মহাসড়কে ব্যাপক যানজট থাকলেও শনিবার সকালে অবরোধ শুরুর পর থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে খুব বেশি বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
দূরের না চললেও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর উদ্দেশে বাস ছাড়তে দেখা যায়। মহাখালী টার্মিনাল থেকে পুলিশ পাহারায়ও বাস ছাড়তে দেখা গেছে।
মহাসড়ক পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সপার (পূর্ব) আশিকুর রহমান আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস চালুর চেষ্টা চালিয়েছেন তারা।
“তবে টার্মিনালে যাত্রী সংখ্যা কম বলে টার্মিনালের লোকজন জানায়,” বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেমরা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, দূরের পথ বাস না চললেও কাছের জেলাগুলোর বাস চলছে।
সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রাম রুটে রওনা হওয়া যাত্রীসেবা পরিবহনের চালক মো. হিরন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ফেনী পর্যন্ত যাবেন।
“সরাসরি চট্টগ্রাম যাচ্ছি না, ফেনী পর্যন্ত যাচ্ছি। সেখান থেকে অন্য বাসে যাত্রীরা চট্টগ্রামসহ পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাচ্ছে।”
অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো ভাংচুরের খবর পাওয়া যায়নি। উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কে সিরাজগঞ্জে দুটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪/৫টি গাড়ি ভাংচুর হয় সকালে।
সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
সদরঘাটে বিআইডাব্লিউটিএ’র পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে সদরঘাট থেকে আটটি লঞ্চ ছেড়ে যায় আর সদরঘাটে আসে ৪০টি লঞ্চ।