নসিমন, করিমনসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি শ্যালোইঞ্জিন চালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে বাগেরহাটে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আটটি সংগঠন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে।
Published : 02 May 2013, 04:32 PM
বৃহস্পতিবার বাগেরহাট বাস টার্মিনাল ও সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে শুক্রবার ভোর থেকে এই ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
ধর্মঘটীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর ও খুলনা জেলাসহ দূরপাল্লার জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে বাগেরহাট থেকে কোন বাস ছাড়বে না। বাগেরহাটের উপর দিয়ে চলতে দেয়া হবে না কোন যাত্রীবাহী বাস।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান মনির হোসেন বলেন, “কয়েক বছর ধরে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো নসিমন, করিমন, ভটভটি, মহেন্দ্রসহ অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবিতে এর আগেও আমরা ধর্মঘট করেছি। ধর্মঘট করা হলে প্রশাসন দাবি পূরণের আশ্বাস দেয় কিন্তু সমস্যা সমাধানে বাস্তব কোন উদ্যোগ নেয় না।”
এই অবস্থায় গত ২৯ এপ্রিল বাগেরহাট আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কার্যালয়ে সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিনা শামীম হাসানের সভাপতিত্বে মালিক ও শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের এক যৌথ সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান মনির।
এদিকে আগামী ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির ঠিক আগে ডাকা এই পরিবহন ধর্মঘটকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা।
বাগেরহাট জেলা হেফাজতে ইসলামের আমির ও বাগেরহাট শহরের জামিয়া আরাবিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, “অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘটের নামে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এই কর্মসূচি ইমান, ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতার প্রচেষ্টা।”
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, ধর্মঘট আহ্বানকারী পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে তারা অবহিত।
মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।