[হেফাজত এখন মারমুখি, চরম উত্তেজিত। যেকোনো মুহূর্তে কেন্দ্রিয় নির্দেশ ছাড়াই রাজপথে নেমে আসতে পারে। তাই সরকারকে বিশেষ অনুরোধ, আপনার গৃহপালিত বিপ্লবের "শাহবাগী নায়কদের" আপাতত বেধে রাখুন। আর হেফাজতের বাইরের ওলামায়ে কেরামকে বলব, আপনারা 'জাতীয় সঙ্কট ও হেফাজত বিষয়ে' খোলামেলা কথা বলুন]
দেশ যখন অগ্নিগর্ভ, সে মুহূর্তে সকল শ্রেণি-পেশার সাদা মনের মানুষদের চুপ থাকাটা আত্মহত্যার শামিল। জুলুমবাজদের পক্ষ নেয়া আরো ভয়ানক। তবে ধর্মীয় বিভ্রান্তি আমরা চাই না। তাই যারা প্রকৃত ধার্মিক, তারা দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আলোচনার টেবিলে ডাকুন। আপনারাই এই সঙ্কটের একটি সন্তোষজনক সমাধান দিতে পারেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
একদিকে ১৬ কোটি জনগণ, সারা বিশ্ব। অন্যদিকে শেখ হাসিনা, আম্লীগের কতিপয় নেতা, চেলা-চামুণ্ডা ও ভারত। তাহলে সংঘাত কি অনিবার্য? এর ফলশ্রুতি কি হতে পারে? পাগল অর্থমন্ত্রীর দম্ভোক্তি : "ক্ষমতাশীলদের সম্পদ তো বাড়বেই।" এ কীসের আলামত? ক্ষমতাশীল কারা? তোরা তো শালা ভিক্ষুক। "প্রার্থী" মানে কী? জনগণের কাছ থেকে ভোট ভিক্ষা চেয়ে ক্ষমতায় আসা কি জাতি ভুলে গেছে?
আজ এই নগণ্য ভোটের অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। কেন? ইতিহাস কিন্তু ক্ষমা করবে না। অহংকারের মসনদ যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে যায়। তাই কথিত "ক্ষমতাসীনদের" অনুরোধ করব, বাস্তবতায় ফিরে আসুন। আর এর বাইরের যারা তাদেরও বলব, সংঘাতে না গিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের ডাক দিন। হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করুন। সরকারের সঙ্গে আহ্বান ব্যতীতই আলোচনায় বসুন। অন্তত জাতির স্বার্থে হলেও। আলোচনায় আন্তরিকদের ডাকতে হয় না, এমনকি ষড়যন্ত্র করেও ঠেকানো যায় না। আলোচনা আলোচনা আলোচনা। আল্লাহ চাইলে এ মুহূর্তে আলোচনায় পারে জাতিকে নিশ্চিত সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে।