নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে সরে না আসতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
Published : 25 Dec 2013, 04:29 PM
বুধবার বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীদের এক সমাবেশে বক্তব্যে দশম সংসদ নির্বাচনের চলমান প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “৫ জানুয়ারি যে নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে, এটি নির্বাচন নয়, সিলেকশন।”
বিএনপির দাবি উপেক্ষা করে ৫ জানুয়ারি ভোটের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের নেত্রী খালেদা জিয়া এই নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর সারাদেশ থেকে সবাইকে ঢাকায় অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যারিস্টার রফিক বলেন, “বিরোধী দলীয় নেতা ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র ডাক দিয়েছেন। সারাদেশ থেকে লোকজন সেদিন ঢাকায় আসবে।
“আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে বলব, সেদিন আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।”
জরুরি অবস্থার সময় দায়ের বিভিন্ন মামলায় দুই নেত্রীর আইনজীবী রফিক-উল হক ২০১২ সালের ২০ মে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচিতে খালেদা জিয়াকে পানি খাইয়ে অনশন ভাঙিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “৫ জানুয়ারি দেশে একটি তামাশার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে লজ্জাজনক ইতিহাস রচনা করা হয়েছে।”
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ওই সমাবেশে ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিনটিকে ‘তামাশাবিরোধী দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংসদ সদস্যদের হলফনামায় ঘোষিত সম্পদের হিসাব নিয়ে লুকোচুরিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
“শুনেছি, ওই সব হলফনামা সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। এসব করে সরকারের লজ্জা নিবারন হবে না।”
বিকল্প ধারা সভাপতি বলেন, “দেশের বর্তমান অবস্থায় আমি শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। এরকম পরিস্থিতিতে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র মতো কর্মসূচি ঘোষণার জন্য আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার দল এই কর্মসূচিতে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দেবে।”
সমাবেশে বক্তব্যে জাতীয় পার্টির নবগঠিত এক অংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদও বিএনপি চেয়ারপারসনের ডাকে ঢাকাযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।