somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চশমা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চশমা পড়া শুরু করি ২০০৫ সাল থেকে। প্রথম চশমাটি ভাব দেখানোর জন্য পড়তাম মাঝে মাঝে। আস্তে আস্তে যখন পাওয়ার বৃদ্ধি পেল, তখন একটা রিমলেস ফ্রেম নিলাম। সেটা তিন দিনের মাথায় ভেঙ্গে গেলো। তারপর সেটা সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে ব্যাবহার করলাম কয়েক মাস। আমার দুই চোখের পাওয়ার দুই রকম। বাম পাশের গ্লাসের পাওয়ার -.২৫ এবং ডান পাশের গ্লাসের পাওয়ার -.৭৫। কিছু দিন আগে একটি চশমার একটা ডান্ডি ভেঙ্গে যায়। যথারীতি আবার সুপার গ্লু। ভাবছি আগামী মাসে নতুন একটা ফ্রেম কিনবো। চোখের পাওয়ার টা আরও বেড়েছে মনে হয়।

এবার চশমা নিয়ে কিছু গিয়ানের কথা কই। নিচের গিয়ানের কথা কিন্তু আমি পুরটাই নেট থেকে নিয়েছি। আমি কিন্তু কোন গিয়ানের কথা জানি না। তাই নেটই ভরসা। সে জন্য আবার কেউ মন্দ কথা বইলেন না।

ধারণা করা হয়, চশমা প্রথম আবিষ্কার করেন আলেসান্দ্রো দেল্লা স্পিনা নামে এক ইতালিয়ান লোক। সম্ভবত ১২৮৬ সালে তিনি প্রথম চশমা আবিষ্কার করেন।
তবে অনেকে আরো আগে চশমা আবিষ্কৃত হওয়ার কথা বলেন। এমনি দাবি উঠেছিল, ফ্লোরেন্সের সালভিনো দি’আর্মাতো নামে একজন আরো আগে চশমা আবিষ্কার করেছিলেন বলে। কিন্তু পরে আরো গবেষণা করে দেখা গেল, সেটা নিছকই একটা গুজব। আবার বিখ্যাত পরিব্রাজক, যিনি পায়ে হেঁটেই পৃথিবীর অর্ধেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন; সেই মার্কো পোলো লিখেছিলেন, তিনি নাকি ১৩ শতকেই চীনে চশমা ব্যবহার করতে দেখেছেন। কিন্তু এমন কথা খোদ চীনেরও কেউ লেখেননি। অন্যদের লেখায় চীনে প্রথম চশমার উল্লেখ পাওয়া যায় আরো পরে, ১৫ শতকে। তাও সেই চশমা নাকি আমদানি করা হয়েছিল।

সবচেয়ে পুরনো চশমার ছবিটা এঁকেছিলেন তোমাসো দ্য মোদেনা নামে এক ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী। আসলে তিনি একজন বেশ উচ্চপদস্থ লোকের পড়ার ছবি এঁকেছিলেন; আর সেই লোকটি চশমা পড়ে ছিলেন। ফলাফল, ১৩৫২ সালে আঁকা হয়ে গেল পৃথিবীর প্রথম চশমার ছবি।

তবে মজার কথা কী জানো? চশমা আবিষ্কৃত হলেও, চশমা কীভাবে কাজ করে, সেই ব্যাখ্যা তখনো মানুষ ঠিক বের করতে পারেনি। প্রথম এই ব্যাখ্যা দেন জোহান্স কেপলার, ১৬০৪ সালে।

বাইফোকাল চশমার দু’টি ভিন্ন পাওয়ার থাকে। এই চশমা প্রথম উদ্ভাবন করেন বিখ্যাত আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। অনেকে তার এই কৃতিত্বের দাবিদার করেন জর্জ হোয়াটলে আর জন ফেনোকেও। কিন্তু গবেষণায় প্রমাণিত হয়, এই কৃতিত্বটি তার। ধারণা করা হয়, তিনি হয়তো তারও বেশ আগেই বাইফোকাল চশমা উদ্ভাবন করেছিলেন।

এখন চশমার ফ্রেমের গল্পটা বলি। একদম পুরোনো আমলের চশমার ফ্রেমগুলোকে এখন বেশ অদ্ভূত ঠেকবে। ওগুলোর কোন ডাণ্ডা থাকতো না। হয় হাত দিয়ে ধরে ধরে পড়তে হতো, নাহয়, নাকের উপর ঠেস দিয়ে রাখতে হতো। প্রথম চশমার ফ্রেমে ডাণ্ডার ব্যবহার করা হয় ১৭২৭ সালে। প্রথম ডাণ্ডার ব্যবহার করেন সম্ভবত বৃটিশ চক্ষুবিদ এডওয়ার্ড স্কারলেট। কিন্তু সেই ডিজাইন তেমন ভালো হয়নি। পরে ফ্রেমের আরো অনেক উন্নতি হয়। সাথে সাথে দামও বাড়তে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×