বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বিরোধী দলের কর্মসূচির আগে বাস-লঞ্চ-ট্রেন চলাচল ‘বন্ধ’ করে দিয়ে সরকারই অবরোধ করছে।
Published : 28 Dec 2013, 12:48 PM
তবে যে কোনো মূল্যে রোববার ১৮ দলের ‘ঢাকামুখী অভিযাত্রা’ কর্মসূচি করা হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
নির্বাচন প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে রোববার সারাদেশ থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ঢাকায় ডেকেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের কর্মসূচি তিনি দিলেও পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি। এর পাশাপাশি সারাদেশ থেকে ঢাকামুখী বাস-লঞ্চও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শনিবার সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব বলেন, “সরকার ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে কোনো বাস আসতে দিচ্ছে না।
“সরকার এতদিন বলত, বিরোধী দল হরতাল-অবরোধ করে। আজ দেখছি, গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বন্ধ করতে তারা (সরকার) নিজেরাই অবরোধ ডেকেছে।”
প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলেও নয়া পল্টনে রোববারের সমাবেশ হবে বলে ঘোষণা দেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব।
তিনি বলেন, “সরকার ঢাকামুখী যানচলাচল বন্ধ করে দিলেও হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষ ঢাকায় এসে গেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি করব। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না।
“আমরা বিশ্বাস করি- মাঠে অবস্থান করা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর হামলা চালাবেন না। রাস্তায় মানুষ নামলেই গুলি-কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ধারণা ঠিক নয়।”
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব বলেন, সরকার সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে। কেবল তাই নয়, মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ অনেক আইনজীবী ও পেশাজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“আমরা এহেন গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, “নির্বাচনকালী সময়ের এই অসাংবিধানিক সরকারের হাতে আজ সাংবাদিকসহ পেশাজীবীরা নির্যাতিত হচ্ছে।
“নানাভাবে সেন্সরশিপ আরোপ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। অনেক সত্য সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে না।”
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সানাউল্লাহ মিয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ মিয়া আলম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক খলিলুর রহমান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।