২০৫০ এ বেঁচে থাকলে বয়স হবে ৬৬ ।... একজন বৃদ্ধ লোক। ঘোলাটে চোখে ও দেখতে চাইব বাংলাদেশ পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত, জনকল্যাণ ভিত্তিক সমৃদ্ধ পৃথিবীর অংশ। দেশ যারা পরিচালনা করে তাঁদের এমন স্বপ্ন ও ইচ্ছা থাকতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে এমন একটি স্বপ্ন দেখার জন্য সাধুবাদ।
একটি জনসমষ্টির এগিয়ে যাওয়ার পিছনে থাকে অনেকগুলো ছোট-বড় স্বপ্ন। একে একে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিন তাঁরা তাঁদের সীমা পেরিয়ে নতুন সীমা নির্ধারণ করে।
পিছনের ভুলগুলো ও এগিয়ে যাওয়ার অংশ। ভুল স্বীকার করতে হবে। সংশোধন করতে হবে। এই ইশতেহারে পিছনের ভুলের কথা নেই, অপূর্ণতার কথা নেই।
২০৫০ এ কোন কোন ধাপ পেরিয়ে আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে সমবেত হব তার উল্লেখ নেই। ২০১৪ এর পরবর্তী ৫ বছরের টাইমলাইন ও দেওয়া নেই। আর বড় কথা হল, ২০২১ অথবা ২০৫০ সরকারী পরিকল্পনার অংশ হতে পারত।
সংসদ নির্বাচন হয় আইন ও নীতি নির্ধারকদের নির্বাচন করার জন্য। জনগনের অধিকার রক্ষায় ভবিষ্যতে কি কি আইন তাঁরা তৈরি করবেন ও সংশোধন করবেন তার একটি বিবরণ এই ইশতেহারে থাকতে পারতো। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা কিভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের স্থায়ী সমাধান কিভাবে করা যায় তার একটি ধারনা এই ইশতেহারে প্রয়োজন ছিল।
আওয়ামীলীগ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বৃহৎ রাজনৈতিক দল। কিন্তু গত চার দশকে (১৯৭১ এর পরে) কোন নতুন সফল রাজনৈতিক দিকনির্দেশক উপহার দিতে পারেনি। দলের মন্ত্রীদের কথা ও কার্যকলাপ হাসির খোরাক হচ্ছে। বর্তমান ইশতেহার ও তাঁরা বানিয়েছেন নিজেদের মতো করে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করেছেন। একটি অর্থবহ ইশতেহার দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদেরকে বলব আওয়ামীলীগের অন্যতম পুরোধা আবুল মনসুর আহমাদের "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" পড়তে। কিভাবে সালতামামী করতে হয় আর কিভাবে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হয় তা বর্তমান আওয়ামীলীগের নেতাদের জানার প্রয়োজন আছে। ১৯৫৪ এ মুসলিম লীগের পতনের সূত্রপাত আওয়ামীলীগের সাফল্যে। বর্তমানে অপ-রাজনীতি করে কতদিন টিকে থাকবে তা সময়-ই নির্ধারণ করে দিবে।
তবুও ২০২১এর পর ২০৫০ এর একটি স্বপ্ন পেয়েছি। কম কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮