খালেদা জিয়ার বাড়ি থেকে বেরোনোর পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 30 Dec 2013, 06:48 PM
সোমবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ছিলেন সাবেক এই কূটনীতিক।
এরপর পৌনে ৮টার দিকে তিনি গুলশানের ওই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
শমসের মবিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, জানি না।”
এরপর থেকে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
শমসের মবিনের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। তবে শমসের মবিনকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে তারা পুনরায় খালেদার বাড়িতে ঢুকে পড়েন।
শমসের মবিনকে আটক করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী- জানতে চাইলে সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত যাওয়ার আগে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন খালেদার বাড়িতে ঢোকেন। তার ১০ মিনিটের মাথায় শমসের মবিন ঢোকেন ওই বাড়িতে। তাদের ঢুকতে কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ।
একদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
তখনো অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলা না হলেও পরে হাফিজকে বাংলা মোটরে গাড়ি পুড়িয়ে পুলিশ হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও পেয়েছে পুলিশ।
‘ঢাকামুখী অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘অবরুদ্ধ’ খালেদার বাড়ির সামনে থেকে সোমবার সকালে বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরাকে আটক করেছিল পুলিশ, পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনের মধ্যে খালেদার বাড়ির সামনে থেকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার হন সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল।
গত মাসে এই বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মওদুদ আহমদ, আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, সাদেক হোসেন খোকা, রুহুল কবির রিজভী, মীর মো. নাছির উদ্দিন, গোলাম আকবর খন্দকার প্রমুখ।
তাদের সবার বিরুদ্ধে হরতাল-অবরোধে গাড়ি পোড়ানো, বোমাবাজির বিভিন্ন মামলা দেয়া হয়েছে।