somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নের রাজকন্যা

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বৃষ্টিভেজা এক সকাল, মনে আনন্দ ছড়িয়ে দিলো।ঈদের আনন্দ যখন ম্লান, সন্ধ্যায় গেলাম বেড়াতে। কতো সময়, কতো মুহূর্ত গেলো কেটে তোমায় না দেখে। ভেবেছিলাম আর কোন দিন পাবো না তোমার দেখা। আঁখি যুগল সিক্ত হবে না; তোমার পথ পানে তাকিয়ে থাকতে হবে না। তোমার আর আমার মাঝের দূরত্বটা খুবই আশ্চর্যজনক, যার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। তোমার পরিচয়ের মাধ্যমও যে সব সময় আসে না। আচ্ছা! কোন সম্পর্কে? কোন বায়নায় আবদার করবো তোমার সাক্ষাৎ। কি বলেই বা ডাকবো তোমায়? অনেক অন্তরায় তোমার ও আমার মাঝে। তুমি বিনা এক ছন্নছাড়া জীবন কাটাচ্ছি। কারণ, আজও আমি তোমায় বলতে পারিনি, তোমার আমার সম্পর্ক কোন সূত্রে গাঁথা। তুমি যে খুব অল্প সময়ই থাকো। তবে তুমি জানো আর নাই জানো, পৃথিবীর সবচে' নিবিড় সম্পর্ক আমাদের মাঝে। জানি না তোমার ভাবনার নীড় কাকে নিয়ে বুনছো? তোমার ঐ হাসি আমার হৃদয়-মন রাঙিয়ে দেয়। তোমার চোখে আমি আমার আগামি দেখতে পাই। তোমার সাথে ঈদের পরদিন দু'বছর পর বৃষ্টিভেজা সকালে সাক্ষাৎ হওয়াটা কল্পনাতীত। বলতে পারো স্বপ্নীল হল এ ধরণী; আনন্দে নেচে উঠল ধমনী। প্রত্যেকটি শিরা-উপশিরা তোমার সাক্ষাতে নব গতির সঞ্চার করলো। আজও তুমি সেই তুমিই আছো। কালের পরিবর্তন মোটেও আমাদের হাসি মলিন করতে পারেনি। বৃষ্টিস্নাত এমন সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করিনি ঠিক, তবে বৃষ্টিতে ভিজতে যখন ছাদে উঠে, দোলনায় দুলছিলাম, অপলক নেত্রে তোমার ছাদপানে তাকিয়ে ছিলাম। চাতক পাখির মত। তখন মন দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করছিল, তুমি আসবে, অবশ্যই আসবে। মনের ডাকে সাড়া দিয়ে সত্যিই তুমি বাড়ির ছাদে ভিজতে আসলে। ভাবলাম, এটা আমার কল্পনা, নির্ঘুম রাতের আলেয়া। তোমার স্বচ্ছ নির্মল হাসি জানান দিলো স্বপ্ন নয় বাস্তব।তুমি কলেজে পড়ো শুনে আনন্দে মনটা নেচে উঠল। মনে হল, পলক ঝাপটাতেই দু'টি বছর কেটে গেছে। কিন্তু না! প্রতিটি প্রহর গুণেছি তোমার সাক্ষাতের প্রত্যাশায়। এরই নাম কি ভালোবাসা! আমার মনে অনেক দ্বিধা সংশয় ছিলো, সৌহার্দপূর্ণ আচরণের পরও বলতে পারিনি, এ মন তোমাকে চায়। তুমি যে আমার কত্তো আপন। আমি দগ্ধ হচ্ছি মনে লুকিয়ে থাকা অব্যক্ত যন্ত্রনায়।আমায় ফিরিয়ে দেওয়ার ভয়ে কখনো বলিনি, তোমায় আমি ভালোবাসি। কারণ, এ যন্ত্রনা বুকে বয়ে সইতে পারব না। তোমার বিচ্ছেদ-বিরহ ব্যাথায় ডুঁকরে কাঁদার ভয়ই আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আজ গগণ ফাটা চিৎকার দিয়ে আকাশ, বাতাস, ঝর্ণা নদীকে সাক্ষি রেখে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, 'আমি তোমায় ভালোবাসি।' জমিয়ে রাখলে হয়ত বুক ফেটে মরেও যেতে পারি। অব্যক্ত যন্ত্রনাগুলো ব্যক্ত করবোই বা কি করে? এক ঘণ্টা পর বৃৃষ্টিই বন্ধ হয়ে গেলো। দু'জনার ছাদের দূরত্বটাও তো একটু বেশি।চিৎকার করলে, কেউ শুনে ফেললে যে উভয়ের মহাবিপদ হবে। হঠাৎ চোখের আড়াল হলে, একটাই আর্তি করছিলাম, শেষবারের মত যেনো তোমার সাক্ষাৎ পাই। পূণরায়, তোমার দেখা মিলল। দীর্ঘ সময় আমরা চোখের ভাষায় কথা বললাম। তুমি হাসলে আর তৃপ্তির রেখা ফুটে উঠলো আমার বদনে। এত্তো স্বচ্ছ নির্মল হািস কখনো আমি দেখিনি। আজও তোমায় কিছু বলতে পারলাম না। তোমার দর্শন আমার আনন্দ দিগুণ করে দিলো। ফিরার ইচ্ছা না থাকা সত্বেও বাধ্য হয়ে ফিরতে হল। কারণ, এমন জগতে তোমার সাথে আমার সাক্ষাৎ যেখানে আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য নেই। মোবাইলে এলারাম বেজে উঠল, ৭.৩০ মি, পরক্ষণেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। আর মুখে তৃপ্তির রেখা ফুটে উঠল। স্বপ্ন যে এতটা নিখুত ও সুন্দর হয় আগে কখনো ভাবিনি। তুমি আমার স্বপ্নের রাজ কন্যা, মনের ক্যানভাসে আঁকা ছবি। মনে হয় তুমি অপসরি বা হুর। আমি কি কখনো তোমাকে আমার মনের কথাগুলো বলতে পারব, নাকি স্বপ্নের মত চির তরে তুমি মিলিয়ে যাবে দূর অজানায়
_শক্তি শুধা (সাবেত চৌধুরী)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×