গণতন্ত্র,
তোমায় আর
দেখিনা শিশিরভেজা মিষ্টি সকালে,
নজর টিপে ছোট্ট সোনাটার চাঁদ কপালে ।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর দেখিনা ধানের শীষের ছন্দময় দোলায়,
ভরা পদ্মায় ভেসে চলা পালতোলা নৌকায় ।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর দেখিনা কিশোরী মেয়েটার
চুলের বেনিতে,
অধিকার আদায়ের রাজপথ
কাঁপানো স্লোগানের ধ্বনিতে ।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর দেখিনা ফুটে থাকা শাপলায় ঝিলের জলে,
পলাশ শিমুলের রক্তিম সমারোহে গাছের ডালে।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর দেখিনা বাবার জায়নামাজ আর
মায়ের শাড়ীতে,
সরিষা ক্ষেতের
মাঝদিয়ে চলা মেঠোপথে গরুর গাড়িতে ।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর
দেখিনা জারি সারি গানে মাঝি মাল্লা আর
কিষানের মুখে ,
বুকফাটা কষ্টের চিহ্ন
আঁকা ছেলেহারা মায়ের নির্বাক চোখে ।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর দেখিনা পৌষের
শীতে ভাপাপিঠা আর খেজুরের রসে,
কনক্রিটের ভিড়ে গোধুলী বেলায় বারান্দায় বসে ।
গণতন্ত্র,
তোমায় আর দেখিনা নিয়োগ পরীক্ষার
প্রশ্নপত্র , ভাইভা বোর্ড
বা মেধাতালিকায় ,
ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল উচ্চ আদালতের
পবিত্র আঙিনায়।
গণতন্ত্র,
তোমায় ভীষন খুঁজি রেসকোর্স ময়দান ,
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র আর নুর হোসেনের
নগ্ন পিঠে ।
গণতন্ত্র,
তবে কি তুমি সত্যিই আজ
বাক্সবন্দী ক্যান্টনমেন্ট বা গণভবনে ?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২২