somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমীন জোরে বলা ভাইদের কাছে পুরো মাসআলার একটি সহীহ হাদীসের প্রমাণ চাই! স্রেফ একটি!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহলে হাদীস দাবিদার ভাইয়েরা কুরআন ও সহী হাদীস মানেন। আর কারো কথা মানেন না। কোন উম্মতীর কথা বিশ্বাস করেন না। তাই তাদের কাছে আমাদের বিনীত প্রশ্ন-

আহলে হাদীস ভাইদের আমীন

১- সবাই জানে যে, অধিকাংশ নামায [যেমন সুন্নাত ও নফল] একাকি পড়া হয়। সে সময় গায়রে মুকাল্লিদরাও নামাযে আমীন আস্তে আস্তে বলে।

২-জামাতের সাথে নামাযে ইমাম একজন হয়, আর মুক্তাদী হয় বাকিরা। এখানে একটি বিষয় পরিস্কার থাকা দরকার যে, গায়রে মুকাল্লিদ মুসল্লি প্রতিদিন এগার সিররী [আস্তে কেরাত পড়া নামায] রাকাতের পিছনে আস্তে আস্তে আমীন বলে। আর ছয় রাকাতে পড়ে জোরে জোরে।
এখানে দেখুন ছয় রাকাতের চেয়ে এগার রাকাত বেশি। অর্থাৎ জোরের চেয়ে আস্তে আমীন বলে বেশি। তাই আগে প্রথমে ১১ রাকাতের বিষয়টি পরিস্কার হওয়া দরকার। তারপর ছয় রাকাতের বিষয়।

৩- কোন কোন মুসল্লি এমন সময় শরীক হয় যে, ইমাম সাহেব ফাতিহার অর্ধেক পড়ে ফেলেছে। এমতাবস্থায় মুক্তাদী ফাতিহা শেষ করার পূর্বেই ইমামের ফাতিহা শেষ হয়ে যায়। তাই সে সময়ও তার জোরে সবার সাথে আমীন বলতে হয়। তাহলে কী দাঁড়াল? মুক্তাদী সূরা ফাতিহা শেষ না করেই আমীন বলে দিল।
এভাবে সূরা ফাতিহা শেষ করার আগেই আমীন বলা কোন আয়াত বা হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত?

৪- গায়রে মুকাল্লিদদের ইমামরাও ১১ সিররী রাকাতে সর্বদা আস্তে আমীন বলে। একাজটির প্রমাণ সর্বপ্রথম সাব্যস্ত হওয়া উচিত। তারপর যে ৬ রাকাতে জোরে জোরে আমীন বলা হয়, সেটার প্রমাণ সর্বদার শর্তের সাথে ইবারত দ্বিতীয় দফা দেখাতে হবে।

উপরে বর্ণিত নামাযের মাঝে বলা আমীনের চারটি অংশের মাসআলাটি আহলে হাদীস ভাইয়েরা সর্ব প্রথম কুরআনে কারীমের দ্বারা প্রমাণিত করবে। যদি না করতে পারে, তাহলে লিখে দিবে যে, “কুরআনে কারীম এ মাসআলায় তাদের উপর হাত রাখতে তৈরী নয়”।

তারপর পূর্ণ মাসআলাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণ করে দেখাবে। হাদীসও এমন কিতাব থেকে দেখাতে হবে, যার সংকলক না মুজতাহিদ না মুকাল্লিদ। বরং কোন গায়রে মুকাল্লিদ কিতাবটি সংকলন করেছেন। সেই সাথে হাদীসটিকে দলিল দ্বারা সহীহ সাব্যস্ত করতে হবে। আর একথা কিছুতেই ভুলবেন না যে, আপনাদের নিকট দলিল শুধুমাত্র কুরআন ও হাদীস। তাই যদি গায়রে মুকল্লিদ ভাই সাহেব কোথাও কুরআন ও হাদীসের বর্ণনা ছাড়া কোন উম্মতী বা স্বীয় সিদ্ধান্ত দ্বারা হাদীস সহীহ জঈফ বলে জানায়, তাহলে তাকে স্বীয় দাবিতে মিথ্যুক ধরা হবে। কারণ সে তখন আর আহলে হাদীস থাকবে না। আহলে রায় হয়ে যাবে।

সারাংশ আবার বলে দেই

অধিকাংশ নামাযে আমীন আস্তে বলা যেমন ওয়াজিব ও সুন্নত ও নফল নামাযে, সেই সাথে ফরজ নামাযের এগার রাকাতে আমীন আস্তে বলা, ছয় রাকাতে আমীন জোরে বলা কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? আর সেই হাদীসটি কি সহীহ? সহীহ হলে কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস দ্বারা সহীহ প্রমানিত?
কোন উম্মতীর বক্তব্য দ্বারা কিন্তু হাদীস সহীহ-জঈফ বলার বেআদবী করবেন না, তাহলে আপনাদের দাবি অনুপাতে মুশরিক হয়ে যাবেন, কারণ আপনাদের দলীল অনুপাতে দলীল শুধু কুরআনও হাদীস, কোন উম্মতীর কথা গ্রহণযোগ্য নয়। আর হাদীসটি দেখাতে হবে এমন ব্যক্তির সংকলিত কিতাব থেকে যিনি কারো মুকাল্লিদও নন, আবার নিজে মুজতাহিদও নন, বরং তিনি তাদের মত গায়রে মুকাল্লিদ। যদি মুকাল্লিদ বা মুজতাহিদের কিতাব থেকে হাদীস দেখান, তাহলে আপনারা স্বীয় দাবিতে ধোকাবাজ ও মিথ্যুক সাব্যস্ত হবেন।

ইমাম গায়রিল মাগদূবী আলাইহিম বলে ফেললে পরে শরীক হওয়া মুসল্লি আপনাদের দাবি অনুপাতে সূরা ফাতিহা শুরু করার পর আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন বললে তিনি কি আমীন জোরে বলবে? বললে আলহামদুলিল্লাহি রাববিল আলামীন বলার পর আমীন বরা কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? দয়া করে জানাবেন কি?

বিঃদ্রঃ
কথা ঘুরাবেন না, অপ্রয়োজনীয় কপিপেষ্ট করবেন না। শুধুমাত্র পয়েন্টওয়ারী আলোচনা করবেন। অপ্রয়োজনীয় কমেন্ট করলে তা ডিলিট করে দেয়া হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×