আমার এক পরিচিত বড় ভাই! ক্লাসে অনেক মেধাবী ছিলেন তিনি। তার একাডেমিক রেজাল্টও ছিল ঈর্ষনীয়!! কমেন্টওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন তিনি, তাও চার বছর হলো!
সেখানে তিনি একটা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, যতদুর জানি!! এ পরিচয় দিয়ে দেশে ভাল একটা বিয়েও করেছেন। ইচ্ছে করেই সন্তান জন্ম হওয়ার মাস চারেক আগে বিদেশে পাড়ি জমালেন, উদ্দেশ্য সন্তানের বিদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা!!!
তো আমার কথা সেখানেই এতো মেধাবী হয়ে কি করলেন, শিক্ষকতাই তো করলেন! করছেনও! পিএইচডিও করেছেন। নিজের অর্জনের ডানায় আরেকটি পালক লাগানোর জন্য!
কিন্তু এপলের স্টিভ জবস, ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ, মাইক্রোসফট এর বিল গেটস, খান একাডেমির সালমান খান, গুগলের ল্যারি পেজ সহ উনাদের কেউই কিন্তু মারদাঙ্গা ছাত্র ছিলেন না!
পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে পিএইচডি করা যায়! বৃত্তির টাকা দিয়ে অনায়াসে বিদেশে জীবন যাপন করা যায়, ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষ্যাঁপ মারা যায়, ঘাগু হয়ে শিক্ষকতার ব্যবসা করা যায়! দেশে এসে ভাবও মারা যায়! অমুক ইউনির প্রফেসর!!!! কিন্তু মশাই পথিকৃত হওয়া যায় না! আমার অনেক টাকা থাকলে এই সব মেধাবী(!)দের নিয়ে একটা জরিপ করতাম!
স্কলার্সশীপ নিয়ে বিদেশে গিয়ে, বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে কে কী করতেছে, এটা জানার জন্য!
শিক্ষকতা এখন ব্যবসা, তাই না? শিক্ষক পরিচয়ে সমাজে ভাল একটা অবস্থান পাওয়া যায়!!
এই ধরাধামে যা কিছু হয়েছে তা ৯৯% ভাগই ক্লাসের দ্বিতীয় সারি থেকে শুরু করে ব্যাকব্যাঞ্চারদের দিয়েই হয়েছে! বাট সেই মেধাবীরা এগুলোর ফল ভোগ করে!!
'ঈশ্বর থাকে ওই ভদ্রপল্লীতে, এই জেলে পল্লীতে উনি দেখা দেন না!' কিন্তু ওই জেলেরা না থাকলে কিন্তু ভদ্ররা না খেয়ে মরবে!!
মহাশয়, পথিকৃত হতে ন্যাচারাল মেধাবী হতে হয়! খালি ভাব ধরলেই হয় না!! সিজিপিএ ৪ এ ৪ থাকলেই হয় না!!
জয় ব্যাকব্যাঞ্চার, জয় ফেলটুস!