somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাই হরতালময় সুখী সমৃদ্ধ একটি দেশ . . { কিন্চিত্‍ রম্য } . . !!! :D :) :D

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনগণ হিসেবে আমরা মোটেই আমাদের কর্তব্য পালন করছি না! একটার পর একটা ভুল করে ভুলের পাহাড়ে বসে টেনশন করছি আর কার্ডিওলজিষ্টদের ইনকাম বাড়াচ্ছি। দেশের স্বার্থের কথা ভেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু কর্মকান্ডে আমরা কষ্ট পাচ্ছি ।মূহুর্মহু হরতালে হু-হু করে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছি । অথচ এই কোরাস কান্নাসংগীতে কারও কিছুই আসে যায় না ,বরং এ সংগীতের মূর্ছনায় আমরাই মূর্ছা যাচ্ছি ।যানজটকে আমরা যেমন আপন করে নিয়েছি তেমনি হরতালকেও যদি জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে স্বীকার করে নিতাম তবে কতই না ভাল হতো !
তখন দেশ মাতার ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা আতঙ্কিত হতাম না, রুজির চিন্তায় শরীরটাও কাবু হতো না
আসুন না, নিজেদের মানসিক শান্তির জন্য হরতাল কে ক্ষতিকর না ভেবে হিতকর ভাবি ।লাগাতার বৃষ্টির দিনে একপশলা ঘুম কদুর তেলের মত মাথা ঠান্ডা করে দেয় ।ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে ইলিশ খিচুড়ি অমৃতের মতো লাগে ।হয়তাল ছাড়া এসব আনন্দ উপভোগের অবসর কোথায় ?
এখন কাজের চাপে ফ্যামিলিকে সময় দেওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।দফায় দফায় বা লাগাতার হরতাল হলেই কেবল সুযোগ মেলে !
অনেক নিন্দুক বলেন যে হরতাল দেশের অর্থনীতির চাকা অচল করে দেয় ,কিন্তু একবারও কি হরতালময় অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনার কথা ভেবেছেন ?এ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় মূর্খ মানুষের বেকারত্ব ঘুচবে । প্রধান হরতাল প্রকৌশলী ,সহকারী পিকেটার বা অতিরিক্ত বোমাবাজ হয়ে তারা দেশের সেবা করতে পারবে ! তাছাড়া হরতাল তো আর আরব্য রজনীর রুপকথার কর্মসূচি না যে এটি পালিত হবে আর গাড়ি ভাঙা হবে না !সৃষ্টির সেরা জীব লাঠালাঠিতে ঠ্যাং না ভাঙলে বা বোমাবাজিতে দুই চারটা না মরলে কি হরতাল জমে !
কাজেই হরতালনির্ভর ইকোনমিক সিষ্টেমে ইটপাটকেল ,বোমা বা কাফনের কাপড় ব্যাবসায়ীদের জন্য রয়েছে সোনালি সম্ভাবনা !
জ্ঞানপাপীরা বলেন ,হরতাল দেশের শিক্ষাব্যাবস্থাকে পঙ্গু করে দয় ,কিন্তু আমরা যদি গোটা শিক্ষব্যাবস্থাটাকেই হরতাম করি ,তাহলে এ সমস্যা আর থাকে না ।
তখন পড়ারেখার বিষয় হবে মিছিল ইন্জিনিয়ারিং ,পাল্টা ধাওয়া টেকনোলজি ,টায়ার বানিং সায়েন্স ইত্যাদি । উচ্চশিক্ষার জন্য দেশে গবেষণার কোন ক্ষেত্র না থাকলেও এই টপিকগুলোর জন্য এখানে রয়েছে গবেষণার পাকা ময়দান ।
এসব বিষয়ে যেহেতু অযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ,তাই পরিত্যক্ত প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো এই লাইনে হতে পারে দিশারি ।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্রদের কোপাকুপি গোলাগুলির ঘটনা থুতু মারার মতো বিষয় হলেও হরতালময় সমাজে এসব কর্মকান্ড পরিণত হবে শিল্পে । কে কত সুন্দয় করে কোপাতে পারে, কত নিখুঁতভাবে রগ কাটতে পারে ,তা নিয়ে শুরু হয়ে যাবে প্রতিযোগিতা ।
এমন সমাজের সাহিত্য ও সংসস্কৃতিতেও লাগবে হরতালের উষ্ণ ছোঁয়া । যে জন নিশিতে মনের খুশিতে পোড়ায় গাড়ির টায়ার জাতীয় কবিতা লেখা হবে ।
পথর সভ্যতা বনাম হরতাল সভ্যতা টাইপের গবেষণাগ্রন্থ বাজারে আসবে ।
খেলাধুলায় সূচিত হবে বৈচিত্র্য ,শুরু হবে উল্টা দৌড় ,গাড়ি ভাঙচুর প্রতিযোগিতা ।
হরতালের সময় কাল ধোঁয়া বন্ধ হওয়ায় পরিবেশ জানমাল রক্ষয়ও এর রয়েছে অতুলনীয় অবদান !
আসুন , এসব বিবেচনা করে হরতালময় একটি দেশের দাবিতে সোচ্চার হই ।
যেহেতু সরকার ( ইস্যু ) উত্‍পাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করছে ধা , অন্যদিকে আলোচনার পথ বন্ধ রেখেছে !
সেহেতু মনের সুখ ফিরিয়ে আনতে হরতালময় রাষ্ট্রের বিকল্প নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩০
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×